Better Life With Steem || The Diary game || 20th November 2024
Hello Everyone,,,
পৃথিবীতে একজন মানুষ ক'দিন বা বেঁচে থাকে। আগেকার দিনে মানুষ ১০০ বছরেরও বেশি বয়স পর্যন্ত সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতো। এমন কি আমার দাদু, ঠাকুমাও ১০০ বছরের বেশি বেঁচে ছিলো। আর এখন মানুষ খুব জোর স্বাভাবিকভাবে ৬০/৬৫ বছর বেঁচে থাকে।
দুনিয়া তো উন্নত হয়েছে আগের থেকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও আগেরকার তুলনায় অনেক অনেক বেশি উন্নত হয়েছে।
তবে মানুষের আয়ু কেন এত কমে গেছে?
দাদুর মুখ থেকে শুনেছি, আগে চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব অনুন্নত ছিলো। কেউ অসুস্থ হলে সঠিকভাবে তার চিকিৎসা ও সেবা করা হতো না। অধিকাংশ মানুষ অসুস্থ হলে ভেষজ উদ্ভিদের চিকিৎসার উপর নির্ভর করতো।
একেক রোগের জন্য একেক উদ্ভিদের রস বা পাতা খেয়ে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করা হতো আর আশ্চর্যজনকভাবে মানুষ এসব ভেষজ উদ্ভিদের গুণাগুণে অনেক উপকৃত হতো। আর এখন উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়েও সঠিকভাবে সুস্থ করা সম্ভব হচ্ছে না।
তাছাড়া আগের তুলনায় এখন রোগবালাই এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে হাজার গুণ। তবে আগের তুলনায় এখন যেহেতু আমরা উন্নত দুনিয়ায় জীবনযাপন করছি তাহলে আমাদের আরও বেশি ভালো ভাবে বেঁচে থাকার কথা তবে সেটা না হয়ে উল্টোটা কেন হচ্ছে ?? এটা আমাকে অনেক ভাবায়!
আমলকী গাছ |
---|
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম এবং বাড়ির উঠানে হাঁটাহাটি করছিলাম। আমলকী খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে আমলকী খাওয়ার কিছু সময় পর জল খেলে বেশ মিষ্টি মিষ্টি লাগে!
আমাদের বাড়িতে আমলকী গাছ নেই, তবে আমার জেটুর বাড়িতে আছে। তাই সেখানে গিয়ে গাছ থেকে কয়েকটা আমলকী পাড়ার চেষ্টা করলাম। তবে গাছ অনেক বড় হওয়ায় পাড়তে খুব সমস্যা হচ্ছিলো। তখন লম্বা লাঠি দিয়ে অনেকগুলো আমলকী পাড়লাম।
নতুন বউয়ের সাজে |
---|
সকালে খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতে বসে আছি। তখন শুনতে পেলাম -
- কাকা? কাকা?
প্রথমে আমি ইচ্ছে করে ডাক শুনিনি।
- তখন মায়ের কাছে শুনছে, কাকা কই?
উত্তরে মা বললো : কাকা ঘরে!
আবারও কাকা, কাকা বলে ডাকতে ডাকতে ঘরে আসলো। তারপর বললো -
- আমি বউ সাজিছি! কেমন লাগছে আমাকে?
সারাদিন এর পাকা পাকা কথা শুনতে যে এত ভালো লাগে, কি আর বলবো। তখন ওকে কোলে তুলে নিলাম।
কেমন লাগছে নতুন বউকে সেটা অবশ্যই জানাবেন কিন্তু আপনারা!
আসলে এ হচ্ছে আমার মেজো জেটুর ছেলের মেয়ে। আমাদের বাড়িতে দুইটা মেয়ে। দুই দাদার দুটো মেয়ে। এই দু'জন বাড়ি মাতিয়ে রাখে সব সময়। অন্যজনতো ছোটো তাই তার দুষ্টামিও তুলনামূলক কম।
আমাকে ঠিকমতো ঘুমাইতেও দেয় না। সকালে আমার ঘরে এসে ডাকতেই থাকবে যতক্ষণ না পর্যন্ত না উঠবো। তবে তারপরও আমার বেশ ভালোই লাগে!
আজ ওর নুডুলস খেতে ইচ্ছা করছিলো তাই দোকানে গিয়েছিলাম নুডুলস কিনতে। দোকান থেকে নুডুলস কিনে এনে মায়ের কাছে দিলাম। জেটুদের বাড়ি তো আমাদের বাড়ির পাশে তবে ও অধিকাংশ সময় আমাদের বাড়িতেই থাকে।
ছোটদি, ছোটদি ( আমার মাকে ছোটদি বলে ডাকে) তুমি সরে যাও আমি নান্না ( রান্না) করছি।
যাই হোক, ওর কথা সারাদিন বললেও শেষ হবে না।
বিকালে আজও আমি একা একা হাঁটতে গিয়েছিলাম। কিছু সময় হেঁটে রাস্তার পাশে বসে রইলাম। দুপুরের রোদের তেজ কিছুটা কমলেই শীতের আভাস পাওয়া যাচ্ছে আর রাতের বেলায় তো অনেক বেশি শীত পড়ছে। এখন এই অবস্থা কয়েকদিন পর কি হবে সেটাই ভাবছি!
আগের তুলনায় বর্তমান এই যুগে অনেক দিক থেকে উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু আগে মানুষ তরি তরকারি ধান সব কিছুতে সার দিতো না। নিজেদের বাড়ি গোবরি সার তৈরি করে জমিতে দিতো। এবং মানুষ সেখান থেকে অল্প কিছু ফসল পেলেও যেটা পেতো খাঁটি জিনিস পেতো। কিন্তু বর্তমানে এই যুগে কাটা কাটা জমিতে এক বস্তা করে সার দেওয়া হয় আমরা যে জিনিসটা খাই এটা সম্পূর্ণ ঔষধ এর উপরে তৈরি। যার জন্য বর্তমান এই যুগে এসে আমাদের শরীরে অনেক বেশি রোগ দেখা দেয়। আগে মানুষ জমিতে এতো সার দিতো না যার জন্য তারা ভিটামিন জিনিস খেতে পারতো এবং তাদের দেহের ভেতরে কোন রোগ ছিলো না যার জন্য তারা অনেক বেশি দিন করে বেঁচে থাকতো।
@tanay123 মায়া এমন একটি অব্যাক্ত বন্ধন যাকে সবসময় ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়!
বিশেষ করে শিশু আর পশু এরা এতটাই নিষ্পাপ হয়, এদের প্রতি এমনিতেই মায়া কাজ করে।
আমি তো ছেলেবেলা থেকেই বাচ্চা ভালবাসি, এরকম একটা মজার ঘটনা আছে আমার শৈশবের।
সাধারণত বাচ্চা জন্মাবার পর আঁতুড় পালন করা হয়, কিন্তু আমি তখন এতটাই ছোটো এসব বোঝার বয়স হয়নি।
পাড়ায় একজনের সদ্যজাত শিশুকে কোলে নেবার ইচ্ছায় আতুর ঘরে ঢুকে পড়েছিলাম, খানিক বাচ্চাটির সাথে খেলে, ঘরে ঢুকতেই যাবো, অমনি না বলে উঠেছিল, তুই তো আর কোনোদিন ঘরে ঢুকতে পারবি না!
ওই বাড়িতেই তোকে এখন থেকে থাকতে হবে! আমি তো কেঁদে কেটে একশেষ!
আমি বললাম, মা আমি আর কোনোদিন ওই বাড়িতে যাবো না, আমাকে ঘরে ঢুকতে দাও।
আজকেও মনে পড়লে হাসি পায়, কিন্তু সাথে এটাও দেখি এখন শৈশব অনেক বদলে গেছে!
এখন না আছে সেই পাড়া আর না সেই রকমের মানুষ।
আপনার দাদার মেয়েকে ভারী মিষ্টি দেখাচ্ছে বউ সেজে!😍
আমিও গামছা দিয়ে চুল বানাতাম কারণ আমার মায়ের চুল ছিল হাঁটুর নিচ পর্যন্ত লম্বা!
মন ছুঁয়ে গেলো শিশুটির দৈনন্দিন অভ্যেস, এক্ মুহূর্তে নিজের শৈশব ভেসে উঠলো চোখের সামনে।
শিশু ও পশুদের মন হলো পবিত্র যেখানে হিংসা, বিদ্বেষ থাকে না আর না থাকে অহংকার। মনের অজান্তেই আমরা বাচ্চাদের প্রতি মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়ি।
বাচ্চাদের সকলেই অনেক ভালোবাসে। ওদের সাথে দুষ্টামি আর খেলা করার সময় মনে হয় হয়ত আবারও শৈশবে ফিরে গিয়েছি। ওদের অদ্ভুত অদ্ভুত বায়নাগুলো শুনলে অনেক হাসি পায়।
কালই আমাদের বাড়িতে এসেছে আমাকে খাবার দেওয়ার জন্য। তখন আমি দুপুরে একটু ঘুমিয়েছি মাত্র। আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মুখে খাবার ঢুকিয়ে দিলো😀।
আগেরকার দিনে অনেক নিয়মকানুন মেনে চলা হতো তবে এখন সেগুলো আর দেখা যায় না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান সময় দিয়ে আপনার মতামত প্রদানের জন্য। ভালো থাকবেন।