"হাতিরঝিলে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি একজন ভ্রমন প্রিয় মানুষ তাই সবসময় চেষ্টা করি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর। আমি মনে করি ঘরের চার দেওয়ালে বন্দি থাকার থেকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো অনেক বেশি ভালো। আমাদের যেমন শরীরের সুস্থতার প্রয়োজন রয়েছে তেমনি রয়েছে মনের সুস্থতার প্রয়োজন আর মনে সুস্থতার প্রয়োজনের জন্য আমাদের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করাটা জরুরি। ভ্রমণ করলে মানুষের জ্ঞানের বিকাশ ঘটে। কয়েকদিন আগে বন্ধু এবং বড় ভাইদের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম ঢাকার হাতিরঝিলে। আমি এখন বন্ধু এবং বড় ভাইদের সাথে কাটানো হাতিরঝিলে সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করি।
আমি আর আমার বন্ধু রাহুল ইউনিভার্সিটি তে ছিলাম হঠাৎ করেই আমার ফোনে বন্ধু রাজুর কল আসলো। তারপর বন্ধু রাজু বলল যে, বান্দরবান এবং কক্সবাজার ঘুরে আসার পরে তেমন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি তাই চলো আজকে সবাই মিলে হাতিরঝিলে ঘুরতে যাই। আমি তখন বন্ধু রাহুলের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম যে, হাতিরঝিলে ঘুরতে যাওয়ার মত এনার্জি আছে কিনা! আসলে সারাদিন ক্লাস করার পরে দুজনেই বেশ ক্লান্ত ছিলাম। তখন বন্ধু রাহুল বলল যে, আচ্ছা ঠিক আছে যাওয়া যাবে সমস্যা নেই। তখন আমি বন্ধু রাজুকে বলে দিলাম যে, তোমরা বাসে করে হাতিরঝিলে পৌঁছে যাও আমরাও সময়মতো পৌঁছে যাবো। তারপর ক্লাস শেষ করে দুজনে বাইক নিয়ে বের হয়ে পড়লাম হাতিরঝিলের উদ্দেশ্যে।
শুক্রবারের দিন হওয়াতে সন্ধ্যার পরে রাস্তাতে বেশ যানজট ছিল। বর্তমানে ঢাকার ভিতরে যানজট সমস্যাটা চরম আকার ধারণ করেছে। যদিও বাংলাদেশ সরকার এই যানজট সমস্যা নিরসনের জন্য মেট্রোরেল এবং এলিভেটর এক্সপ্রেস সহ বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছে তারপরেও যানজট সমস্যাটা থেকেই গেছে। যাই হোক আমি আর আমার বন্ধু রাহুল হাতিরঝিলের পাশে একটা বাস কাউন্টারে থেমে বন্ধু রাজুর কাছে ফোন দিলাম। তখন বন্ধু রাজু জানালো যে, তোমরা যেখানে আছো সেখানেই থাকো আমরা খুব দ্রুত এ জায়গাতে চলে আসছি।
তারপর কয়েক মিনিট পরেই বন্ধু রাজু চলে আসলো। তারপরে বন্ধু রাজু এসে বন্ধু রিপন এবং জসিমের কাছে ফোন দিলো। তারা বলল যে, আমরা রিকশায় আছি আসতে কয়েক মিনিট সময় লাগবে। তারপর আমরা আর সেখানে আরো কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকার পরে বন্ধু রিপন এবং জসিম আমাদের সাথে যুক্ত হল। যাইহোক অনেকদিন পরে বন্ধুরা একসাথে হতে পেরে মনের ভেতরে অনেক বেশি ভালো লাগা কাজ করছিল।
তারপর সব বন্ধুরা মিলে হাঁটতে হাঁটতে হাতিরঝিলের একটি ব্রিজের উপরে গেলাম। এই ব্রিজ অবশ্য হাতিরঝিলের মেইন ব্রিজ না। আমাদেরকে মেইন ব্রিজে যেতে হলে এখান থেকে হাতিরঝিলের পাশ দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার মতো হাঁটতে হবে। আমরা এই ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে বন্ধুরা মিলে কিছুটা সময় আড্ডা দিলাম। ততক্ষণে আমাদের বড় ভাই বকুল এবং সুজন এসে আমাদের সাথে যুক্ত হলো। সত্যি বলতে ঢাকার ভিতরে এভাবে সবাইকে একসাথে পেয়ে বেশ ভালো লাগছিল। এমনটা মনে হচ্ছিল যে, আমরা সবাই আমাদের চিরচেনা গ্রামে ফিরে গিয়েছি।
তারপর সেখান থেকে সবাই মিলে হাতিরঝিলের যে, মেইন ব্রিজ আছে সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করলাম। সবাই মিলে একসাথে এভাবে গল্প করতে করতে হাঁটতে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। আমার কাছে হাতিরঝিলটা একটু বেশিই ভালো লাগছিল এই কারণেই যে, আমি এই জায়গাটিতে এর আগে কখনো এসেছিলাম না। এই জায়গাটির উপর অবশ্য আগে থেকেই একটু কৌতুহল ছিলো। আমরা মেইন ব্রিজ পাওয়ার আগেই হাতিরঝিলের এক জায়গায় বসে কিছু সময় সবাই মিলে বিভিন্ন রকম গল্প গুজব করলাম।
তারপর বন্ধুরা আমার কাছে একটি লালন গীতি গান শুনতে চাইলো। বন্ধুদের অনুরোধ ফিরিয়ে দিতে তো পারি না, তারপর আমি একটা লালন গীতি গান শোনানোর পরে আবার আমরা হাঁটা শুরু করলাম হাতিরঝিলের সেই বিখ্যাত দৃষ্টিনন্দন ব্রিজের দিকে। কিছুদূর হাঁটার পরে এই ব্রিজের সামনে গিয়ে হাজির হলাম, দেখলাম যে ব্রিজের সামনে ঝাল মুড়ি বিক্রি করছে। তারপর সবাই মিলে ঝাল মুড়ি খেলাম ঝাল মুড়ি খাওয়ার পরে বাদাম খাইতে খাইতে ব্রিজে উঠলাম।
আমরা বেশ কিছু সময় ব্রিজে থেকে সবাই মিলে গল্প ও আড্ডার পরে ব্রিজ থেকে নেমে হাঁটতে হাঁটতে পাশেই বাজারে ভেতরে গেলাম। তারপর বাজারের ভেতরে এসে সবাই মিলে গরম গরম চিতই পিঠা আর ভাপা পিঠা খেলাম। অনেকদিন পরে এভাবে একসাথে সময় কাটাতে পেরে বেশ ভালো লাগছিল। তারপর সব শেষ কোলড্রিংস খাওয়ার পরে সবাই সবার থেকে বিদায় নিয়ে যার যার মতো বাসায় চলে আসলাম। এরকম সুন্দর আনন্দময় মুহূর্ত জীবনে বারবার ফিরে আসুক সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনাই করি।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


কয়েকদিন আগে বন্ধু ও বড় ভাইদের সাথে হাতির ঝিলে ভ্রমন করতে গিয়েছিলেন। আসলে ভ্রমন করার এই ফটোগ্রাফিগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন ভ্রমন করলে জ্ঞানের বিকাশ ঘটে, সেই জায়গা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারা যায়। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে।
হাতিরঝিল ভ্রমণ করতে গিয়ে চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে সেখানে আপনারা সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ব্রিজের ওপর দিয়ে আবার গান গেয়েছেন শুনি বেশ ভালো লাগলো। এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এখনই এনজয় করার মুহূর্ত। বন্ধুরা পাশে থাকলে ঠিক এভাবে কিন্তু আনন্দ করা যায়। আর যে কোন মুহূর্তে ইচ্ছে না থাকলেও ভ্রমনে চলে যাওয়া যায় দূর দূরান্তে। হাতের ঝিলের ব্রিজের এলাকায় অবস্থান করা সুন্দর মুহূর্ত কিন্তু আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে কিন্তু বেশ অজানা অনেক কিছু দেখতে পারলাম পাশাপাশি বর্ণনা পরিবেশ কিছু জানতে পারলাম।
হাতিরঝিলে গিয়েছিলাম অনেক দিন হয়েছে। যদিও কিছুদিন আগে যেতে চেয়েছিলাম। একটু কাজের জন্য যাওয়া হয়নি। হাতিরঝিলে আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। জায়গাটার পরিবেশ আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।
বড় ভাই আর বন্ধুদের সাথে হাতিরঝিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ছেলেরা বেশির ভাগ ভ্রমন প্রিয় হয়।আপনারা একসাথে হয়ে আড্ডা দিলেন। আপনার কন্ঠে গান শোনালেন।তবে তো পুরোই জমে গেলো।এরপর ঝাল ঝাল চানাচুর বানানো ও খেয়েছেন।এটা সত্যি শুক্রবার দিন বিকেল থেকে বেশ যানজট লক্ষ্য করা যায়। সুন্দর মূহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
শুক্রবারের দিনে অনেক যানজট পেরিয়েও হাতিরঝিলে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি সবার সাথে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনার হাতিরঝিলে কাটানো কিছু মুহূর্তে পোস্টটি দেখে ভালো লাগলো। আমরাও মাঝে মাঝে বাসার সবাই মিলে যাই।আমাদের বাসার প্রায় কিছুটা কাছেই হাতিরঝিল। বিশেষ করে রাতের বেলা হাতিরঝিল দেখতে ভালো লাগে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই যানজট সমস্যাটা জন্য কোথাও গিয়ে শান্তি পাই না। যানজটের মধ্যেই কোথাও বের হলে অর্ধেক সময় চলে যায়। আপনার হাতিরঝিলের রাতের দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু সেই রকম হয়েছে ভাইয়া। রাতে হাতিরঝিলে নদীর মধ্যে যে, নৌকা ও লঞ্চগুলো চলাচল করে বা আশেপাশে চারিদিক দেখতেও যেমন ভালো লাগে আর ফটোগ্রাফিগুলোও অনেক সুন্দর হয়।ধন্যবাদ ভাইয়া। হাতিরঝিলে কাটানো খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হাতিরঝিলের রাতে ডিসের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। হ্যাঁ আপু অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম সবাই মিলে।অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বড় ভাই এবং বন্ধুদের নিয়ে হাতিরঝিল ঘুরতে গিয়ে বেশ চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে ভালো লাগলো। অনেক আগে হাতিরঝিল আমিও ঘুরতে গিয়েছিলাম জায়গাটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিলো। তবে সন্ধ্যার পরে জায়গাটা দেখতে আরো বেশী ভালো লাগে। যদিও আমি দিনের বেলায় গিয়েছিলাম। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই হাতিরঝিল সন্ধ্যার পরে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
প্রতিনিয়ত ভ্রমণের জন্য নতুন নতুন জায়গার নাম শুনে বেশ ভালো লাগছে। আমি ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি। তাই সবসময় বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। আজকে আপনার এই হাতিরঝিল ভ্রমণের খুব সুন্দর কিছু মুহুর্ত ও ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনি এই স্থানের সবকিছু খুব সুন্দরভাবে এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনিও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসেন জেনে খুশি হলাম ভাই প্রতিনিয়ত ভ্রমণ করলে মানুষ মানসিকভাবে সুস্থ থাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।