𝐁𝐞𝐭𝐭𝐞𝐫 𝐋𝐢𝐟𝐞 𝐖𝐢𝐭𝐡 𝐒𝐭𝐞𝐞𝐦 || 𝐓𝐡𝐞 𝐃𝐢𝐚𝐫𝐲 𝐠𝐚𝐦𝐞 || 𝟐𝟏/𝟏𝟏/𝟐𝟎𝟐𝟒
হ্যালো বন্ধুরা!
সকলকে আমার আজকের পোস্টে স্বাগতম। দেরি না করে আবারো ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে। প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি অনেক ভালো আছি। আজকের দিনটা আমার খুব ব্যস্ততার মাঝে কেটে গেছে। চলুন, আর দেরি না করে ব্যস্ততার সময়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
শুভ সকাল
আজকে সকালে একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছি, তবে আজকে নাস্তা বানানোর তাড়া ছিল না। দোকান থেকে পরোটা ও ডাল নিয়ে আসলো, সেগুলো দিয়ে সকালের নাস্তা করলাম।
আজকের সকালে নাস্তা করে খুব ভালো লাগলো। অনেক দিন বাদে সবাই একসাথে বসে সকালের নাস্তা করলাম। প্রতিদিন তো ঠিকমতো নাস্তা করা হয় না; কেউ আগে, কেউ পরে। কিন্তু ভাইয়ার যেদিন অফিস বন্ধ থাকে, সেই দিন সবাই একসাথে বসে খেতে পারি।
নাস্তা করে রুমে বসে কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করলাম। এরপর সাড়ে দশটা বাজে, সঙ্গে সঙ্গে রান্নাঘরে চলে গেলাম। আজকে দুপুরে রান্না করতে নিয়েছি মুরগির মাংস, পালং শাক, আর কৈ মাছ দিয়ে চিচিঙ্গা আলু । রান্নার জন্য সবকিছু গুছিয়ে নিলাম।
দুপুরের রান্নার আয়োজন
এরই মধ্যে শুনলাম, তাদের দুই ভাইয়ের মুখে রুম অদল-বদল করবে। আসলে ভাবীরা যে রুমে থাকে, ওই রুমের ল্যাপটপ, কম্পিউটার রাখা। ভাবি আসার পর থেকে সাহেবের ওই রুমে যাওয়া হয়নি, আর অনলাইনের কাজ করতেও পারছে না। মোবাইল দিয়ে কাজ করতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। তাই তারা আজকে সিদ্ধান্ত নিলো, আজকে রুম চেঞ্জ করবে।
তাই রান্না রেখে আমি সেদিকের কাজে লেগে পড়লাম। তারা শুধু রুমের বারি - বারি জিনিসগুলো সরিয়ে দিয়েছে, আর বাকি কাজগুলো আমাদের করতে হয়েছে। সবকিছু গুছিয়ে নিতে প্রায় দুপুর একটা বেজে গেল। ওদিকে রান্না বসিয়ে রেখেছি, কাজগুলো শেষ হওয়ার পর ডানে- বামে আর না তাকিয়ে তাড়াতাড়ি করে রান্না করে নিলাম।
রান্না শেষ হওয়ার পর সমস্ত রুম ঝাড়ু দিয়ে তারপর ছেলেকে গোসল করিয়ে দিলাম। ছেলেকে পরিপাটি করে রেখে এরপর আমি গোসল করতে গেলাম। গোসল করতে গিয়ে দেখি সাহেবের কতগুলো জামা-প্যান্ট ভিজিয়ে রেখেছি, তাও মনে ছিল না। তাই গোসলের আগে ওগুলো ধুয়ে নিলাম, তারপর নিজে গোসল করলাম।
গোসল করে এসে জোহরের নামাজ পড়লাম। নামাজ শেষে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাওয়াতে বসি এবং আমরাও সবাই খেলাম।
দুপুরে খাবার খেতে খেতে অনেকটাই বেলা হয়ে গেল। ছেলেকে নিয়ে শোয়ার পর ছেলে ঘুমিয়ে গেল, আমি আর ঘুমাইনি; কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করি। এরপর আসরের আযান দিলে ওযু করে নামাজ পড়ি।
সন্ধ্যা
নামাজ পড়ার পর আবার একটু শুয়ে ছিলাম। শুয়ে থাকার কিছুক্ষণ পরে মাগরিবের আজান দিল, নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে কিছুক্ষণ বসে থাকি। সাহেব এবং ভাইয়া দুজনেই বাইরে চলে গেল। আধাঘণ্টা পর তারা আসলো এবং আসার সময় সন্ধ্যার নাস্তা নিয়ে আসলো। এরপর যার যার রুমে বসে তারা খেয়ে নিলাম।
সন্ধ্যার নাস্তার পর ছেলেকে নিয়ে পড়তে বসা।
নাস্তা করে ছেলেকে কিছুক্ষণ পড়তে বসালাম। ছেলে দিন দিন যতটা বড় হচ্ছে, ততটা দুষ্টুমিতে মন যাচ্ছে। পড়তে বসলে বইয়ের ভিতর কি কি খেলনার ছবি আছে, সেগুলো দেখে। বিশেষ করে গাড়ি এবং বলের ছবিগুলো দেখে, আর পাশেও ওর খেলনার জিনিস নিয়ে পড়তে বসে।
ছলেভলে কিছুক্ষণ পড়াতে পেরে তারপর আর পারিনি। এরপর আজকের পোস্টটা লিখে ফেলি। আজকের লেখা এ পর্যন্তই। সামনে আর এগালাম না।
যাইহোক, আজকের মতো লেখা এখানে শেষ করতে চাই। আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে। (আল্লাহ হাফেজ)
ছোট্ট বেলায় সবাই এমন দুষ্টামি করে থাকে এটা ছেলে করছে শুধু তা নয় ছেলের বাবা ও ছোট বেলায় এমন দুষ্টামি করেছে। যাইহোক একটু দুষ্টামি করলাম। আসলে এমন দুষ্টামি আমরা সবাই করেছি। ছোট বাচ্চাদের পড়াশোনা করাতে গেলে অনেক কষ্ট হয়ে যায় এটা আমরা সবাই কম বেশি বুঝি। আপনি ও আপনার সন্তানকে পড়াতে গিয়ে কিছুটা কষ্ট হয়েছে এটা বুঝতে পারছি। যাইহোক তবুও ছোট বাচ্চাদের পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। ভালো লাগলো আপনারা আজকের পোস্টটি পরিদর্শন করতে পেরে।
Congratulations... I have recommended this post to get support from Steemchiller and Realrobinhood.
আমি এই জন্য সব সময় বলি শিক্ষিত মা ছেলে মেয়ের প্রধান শিক্ষক কেননা একজন মা পারে সংসারের সমস্ত কাজ গুছিয়ে তার ছেলে মেয়েকে সুন্দর সময় পড়াতে। সন্ধ্যার সময় ছেলেকে নিয়ে পড়াতে বসেছেন এটা দেখে বেশ ভালই লাগছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদেরকে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।