"মোবাইল ফোন ছিনতাই"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৩ শে মে, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ঈদের ছুটি কাটিয়ে কয়েকদিন আগে এই গ্রাম থেকে ঢাকাতে এসেছি। ঢাকার কোন কিছুই অবশ্য আমার তেমন ভালো লাগেনা গ্রামে থাকতে আমি বেশি ফ্লাক্সিবল বোধ করি। ঢাকাতে আসার পরে প্রতিদিনই কোন না কোন কাজে বাইরে যেতে হয়। গ্রামে বাড়ির বাইরে বের হলে সুন্দর প্রকৃতিক বিশ্ব চোখে পড়ে আর ঢাকাতে রুমের বাইরে বের হলে কংক্রিটের বড় বড় দালান কোঠা আর চুরি ছিনতাই এগুলো চোখে পড়ে। আজকে আমার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এক অচেনা ভাইয়ের মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আজকে শ্যামলী শিশুমেলার পাশে একটা কাজ ছিল তাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই হাতমুখ ধুয়েই খাবার না খেয়েই বাসা থেকে বের হয়ে মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ডে গেলাম। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকেই শ্যামলী যাওয়ার জন্য প্রজাপতি ও পরিস্থান নামের বাস পাওয়া যায় ১০ টাকা ভাড়া নেয়। আমি বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছাওনির নিচে অপেক্ষা করছি।
আমার আশেপাশে আরো অনেকেই বাস আর লেগুনার অপেক্ষা করছে। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে লেগুনাগুলো ফার্মগেট পর্যন্ত যায়। আজকে হয়তো লেগুনা কম থাকার কারণে অনেকেই দেখছিলাম লেগুনার জন্য অপেক্ষা করছে। লোকাল বাসে যাওয়ার থেকে লেগুনাতে করে যাওয়া সহজ আর তাড়াতাড়ি হয় বলেই মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে সবাই ফার্মগেটে লেগুনায় করেই যায়।
আমি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম এমন সময়েই দুটি লেগুনা এসে সামনে দাঁড়ালো। সবাই যখন লেগুনাতে উঠছে দেখলাম বেশ ভালই ভিড়। আমি অবশ্য তাকিয়ে তাকিয়ে সবাই লেগুনাতে উঠছে সেটা দেখছিলাম। হঠাৎ করেই আমার বয়সী এক ভাই বলে উঠল যে, আমার ফোনটা কে নিলো ! এই ভাইটি চোখে মুখে চরম হতাশা আর ভীষণ টেনশনে আছে। আমি খুব দ্রুতই বুঝতে পারলাম যে, হয়তো ফোনটা কেউ ছিনতাই করে নিয়েছে।
তারপর দেখলাম সেই ভাইয়ের পাশ থেকে দুইজন লোক হাঁটার থেকে একটু বেশি গতিতে দৌড়ায়ে আরেকটি রাস্তা দিয়ে ঢুকে পড়লো। তখন সেই ফোন হারানো ভাইটি ওই দুইজন লোককে ধাওয়া করে ধরলো। কিন্তু তাদের কাছে চেক দিয়ে দেখা গেল কোন ফোন নেই। আমার কাছে বিষয়টা ভীষণ অদ্ভুত লেগেছে। আমিও প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো তাদের কাছে ফোন পেয়ে যাবে।
আর এসবের মাঝে দেখতে পেলাম পাশেই পুলিশ এবং র্যাব রয়েছে। কিন্তু বিপদের সময় সাহায্যের জন্য আসলে কেউই এগিয়ে আসেনা। এই ঘটনাটা অবশ্য সবার সামনেই ঘটেছে কিন্তু কোন ব্যক্তি ফোন নিয়ে সেটা আসলে কেউই বুঝে উঠতে পারেনি। ওই দুইজন লোককে চেক করতে করতে অবশ্যই দিকে লেগুনাটা ফার্মগেট এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিয়েছিলো।
তারপর ফোন হারানো ভাই এদিকে আসার পরে আরেকজনের ফোন দিয়ে তার নাম্বারে ফোন দিয়ে দেখলো ফোন নাম্বার বন্ধ রয়েছে। তখনই বুঝতে পারা গেল যে, ছিনতাইকারি ফোন নিয়েছে সাথে সাথে ফোন বন্ধ করে ফেলেছে। এখান থেকে আবার অনেকেই বলছিলো যে, চিন্তায় কারে ফোন নিয়েছে সেই লেগুনার ভিতরেই রয়েছে।
আর তাই এই ভাইকে অনেকেই বুদ্ধি দিলো যে, আপনি একটি বাইক নিয়ে তাড়াতাড়ি লেগুনার কাছে গিয়ে খোঁজ নেন। কিন্তু এই ভাই কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিল না। আসলে এরকম পরিস্থিতি যেকোনো কারো সাথে হলেই এমনটা হতো। এসব দেখতে দেখতেই শ্যামলীতে যাওয়ার বাস চলে আসলো তারপর আমি বাসে উঠে পড়লাম।
অবশ্য যখন ফোনটা ছিনতাই হয় তখন শ্যামলী যাওয়ার বাস একটি এসেছিলো সেই বাসটি আমি ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিয়েছিলাম। তারপর বাড়ছে বসে বসে ভাবতে থাকলাম যে, কিভাবে ফোনটা ছিনতাই টা হলো। লেগুনাতে ওঠার সময় বেশ ভালোই ভিড় ছিলো আর ওই ভাইয়ের ফোনটা ছিল পিছনের পকেটে। আর তাই ফোন ছিনতাইকারীর পক্ষে ছিনতাই করাটা বেশ সুবিধা হয়েছে।
আর ফোনটা যখন ছিনতাই হয় তখন ছিনতাইকারীদের দলে অবশ্য বেশ কয়েকজন থাকে যে ব্যক্তি ফোন প্রথমে ছিনতাই করে তার কাছে ফোন কোন সময় পাওয়া যায় না সে মুহূর্তের ভেতরেই তাদের দলের অন্য আরেকজনের কাছে ফোন দিয়ে দেয়। আর তখনই ছিনতাইকারীকে সন্দেহের চোখে ধরলেও কোন লাভ হয় না।
আজকে এই ভাইয়ের ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনাটা দেখে সত্যি ভীষণ খারাপ লাগছিলো। ঢাকা শহরে সব থেকে বেশি হয় ফোন ছিনতাই। আর এসব বিষয় নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কোনই মাথাব্যথা নেই এটা সবথেকে বেশি খারাপ লাগে। আজকের ঘটনাটা যদি বলি পুলিশ আর র্যাবের সামনেই ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনাটা ঘটলো। কিন্তু তারা এ বিষয় নিয়ে কোন স্টেপ নিল না।
তাই আমাদের নিজেদেরই উচিত বাইরে বের হওয়ার সময় নিজের জিনিসপত্রেও বেশ সাবধানে রাখা। তাহলে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। পুরো ঢাকার ভিতরে মোহাম্মদপুরের অঞ্চলটা এসব ছিনতাইয়ের ঘটনার জন্য বেশ বিখ্যাত। আজকে এমন ঘটনা দেখার পর থেকে অবশ্য আমি নিজেও চেষ্টা করব বাইরে সাবধানে চলাফেরা করতে।
কারণ এমন ঘটনা হয়তো আমার সাথে ও কোন না কোন দিন ঘটতে পারে। আমার কাছে মনে হয় নিজের সাবধানতায় সব থেকে বড় সাবধানতা। আপনি বা আমি যত বেশি সাবধানে থাকবো তত বেশি সেভ থাকবো।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


ঢাকা শহর আজব একটি শহর। চোখের সামনেই কত কিছু ঘটে করার কিছুই থাকে না। আপনার বা আপনাদের সামনেই মোবাইল ফোন ছিনতাই হলো কিন্তু করার কিছুই ছিল না। আসলে ঢাক শহরে চলাফেরা করতে গেলে চোখ-কান খোলা রেখে, অনেক সাবধানে চলাই ভালো। "মোবাইল ফোন ছিনতাই" এর ঘটনা নিয়ে লেখাটি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। বেশ ভালো লেগেছে। লেখাটি অনেককেই সচেতন করবে পথ চলতে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই আপু ঢাকা শহর আজব শহর আর এই কারণেই আমার একদমই ভালো লাগেনা। সবাই যাতে সচেতনতার সাথে চলে সেই কারণেই আমার এই লেখা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
গ্রামের প্রকৃতির মাঝে থাকতে পারলে ভালো। শহরের এই দালান-কোঠা কার ই বা ভালো লাগে।মানুষ বেশীর ভাগ প্রয়োজনেই শহরে বসবাস করে।ফোন ছিনতাই পড়ে ভাবলাম আপনার ফোন মনে হয় ছিনতাই হয়েছে।এখন পড়ে দেখি এক বড় ভাইয়ের।ফোন ছিনতাই হয়ে গেলে কেমন লাগে তা আমি বুঝি।আমার নতুন একটি ফোন ছিনতাই হয়েছিল।কি যে কষ্ট পেয়েছিলাম বোঝাতে পারব না।এমন পরিস্থিতিতে সত্যি নিজেকে ভীষণ অসহায় লাগে।বড় ভাইটির ও তেমনটাই হয়েছিল।একবার কোন জিনিস হাতছাড়া হলে আর পাওয়া যায় না।
হ্যাঁ আপু যার ফোন ছিনতাই হয় সে, জানে কতটা কষ্ট লাগে। আর হ্যাঁ ওই পরিস্থিতিতে আসলেই নিজেকে ভীষণ অসহায় লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।