বাড়িতে কার্তিক পূজার আয়োজন
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
আশা করছি বাড়িতে কার্তিক ফেলার গল্প আপনারা সকলেই পড়েছেন। এই বছরে একদমই ইচ্ছে ছিল না পুজো করবার। কিন্তু সকলে যখন বলল প্রথমবার বাড়িতে কার্তিক ফেললে পুজো করতে হয়। তাই সবার কথা মতোই শাশুড়ি মা বাড়িতে পুজোর জন্য রাজি হয়ে গিয়েছিল। যেহেতু আমাদের বাড়িতে সেই রকম কোন পুজো করা হয় না। তাই আমার শাশুড়ি মা পূজোর তেমন কোন নিয়ম কানুন জানে না। সকাল বেলায় আমার মামাদের দিয়ে সমস্ত বাজার দোকান সবকিছুই করে আনা হয়েছিল। হয়েছিলাম পুজো করবার জন্য হয়তো কোন ঠাকুরমশাই পাওয়া যাবে না। কিন্তু মামাদের বলতে ঠাকুর মশাইও ঠিক করে ফেলেছিল।
দুপুরে খাবার সেরে আমার শাশুড়ি মা পুজোর কাজে লেগে পড়েছিল। সমস্ত বাসন বের করে নিজের হাতে ধুয়ে সবকিছুই রেডি করেছিল। এরপরে বিকেল বেলায় সমস্ত আলপনা দেওয়া শুরু করেছিল। শাশুড়ি মায়ের ইচ্ছে হয়েছিল কার্তিককে ভোগ নিবেদন করার। যেহেতু বাড়িতে কোন পূজা অর্চনা করা হয় না ।তাই পূজার কিছু বাসন পাশের বাড়ি থেকে আনা হয়েছিল। হয়তো পুজো করবার আগে থেকেই উদ্বেগ নেওয়া হলে সবকিছুই রেডি থাকতো। বাড়িতে প্রথমবার পুজো তাই পাশের বাড়ি এছাড়াও আমার মামার বাড়িতে নিমন্তন্ন করা হয়েছিল। সবকিছুই একা হাতে করা সম্ভব হয়ে উঠছিল না। সকলের জন্যই রাতে কিছু খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
আমার মা, দিদা এছাড়াও পাশের বাড়ির কাকিমা সকলে হাতে হাতে কাজ করছিল। আমার কার্তিক ফল প্রসাদ এছাড়াও লুচি ,আলুর দম খেতে চেয়েছিল। তাই ওনার জন্য লুচি, আলুর দম করার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আলুর দম রান্না করার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে ঈশাকে দিয়েছিলাম আলুর দম রান্না করবার জন্য। এদিকে ঠাকুরমশাই আসতে অনেকটাই দেরি করে ফেলেছিল। প্রায় রাত নটা নাগাদ ঠাকুর মশাই এসে হাজির হয়। শাশুড়ি মা জানেন না কার্তিক পুজোয় কি কি লাগে। তাই তেমন কোন জোগাড় করে উঠতে পারিনি। ঠাকুর মশাই পুজো করতে হয় তো একটু অসুবিধা হয়েছিল।
কিন্তু আমার কার্তিক দেখে ঠাকুর মশায়ের ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। যেহেতু প্রথমবার তাই ঠাকুরমশাই নিজেই বলল এরকম একটু অসুবিধা হবেই। পরেরবার থেকে আমি সবকিছুই আপনাদের বলে দেব। যাইহোক কোন রকমে পুজো করা হলো। পুজো হয়ে গেলে প্রত্যেককে আস্তে আস্তে খেতে দেওয়া হচ্ছিল। আমাদের রাঁধুনি খুব সুন্দর আলুর দম রান্না করেছিল। উনি সবাই কে খাবার খেতে দিচ্ছিল। আমার বাড়িতে কার্তিক খেলার প্ল্যান যেহেতু উনারই ছিল ।তাই আমিও উনাকে দিয়ে অনেকটাই পরিশ্রম করিয়ে নিয়েছিলাম।
আমার বাড়ি সমস্ত আয়োজন দেখে সকলেই খুব খুশি হয়েছিল। এতকিছু আয়োজন করতে পেরে আমরাও খুব খুশি হয়েছিলাম। তবে সকলের থেকে বেশি খুশি হয়েছে আমার শাশুড়ি মা। ওনার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল বাড়িতে পুজো দেওয়ার। এর আগের পোস্টে আপনারা তো পড়েছেন বাড়িতে কার্তিক ফেলেছে দেখে আমার শাশুড়িমা বেশি খুশি হয়েছিলেন। তোমার বাড়ির পুজোতে সকলে অংশগ্রহণ করেছিল। আমার কার্তিক বাজনার আওয়াজ শুনতে চেয়েছিল। তাই কাঁসর ,ঘন্টা বাজিয়েই কার্তিকের আরাধনা করা হয়েছিল। আমার বর আর আমি দুজনেই পুজোতে বসে ছিলাম। ভক্তি ভরে দুজনেই কার্তিককে আরাধনা করছিলাম।
আজ এইখানেই শেষ করছি। পরবর্তী কোনো গল্প নিয়ে আবার হাজির হব আপনাদের মাঝে।
কার্তিক মাসের পূজা সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না তবে আপনার লেখা পড়ে জানতে পারলাম বাড়িতে কার্তিক পূজার আয়োজন করেছেন এবং সেগুলো আমাদের মাঝে খুব ভালোভাবেই বিস্তারিত আলোচনা করলেন।
বাড়িতে কোন অনুষ্ঠান হলে বাড়ির মুরুব্বিরা সবচেয়ে বেশি খুশি হয় বিশেষ করে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পূজার সার্বিক দিক আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Welcome
আপনারা এর আগে কখনো পূজা করেননি তাই তো আপনাদের পূজোর কোন থালাবাসন ছিল না ।অন্যের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিলেন । এখন থেকে যেহেতু পূজো শুরু করেছেন অবশ্যই একটু একটু করে পূজোর থালা বাসনত গুছিয়ে নেবেন।
পূজোর সাজে আপনাকে অসাধারণ লাগছে ।আপনার ও দাদার জন্য রইল শুভকামনা । কার্তিক ঠাকুর আপনাদের মনের বসোনা পূর্ণ করুক ।
থালাবাসন একদমই ছিল না, এমনটা নয়। তবে একটা পুজো করতে অনেক বাসনপত্র লাগে। আবার সেগুলো নিরামিষ ব্যবহার করতে হয়। তাই হয়তো পাশের বাড়ি থেকে সেগুলো নিয়ে এসেছিলাম। আমাদের আশেপাশের বাড়িতে কোন পুজো হলে এরম টাই আমরা করে থাকি। আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।