প্রকৃতির সাথে পাল্টে গেছে অনেক কিছু || Original Photography by @hafizullah

in আমার বাংলা ব্লগ16 hours ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি আগের থেকে এখন বেশ কিছুটা সুস্থ এবং আজকে অফিস করছি। সত্যি বলতে অফিস ফাঁকির বিষয়টি আমার মাঝে কোনদিনও ছিলো না এবং আজও নেই, একটু সুস্থবোধ করার পরই আজ অফিসে আসার সিদ্ধান্ত নেই। যদিও বাসা হতে খুব একটা সায় ছিলো না কারন আজ সপ্তাহের শেষ দিন এবং আগামী সপ্তাহের শুরু হতেই হয়তো রোজা শুরু হবে। তাই সবার ইচ্ছা ছিলো আরো একদিন বিশ্রাম নিয়ে তারপর অফিসে যাই। দেখুন কাজ করার মানুষগুলো কখনো বসে থাকতে চায় না এবং বসে থাকতে তাদের ভালোও লাগে না। আমি হয়তো কর্মঠ নই কিন্তু তবুও কেন জানি বাড়িতে বসে থাকতে একদমই ভালো লাগে না।

আমার অফিসে আমি যতটা ছুটি উপভোগ করেছি তার প্রায় সবগুলোই অসুস্থতা জনিত কারণে। এর আগে তো অনেকগুলো রেকর্ড আছে আমি অফিস চলাকালীন সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছি তারপর অফিসের কলিগরা মিলে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। যাইহোক, আসলে অফিস করতে করতে হয়তো অভ্যস্ত হয়ে গেছি অথবা অফিসে থাকলে সময়গুলো চঞ্চলতার সাথে কাটে, তাই একটু বেশী ভালো লাগে অফিসের সময়গুলো। না না বাড়িতে ভালো লাগে না সেটা কিন্তু আমি একবারের জন্যও বলি নাই, দেখেন পড়ে আবার আমাকে কেই খাইয়ে দিয়েন না, হি হি হি। বাড়িতে বউ আছে তাই বলে নিলাম আরকি পরে না আবার ফেঁসে যাই, হি হি হি।

IMG_20250215_111219.jpg

যাইহোক, আজকে প্রকৃতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো, যদিও আমাদের চির চেনা গ্রামীণ প্রকৃতির সেই দৃশ্য। গ্রাম মানেই আমাদের চোখে ভেসে উঠে সবুজ প্রকৃতির নির্মল দৃশ্য আর হাসি মুখে মাঝে কাজ করা সেই কৃষি খেতের সুন্দর দৃশ্যগুলো। সত্যি বলতে ছোট বেলায় স্কুল ছুটির সময় গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কাটানো অধিকাংশ সময়ই আমরা কৃষি খেতের আসে পাশেই কাটিয়েছি। আপনাদের কি অবস্থা সেটা জানি না, তবে আমার বেশীর ভাগ সময়গুলোই কৃষি জমির আসে পাশে কেটেছে। আমরা ফুটবলও খেলতাম পতিত কৃষি জমিতে অথবা ধান কাটা হয়েছে কিংবা ফসল উঠানো হয়েছে এমন জমিতে। একবারতো বেশ ব্যথাও পেয়েছিলাম আমি।

IMG_20250215_111258.jpg

IMG_20250215_111309.jpg

বর্তমান প্রজন্ম অবশ্য এমন নয় কারণ তারা মাঠেই যায় না খেতলে আর খেতে যাবে কি জন্য। আমাদের সময় তো খেলার মাঠ ছিলো কিন্তু সব সময় সেখানে গিয়ে খেলাধুলো করার সুযোগ ছিলো না, একটা টাইম মেইনটেন্ট করে সেখানে খেলতো। আরো একটা বিষয় ছিলো তখন যখন খুশি তখন মাঠে গিয়ে কিছু খেলা যেতো না, অনেক বিধি নিষেধ ছিলো না কিন্তু তবুও খেলা যেতো না। কারন মুরুব্বী নামের একটা বিষয় ছিলো তখন এবং তাদের বেশ শাসন জারি থাকতো। আমরা অবশ্য তাদের শাসন তখন বেশ মানতাম। আর সেই কারনেই আমরা ফাঁকা কৃষি জমিতে গিয়ে খেলাধুলা করতাম।

IMG_20250215_111441.jpg

IMG_20250215_111438.jpg

যাইহোক, প্রকৃতি হয়তো সেই প্রকৃতির মতোই আছে কিন্তু নেই আমাদের সেই মানসিকতা। সেই খেলাধুলার করার সুযোগের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে গেছে আমাদের নতুন প্রজন্মের মানসিকতা। প্রকৃতি অনেক কিছুর যেমন স্বাক্ষী হয়ে থাকে ঠিক তেমনি স্মৃতি হয়ে থাকে অনেক বিষয়ের।

তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৫ইং।
লোকেশনঃ মানিকগঞ্জ, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 13 hours ago 

কর্মঠ ব্যক্তিরা কখনোই বাসায় বসে থাকতে চায় না। তবে আপনি এখন মোটামুটি সুস্থতা বোধ করছেন এটা শুনে বেশ ভালো লাগলো। সেই সাথে আজকে প্রকৃতির চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আসলেই এখনকার বাচ্চারা হাতে ফোন পেয়ে খেলার মাঠে যাওয়ার কোনো নামই নেয় না। তবে প্রকৃতি অপরূপ সৌন্দর্যপূর্ণ তার প্রকৃত সৌন্দর্য আপনার আজকের ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনার মাঝে খুঁজে পেলাম।

 11 hours ago 

ভীষণ সুন্দর গ্রামের দৃশ্য আপনি ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুললেন ভাই। অসাধারণ এই দৃশ্যপটে যেন রং তুলি ক্যানভাস এর মত ছবি এঁকে গেল আপনার লেখা বর্ণনা গুলি। আমরা শহুরে মানুষেরা সব সময় একটু ফাঁকা জায়গা পছন্দ করি। তাই গ্রামের এমন দৃশ্য চোখে পড়লে তা ভীষণ মনোমুগ্ধকর লাগে।

 10 hours ago 

অসুস্থতা নিয়েও অফিস করেন। তারমানে অবশ্যই বাসায় থাকলে ভাবি জ্বালাতন করে, তা না হলে কাম কাজ করাই, তাই ভয়ে অফিসে চলে যান,হা হা হা। 😅😁

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.23
JST 0.032
BTC 84410.79
ETH 2317.43
USDT 1.00
SBD 0.68