স্টোন চ্যারিয়ট
স্টোন চ্যারিয়ট - অর্থাৎ পাথরের রথ৷ ভারতবর্ষের তিনটি পাথরের রথের মধ্যে এটি অন্যতম৷ কেন? ছবিটা দেখলেই কি মনে আসে বলুন তো? টাকার ব্যাগে পঞ্চাশ টাকার নোট আছে কি? একবার মিলিয়ে নিন৷
ভারতবর্ষের সপ্তম আশ্চর্যের একটি আশ্চর্য হল এই পাথরের রথটি। ষোল শতকে বিজয়নগরের রাজা কৃষ্ণদেবরায়ের আদেশে এই রথটি তৈরি করা হয়৷ কেন জানেন? কলিঙ্গের সাথে যখন যুদ্ধ হয়েছিল কোনারকের সূর্যমন্দির দেখে তিনি মুগ্ধ হয়ে চেয়েছিলেন তার রাজ্যেও এমন কিছু করতে৷ তবে লোকাল গাইডের কথায় জানতে পারি বিজয় ভিত্তল মন্দিরের সামনে এটি বানিয়ে রাখা হয়েছে, কারণ এই রথ ভগবান বিষ্ণুর বাহন গড়ুড় কে উৎসর্গ করা হয়েছে৷ বিষ্ণু হলেন ধন-দৌলত, প্রতিপত্তির দেবতা। তিনি সাজসজ্জা পছন্দ করেন৷ এমন সুন্দর রথ থাকে ভেট হিসেবে দেওয়াই যায়। তাই না?
অনেক ছোট ছোট পাথর কেটে এমন সুন্দর রথ তৈরি হয়েছে। রথটিকে টানছ দুটি হাতি। গায়ে যে চিত্র খোদাই করা আছে তা বেশিরভাগই পৌরাণিক যুদ্ধের চিত্র। গাইড বলেছিলেন রথের মাথা আগে মন্দিরের চুড়ার মতো ছিল। কিন্তু হানাদার বাহিনী দ্বারা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছিল আর পরের দিকে সময়ের সাথে সাথে ক্ষয়ও ঘটেছিল। কিন্তু ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের আন্ডারে আসার পর এটিকে সারাই করা হয়। বর্তমানে এমন সুন্দর দেখতে হয়েছে।
এই পাথরের রথের সামনেই যে ভিত্তল মন্দির আছে তার দালান থেকে দেখা যায় বালি, সুগ্রীবের রাজ্য । সত্যি বালি বা সুগ্রীব ছিল কিনা জানি না তবে কালোমুখো ও সাদা মুখো হনুমানের অভাব নেই৷ তাদের হাঁটা চলা, আচার আচরণ দেখে মনে হয় এ তাদেরই রাজ্য আর আমরা ট্রেসপাসারস।
তবে আর দেরী কেন? গোয়া আসার পথে হসপেটে নেমে দুদিনের ছোট্ট একটা হল্ট নেওয়াই যায়। দুদিন? হ্যাঁ দুদিন তো লাগবেই আরও অনেক জায়গা আছে যে। তবে এখনও ভারতীয়দের উপচে পড়া ভিড়ে দম বন্ধ হয়ে যায়নি এই হাম্পি। ওদিকে বিদেশীরা কিন্তু ছাড়ে না। তারা হয়তো ভারতে পা দেওয়ার আগে থেকেই জেনে আসে ভারতের খাজানাগুলো ঠিক কোথায় কোথায় আছে৷
অসাধারণ। অনেক informative লেখা
ভালোবাসা নিও।