Incredible India monthly contest of November #2|Are you for or against online shopping?

in Incredible India4 days ago
pexels-borevina-1778412.jpg
Source

Hello,

Everyone,

আশা করি সকলে ভালো আছেন । নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এত সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে ম্যাম প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে, যা দেখে সত্যিই মনটা অনেক ভালো হয়ে গেল ।আমি মনে করি, যত সময় হাতে টাকা থাকে সকলি কেনাকাটা করতে পছন্দ করে । নিজেকে সাজার জন্য কিংবা ঘর সাজানোর জন্য, আমাদের জীবনের সকল চাহিদা পূরণ করার জন্য অবশ্যই আমাদের কেনাকাটা করতে হয় ।

সভ্যতার শুরুর দিকে মানুষ বিনিময় প্রথার মাধ্যমে তাদের চাহিদা গুলো পূরণ করতো।যেমন: কোন কৃষক তার ফসল তাতীকে দিতেন তার বিনিময়ে তাতি তাকে পছন্দ অনুযায়ী শাড়ি কাপড় দিতেন। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে প্রযুক্তির উন্নতি সাধন ।তৈরি হয়েছে সকলে চাহিদা পূরণ করার জন্য বড় বড় শপিং মল । কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় সকল কিছুই পাবেন একই ছাদের নিচে ।এর সাথে আরও যুক্ত হয়েছে অনলাইন শপিং । আপনার হাতে একটি স্মার্টফোন থাকলে আপনার ঘরে বেশি সারা বিশ্ব থেকে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করতে পারবেন ।

তবে চলুন মূল বিষয় চলে যাই ।এই আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার পূর্বে আমার প্রিয় বন্ধুদের@almacaridad , @hamzayousafzai @neelofar কে আমন্ত্রণ জানাতে চাচ্ছি।আশা রাখি তারা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তাদের ভালোলাগা গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করবেন ।

✅ Which shopping style do you prefer, online or offline? Reasons.
pexels-cup-of-couple-6956903.jpg
Source

সংসারের কাজ, সন্তান সামলানো এবং চার দেয়ালের ভিতর বন্দি থেকে যখন আমরা বিরক্তি অনুভব করি তখন কেনাকাটার মাধ্যমে আমাদেরকে মনকে আবার পুনরুজ্জীবিত করতে পারি। নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই শপিংমলে যেতে হয় এবং কেনাকাটা করতে হয়। অবশ্যই আমাদের এগুলো কারো কাছ থেকে ক্রয় করতে হয় তা অফলাইন থেকে হোক কিংবা অনলাইন থেকে হোক ।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে শপিং করার ধরনটাও পরিবর্তন হয়ে যায় ।যেমন: ছোটবেলায় আমরা কোন জিনিস যদি পছন্দ করতাম সেটা ভালো-মন্দ যাচাই না করে বাবার কাছে আবদার করতাম । পূজা বা ঈদে কতগুলো পোশাক কিনেছি সেগুলো নিয়ে প্রতিযোগিতায় থাকতাম। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন হয়েছে তাই তো বর্তমান সময়ে নিজের পোশাকের থেকে সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কেনার জন্য বেশি গুরুত্ব বলে মনে করি। আমাদের সাধ্য অনুযায়ী চাহিদা গুলো পূরণ করে থাকি।
“ই” প্রযুক্তির দ্রুত বৃদ্ধির ফলে পণ্য ক্রয়, বিক্রয় ট্রেডিশনাল পদ্ধতি পরিবর্তিত হয়ে অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়েছে। আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ২৪ ঘন্টা, যেকোনো সময় ও যেকোনো দিন আমরা ঘরে বসেই কেনাকাটা করতে পারছি ।

এত সুযোগে থাকা সত্ত্বেও আমি সেই ট্রাডিশনাল পদ্ধতিকে বেশি বেছে নিব। কারন বিভিন্ন শপিং মল ঘুরে পন্যের গুনগতমান যাচাই-বাচাই করে কিনতে বেশি পছন্দ করি ।অনলাইনে কেনাকাটার থেকে অফলাইনে কেনাকাটা বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি।

✅ Share both the Pros and cons of both shopping styles!

আমরা সকলেই জানি কোন বস্তুর ভালো বা মন্দ দুটো দিক থাকে , তেমনি কেনাকাটার ক্ষেত্র অফলাইন এবং অনলাইনের ভালো-মন্দ দুটো বিষয়ে রয়েছে ।নিম্নে আলোচনা করা হলো:

অফলাইন থেকে কেনাকাটা করার সুবিধা:

আমি ব্যক্তিগতভাবে অফলাইন থেকে অনলাইনে শপিং করাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি কারন আমি মনে করি অফলাইনে সুবিধা অনেক বেশি খাকে। আমার চাহিদা অনুযায়ী পণ্যটি বিভিন্ন শোরুমে গিয়ে যাচাই বাছাই করে দেখে কিনতে পারি ।

অফলাইন শপিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতার ভিতরে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়।
অফলাইনে কেনা জিনিসটির কোন সমস্যা হলে তা পরিবর্তন করা যায়।
পণ্যের গুণগতমান যাচাই-বাছাই করে ক্রয় করা যেতে পারে।
হয়তো কখনো পণ্যটি তুলনামূলকভাবে কিছু কম মূল্য পাওয়া যেতে পারে ।

অফলাইন শপিং এর অসুবিধা:

অফলাইন কেনাকাটার প্রধান সমস্যা হলো, কেনাকাটা করতে অনেক সময় লাগে। বিশেষ করে ঈদ ,পূজা এবং বিভিন্ন উৎসবে শপিংমল গুলোতে প্রচুর লোকের সমাগম থাকে ।এই লোক ঠেলে কেনাকাটা করা আসলেই বিরক্তিকর ।

অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়। আমি হয়তো একটি জিনিস কেনার উদ্দেশ্যে শপিংমলে গিয়েছি কিন্তু অন্য একটি জিনিস দেখে খুব ভালো লাগলো তখন সেই জিনিসটিও কিনে নিয়ে আসলাম ।আমার সমস্যা হল, যত সময় আমার মানিব্যাগে টাকা থাকে ততক্ষণ পর্যন্তই শপিং করতে থাকি। নির্দিষ্ট বাজেটে কখনোই আমি অফলাইনে শপিং করতে পারি না ।শপিংমল গুলো ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে যাই।

pexels-n-voitkevich-6214474.jpg
Source

অনলাইন শপিং করার সুবিধা:

ইন্টারনেট সুবিধার কল্যাণে আমরা ঘরে বসেই যেকোনো সময় মোবাইলের বাটনে ক্লিক করে আমাদের পছন্দ শৈলী জিনিস সহজে কিনতে পারি। বিশেষ বিশেষ দিনে অনলাইনে তাদের পন্যে ছাড়ও দিয়ে থাকেন।

নির্দিষ্ট বাজেটের ভিতরে অনলাইন শপিং করা যায় ।অনলাইন শপিংয়ের মাধ্যমে অনেক নারী আজ স্বাবলম্বী হয়েছে । আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েরা অফলাইনে কোন দোকান বা শপিংমল দিতে পারে না কিন্তু ঘরে বসে অনলাইন মাধ্যমে সে একজন উদ্যোক্তা হতে পারে ।তার পরিবারকে সে আর্থিক সাহায্য করতে পারে ।যার ফলে অনেক বেকারত্ব কমেছে। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অনলাইন প্লাটফর্মে অনেক নারী উদ্যোক্ত তৈরি হয়েছে ।যেখানে প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে ।

অনলাইন শপিং করার অসুবিধা :

অনলাইন শপিং এর সুবিধা যেমন আছে তেমনি অসুবিধা অনেক। অনেক ক্ষেত্রে সঠিক সময় পন্য ডেলিভারি দিতে পারছে না। পণ্য যাচাই করার কোন সুযোগ পাচ্ছে না ।অনেক ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান ঠিক থাকে না ।

বিশেষ করে কিছু পেইজ আছে যারা সাধারণ ক্রেতাদের প্রতারিত করছে ।অধিক মূল্য নিয়ে মূল্যহীন পণ্যগুলো বিতরণ করছেন। বর্তমান সময়ে অনলাইন শপিংয়ের প্রধান সমস্যা হলো নতুন এবং ছোটখাটো শপিং সাইট গুলো বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছ থেকে অধিক অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে তাই জনসাধারণেরও অনলাইন শপিং এর উপর থেকে আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে ।

✅ Do you have any bitter experience with online or offline purchases? Share.

কেনাকাটা করতে গেলে সব সময় যে নিজের মনের মত হবে তা নয় , অনেক ক্ষেত্রে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। তা অফলাইন বলুন কিংবা অনলাইন বলুন ।অফলাইনে সমস্যা থেকে আমার অনলাইন কেনাকাটা বেশি সমস্যা হয়ে থাকে। তেমন একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

গতবছর আর্মি বাবুর জন্মদিনে তাকে উপর দেওয়ার জন্য আমি অনলাইন থেকে একটি টাইটানিক ঘড়ি অর্ডার করেছিলাম। যার অফলাইনে মূল্য ছিল ৭০০০ টাকা। অনলাইনে সেই একই ঘড়ি, তারা মূল্য রেখেছিল ২৭০০ টাকা । সুন্দর অফার দেখে আমি অনলাইন থেকে অর্ডার করেছিলাম। যখনই আমি পন্যটি হাতে পড়লাম তখন আমি এতটাই অবাক হয়ে গেছি ।

আমি যে ঘড়ি অর্ডার করেছি সেই ঘড়ির সাথে আমার হাতে পাওয়া ঘড়ির কোনই মিল ছিল না ।অনলাইনের ছবির সাথে সেই ঘড়ি ডিজাইন ও রং মিল ছিল না। টাইটানিকের মত ততটা ভালো ছিল না । তারা আমাকে যে ঘুড়িটি দিয়েছিল তার মূল্য ২৭০০ টাকা একদমই হবে না । হয়তোবা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা হতে পারে ।ঘড়ির এই তিক্ততা আমার অনলাইন থেকে কেনাকাটার উপর আসতেই উঠে যায়।

তারপরও অনলাইন মাধ্যমে কিছু কিছু ভরসার পেইজও আছে ।যাদের পেইজের রিভিউগুলো অনেক ভালো পেয়ে থাকি। অনলাইন থেকে কেনাকাটার সময় আমাদের সতর্কতা সাথে জিনিসগুলো অর্ডার দিতে হবে ।প্রথমত আমাদের সেই পণ্যটির রিভিউগুলো দেখে নিতে হবে । পণ্য ক্রয় করার সময় পরিচিত পেইজ থেকে কেনা উচিত ।
যাই বলি না কেন, আমার কাছে অফলাইন কেনাকাটা সবথেকে বেশি প্রিয় কারণ শপিং করতে গেলে শুধু শপিং করাই হয় না তার সাথে ভালো-মন্দ খাবার খাওয়া হয়। পরিবার-পরিজনদেরকে নিয়ে কিছুটা সময় আনন্দে কাটানো হয় ।
আমার মতামত আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি ।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে ।


3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPmPayXPfM22kXaj3xKw37oQ9tua3JfrnuMRWWqGHfhuyA1UYheY5qjiFbP3BW...JWNUaLb1UAxtVkvpEzFvrbCpiTVHr2qys8cnVHpyrfv38wVPMc1Luya71X8AzcNNuKjF1rHwqMTUWN8r39rGXHzGTLWtLUbqpNh6DHaWG6eK2zUkgnx8ShFKdg.png

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.21
JST 0.038
BTC 96802.26
ETH 3693.52
USDT 1.00
SBD 3.86