বিভিন্ন ধরনের কিছু ফুড ফটোগ্রাফি।।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে কিছু মজার মজার লোভনীয় ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আজব এই পৃথিবীতে নানা ধরনের মানুষ রয়েছে। বিভিন্ন মানুষের খাবারের অভ্যাস,রুচি আলাদা। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ভাবে তাদের আহার গ্রহন করে। এক দেশের মানুষের খাবারের অন্য দেশের মানুষের সাথে মিলে না। এশিয়ার মানুষ সাধারনত তেলে ভাজা বা তৈলাক্ত খাবার একটু বেশি খায়। এর কারন হতে পারে, এশিয়াতে তেলের খনি বেশি। আর তেলটা হাতের নাগালে বেশি পায়। যার কারনে তেলটা বেশি ব্যবহার করে। আমার আজকের ফটোগ্রাফিতে তৈলাক্ত খাবারের ফটোগ্রাফিও আছে।
এছাড়া আজকের ফটোগ্রাফিতে রয়েছে ফল,পিঠা,চিংড়ি মাছ,রসগোল্লা। যেদিন যেটা খেয়েছি সে দিনের রেসিপির ফটোগ্রাফি করে রেখে দিয়েছি। আজকে কাজে লেগে গেছে। এভাবে আমার স্টোকে অনেক ফটোগ্রাফি রয়েছে। ধীরে ধীরে শেয়ার করবো।
উপরে যে লোভনীয় জিনিষটা দেখতে পাচ্ছেন এটা হলো পুরি। সাধারনত সিঙ্গারা আর পুরি এক সাথে থাকে। প্রথমে সিঙ্গারা বানানোর প্লান থাকলেও পরে সেটা পুরি হয়ে গেল। মানে আলুর দাম অনেক বেশি। ৫০ টাকা কেজি আলু। যার ফলে সিঙ্গারার প্লান বিলুপ্ত হয়ে যায়। পুরিটা দারুন সস দিয়ে খেতে সেই মজা হয়েছিল।
আচ্ছা বলেন দেখি এটা কি..। আমি জানি কেউ বলতে পারবেন না, এটা কি ফল। আমিই বলে দিচ্ছি এটি বাঙ্গি ফল। আমাদের বাড়ির ছাদ বাগানে এই ফলটি ধরেছে। দেখতে যেমন দারুন খেতেও তেমন মিষ্টি। তিন চার মাসে প্রায় পাঁচ ছয়টি বাঙ্গি ফল আমরা খেয়েছি। গাছে আরো একটি রয়েছে।
এটি তেলে ভাজা এক প্রকার পিঠা। বাজারে বিভিন্ন রকমের পিঠা বানানোর ফরমেট পাওয়া যায়। সেই প্লাস্টিকের ফরমেট দিয়ে পিঠা গুলো বানিয়ে তারপর তেলে ভেজেছি। কয়েকটি পিঠা বেশি ভাজা হয়ে গেছে। যার কারনে কিছুটা লাল বর্ণ ধারন করেছে। আর বাকি গুলো ঠিক আছে। খেতে কিন্তুু দারুন মজা লেগেছে।
এটি হলো চিংড়ি মাছের রেসিপি। এগুলো তিতাস নদীর চিংড়ি মাছ। চিংড়ি গুলো এতটা বড় না আবার ছোটও না। মাঝারি সাইজের চিংড়ি। অনেক গুলো মসলা দিয়ে চিংড়ি মাছ গুলো ভুনা করা হয়েছিলো। দেখতে যেমন দারুন খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক তেল ব্যবহার করা হয়েছে।
এটা কি সেটা তো আপনাদের বলতে হবে না। লোভনীয় রসগোল্লা। উপরে সাদা সাদা এক প্রকার মিশ্রন দেওয়া হয়েছে। মিষ্টি আবার আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। তবে দুইটির বেশি খেতে পারি না। এখন মিষ্টির দামও অনেক বেড়ে গেছে। তাই কম করে খেতে হয়।
এই ফটোগ্রাফির পিঠা গুলো আমাদের বাসায় বানায়নি। এগুলো বাহিরের কোন এক জায়গা থেকে সংগ্রহ করা ফটোগ্রাফি। এখানে এক সাথে আট থেকে দশ প্রকারের পিঠা রয়েছে। পাটিসাপটা,নকশি পিঠা,সবজি পিঠা সহ আরো কয়েক প্রকার পিঠা আছে। যে গুলোর নাম আমার জানা নেই।
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের আয়োজন। এখানে যে খাবার গুলো শেয়ার করা হয়েছে। সব গুলোই আমার টেষ্ট করা হয়েছে। মানুষ কত রকমের খাবার যে খেতে পারে সেটা অনলাইনে রেসিপি সার্চ দিলে বুঝা যায়। যায়হোক সে দিকে আর যাবো না। এখানেই শেষ করে দিবো। আবার নতুন কোন পোষ্ট নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | বিভিন্ন ধরনের কিছু ফুড ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | নিজ বাসা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৬-০৯-২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
বিভিন্ন ধরনের তৈলাক্ত খাবার দেখে লোক সামলানো কঠিন হচ্ছে। আসলেই এশিয়াতে তেলের খনি আছে তাই সবাই শুধু তৈলাক্ত খাবার খায়। 😂
যাইহোক এত লোভনীয় খাবার গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করা ঠিক হয়নি। খিদে লাগে গেল যে।
জী আপু তেল ছাড়া আমাদের কোন কিছু খেতে মন চাই না। তাই আমাদের বড় বড় বুড়ি,হে হে হে।
অনেক সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে দারুন একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে ছিল অনেক লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি। আর এই জাতীয় খাবার গুলো বর্তমান আমাদের দেশে বেশ বেশি প্রচলিত। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর একটি লোভনীয় পোস্ট দেখতে পেরে।
জী ভাইয়া খুবই পরিচিত খাবার নিয়ে ফটোগ্রাফি করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দারুন দারুন কিছু ফুড ফটোগ্রাফি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।ফুড ফটোগ্রাফির সাথে ফুড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে চিংড়ি মাছের রেসিপ। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য ।
জী ভাইয়া চিংড়ি মাছ আমার খুব প্রিয়। ধন্যবাদ।
বাঙ্গি ফল গুলো হালকা চিনি দিয়ে মাখিয়ে খেতে ভীষণ মজা লাগে। লোভনীয় রসগোল্লা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। রসগোল্লা আমার পছন্দের একটি খাবার। আর তেলের মধ্যে ভাজা পিঠার ফটোগ্রাফি দেখে তো মনে হচ্ছে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
বাঙ্গি ফল আমি আগে তেমন খেতাম না। তবে এখন বুঝে গেছি। ধন্যবাদ ।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
বাহ এই সিজনে বাঙ্গি ফল দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না। ফলের মধ্যে বাঙ্গি ফল আমার খুবই ভালো লাগে। যেহেতু বাড়ির ছাদে হয়েছে তাহলেই ফ্রেশ খাবার খেতে বেশ ভালোই লাগবে। তাছাড়া আপনি সিঙ্গারার পরিবর্তে পুরি তৈরি করলেন। অনেক ভালো হয়েছে আলুর দাম কিন্তু অনেক বেশি বেড়ে গেছে। সবগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল।
জী আপু ছাদে বারোমাসই একটি গাছে বাঙ্গি ফল ধরছে। খুবই মিষ্টি। ধন্যবাদ।
ওয়াও অসাধারন আপনি খুব চমৎকার ফুড ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অসাধারণ হয়েছে। তবে এটি ঠিক বলেছেন পৃথিবীতে অনেক রকমের মানুষ আছে একজনের খাওয়ার রুচি এক এক রকম। আর আমাদের এশিয়ার দেশগুলো তেলে ভাজা জিনিস বেশি পছন্দ করে। সত্যি বলতে আপনার ফুড ফটোগ্রাফি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু এশিয়ার দেশ গুলো তৈলাক্ত খাবার পেলে নতুন প্রাণ পায়। ধন্যবাদ।
আপনি খুব সুন্দর করে মজাদার কিছু ফুড ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফুড ফটোগ্রাফি দেখে অসম্ভব ভালো লাগলো। খুব মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি সত্যি আমার খেতে মন চাইতেছে। তবে তিতাস নদীর চিংড়ি মাছ গুলো দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সবগুলো ফুড ফটোগ্রাফি সুন্দর বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া আমাদের তিতাস নদীর মাছ অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ।