ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৩৭ তম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৫-১১-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৩৭ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই হাতমুখ ধুয়ে বেশ কিছু সময় বাড়িতে ছিলাম। তারপরে মাছের খাবার দেওয়ার জন্য পুকুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে সকালে হালকা একটু নাস্তা খেয়েছিলাম। তারপরে বেশ কিছু সময় $PUSS কয়েনের প্রমোশনের কাজ করেছিলাম। তারপরে একটু বাইরে বের হয়ে হাঁটাহাঁটি করছিলাম তখনই দেখি আমার আব্বু আমাকে বলে মাঠে নাকি অনেক মানুষ আজকে আমাদের ভুট্টা লাগাচ্ছে তাই খাবার দিয়ে আসার জন্য বলেছিল। আমি খাবার বাড়ি থেকে নিয়ে মাঠে দিতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারো বসে গেলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........
আপনারা প্রথমে উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করে দেখতে পারবেন আমি খুবই সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছি। আমি সিলেট ভ্রমণে গিয়েছিলাম কলেজ থেকে বন্ধু-বান্ধব এবং কলেজের স্যার ম্যাডামদের সাথে সত্যি সিলেট ভ্রমণে আমরা সকলে বেশ মজা করেছিলাম। আমরা বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম বেলা বারোটার দিকে। আমাদের বাড়ি থেকে সিলেট প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দূরে। আমরা সন্ধ্যা বেলার দিকে পদ্মা সেতুতে গিয়ে পৌঁছেছিলাম। সেখানে সকলে বলেছিল পদ্মা পাড়ে আজকে সকলে ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খাব। তাই রাত নয়টার দিকে পর্দায় আমাদের বাস দাঁড় করিয়ে সকলে সেখানে ঘুরে দেখেছিলাম এবং রেস্টুরেন্টের মধ্যে খাবার জন্য গিয়েছিলাম। আমি এবং বন্ধুরা মিলে সকলেই ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছিলাম প্রত্যেকে বেশ মজা করে। তারপরে রাত দশটায় আমরা আবারও বাসের মধ্যে উঠে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা শুরু করেছিলাম।
আপনারা এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি চমৎকারভাবে আমার দুটি বন্ধুর ছবি উপরে শেয়ার করেছি। সকাল বেলায় আমারও যখন জাফলং এ পৌঁছে গিয়েছিলাম তখন বন্ধুরা মিলে জাফলং এর পানিতে গোসল করার জন্য নেমেছিলাম তখন আমি খুবই সুন্দর ভাবে আমার ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে ছবিগুলো সংগ্রহ করে রেখেছিলাম। আসলে আমাদের সাথে খুবই মজার মজার বেশ কিছু বন্ধু গিয়েছিল আমাদের তারা হাসি আনন্দে রসিকতা আড্ডায় আমাদের সকলকে মাতিয়ে রেখেছিল। সত্যি বন্ধু সমাজে এরকম কিছু বন্ধু থাকা দরকার আমিও সব সময় মনে করি। আসলে তাদের সাথে এখন আমার সেরকম ভাবে যোগাযোগ হয় না বললেই চলে তাও কিন্তু তাদের কথা এই ছবিগুলো দেখলেই হঠাৎ মনে পড়ে যায় সেই দিনের স্মৃতিময় কথাগুলো। মাথার উপর দিয়ে ইন্ডিয়ার ঝুলন্ত ব্রিজ আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখতে পারবেন। সত্যি সেখানে গিয়ে প্রথমেই এই ঝুলন্ত ব্রিজ দেখে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। অনেক সময় তাকিয়ে ছিলাম এবং ব্রিজের উপর দিয়ে যখন গাড়ি যাচ্ছিল খুবই সুন্দরভাবে দেখার চেষ্টা করেছিলাম।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই চমৎকারভাবে আমার দুটি ছবি মোবাইলের ক্যামেরা বন্দী করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সকালবেলায় আমারও যখন সিলেট পিকনিক স্পটে পৌঁছেছিলাম ঘুম থেকে উঠে বাসের মধ্য থেকে নামার পরে ব্রাশ হাতে নিয়ে নদীর মাঝে চলে গিয়েছিলাম ব্রাশ করার জন্য। সেখানে গিয়ে প্রথমেই বেশ কিছু ছবি আমি মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী করেছিলাম সত্যি সকাল বেলায় শীতের মাঝে কুয়াশার অনুভূতি বেশ দারুণ লেগেছিল আমার কাছে। আমি চেষ্টা করছি প্রত্যেক সপ্তাহে আপনাদের মাঝে সিলেট ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করার জন্য এবং নিজের জায়গা থেকে বর্ণনা শেয়ার করার জন্য। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
পোস্ট তৈরির বিবরণ
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
x-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম অসাধারণ একটি এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করেছেন ভাই। আপনার সিলেট ভ্রমণের এই পর্বটি পড়ে প্রচুর পরিমাণ ইচ্ছা হচ্ছে সিলেট ভ্রমণ করার। আসলেই বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে রশিক কিছু বন্ধু থেকে যায় যাদের কারণে সময়গুলো আমাদের একসাথে কাটানোর অনেক আনন্দের হয়ে থাকে। যাই হোক সিলেট ভ্রমণের ৩৭ তম পর্বটি সুন্দরভাবে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
সিলেট বেশ সুন্দর একটি জায়গা। আর এমন সুন্দর জায়গায় বন্ধুরা মিলে বেড়াতে গেলে বেশ ভালই লাগে। বেশ অনেক সময়ের বাস জার্নি ছিলো আপনাদের। এবং সবাই সুস্থ্য ছিলেন বলেই বেশ মজা করে ঘুরে বেরিয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফির দেখে বোঝা যাচ্ছে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সিলেটে।
আপনার ছবির মাধ্যমে দেখি সিলেট খুব সুন্দর একটি জায়গা। ভারতের মেঘালয় কিছুটা একই ধরনের। আসলে সিলেট হল মেঘালয়ের বর্ডার। তাই আমি মেঘালয় গিয়ে এই একই ধরনের প্রকৃতি দেখে এসেছি। দারুন সুন্দর ভ্রমণের সব বৃত্তান্ত এবং ছবি আপলোড করেছেন ভাই। খুব ভালো লাগলো আপনার ভ্রমণ পোস্ট।
সিলেটের জাফলং আসলেই খুব সুন্দর। তাছাড়া ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর জায়গাটাও খুব সুন্দর। খুব শীঘ্রই আমরা সিলেট ট্যুরে যেতে পারি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।