নওতাপ এর প্রথম দিন ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজকে অর্থাৎ ২৫শে মে থেকে আবার শুরু হয়েছে নওতাপ। বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে টানা নয় দিন এই নওতাপ চলবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে এই প্রচন্ড গরম নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
আজকে নীলফামারীতে তাপমাত্রা ছিলো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।প্রচন্ড গরমে যেন জনজীবন অতিষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাইরে যেন গাছের একটি পাতাও নড়ছে না। মানুষ জরুরী কাজ ছাড়া এই গরমে বাসার বাইরে বের হচ্ছে না। বাইরে গেলেই নয় এমন কাজ ছাড়া কেউ যেন ঘরের বাইরে যাচ্ছেনা। আজকে সূর্যের তাপ এতটাই বেশি ছিল যে এটি অনুভব করার ছিল ৪৬° সেলসিয়াস তাপমাত্রার মতো। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন এই নওতাপ আরো ৯ দিন পর্যন্ত থাকবে এবং আজকে তার প্রথম দিন। প্রথম দিনেই প্রায় অসম্ভব গরম পরেছে।
পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। আমার মতে পৃথিবীতে তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে সবথেকে বেশি দায়ী হলো মানুষ। পৃথিবীর তাপমাত্রা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বনউজাড়, গাছপালা বেশি বেশি করে কাটার কারণ এ পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো গ্রীন হাউজ গ্যাস। প্রকৃতিতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ পরিবেশে যত বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে পৃথিবী ততই বেশি উত্তপ্ত হবে।
আবার পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে আমাদেরকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং ভবিষ্যতেও আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে অনেক জায়গায় হিটস্ট্রোকে মানুষ মারা যাচ্ছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধির কারণে মেরু অঞ্চলের বড়ফ গলে যাচ্ছে এর ফলে মেরু অঞ্চলের আশেপাশের অঞ্চলগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এবং মেরু অঞ্চলের বরফে রয়েছে নানা ধরনের অজানা ভাইরাস যা মানবজাতির জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ।
আমাদের সবার উচিত বেশি বেশি করে বৃক্ষরোপণ করা। যেখানে প্রতিটি দেশের বন এর পরিমাণ ২৫ শতাংশ হওয়ার কথা সেখানে বাংলাদেশের মাত্র ১৭ শতাংশ তাও এটির পরিমাণ দিন দিন আরো অনেক বেশি কমছে। এই অতিরিক্ত গরমে আমরা প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হই। এবং বেশি বেশি করেলে গোপানি অথবা শরবত খাই। আমরা সবাই এই গরমে সুস্থ থাকি এই কামনাই করি।
আজকের মত এখানেই। এতক্ষণ ধরে আমার ব্লগটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই নওতাপ বলতে এখনো কিছু হয়নি।আগামিকাল থেকে নিন্মচাপের একটা সম্ভাবনা আছে আশা করি হবে।কারণ ঝরের পুরবাভাস অলরেডি দিয়েছে।হা গরমে টেকা দায় হয়ে গিয়েছে আশা করি এই বৈরি আবহাওয়া দ্রুত শেষ হবে।
আমাদের এখানেও আজকে বেশ ভালই গরম পড়েছিল। তবে রাতে হালকা বৃষ্টি হয়েছিল যার কারণে একটু ঠান্ডা আছে। আর একটা বিষয় সবাই জানি যে গাছ কাটার কারণে গরম বাড়ছে। কিন্তু কয়জন আবার নতুন করে গাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করছে। যাই হোক জানি না ভবিষ্যতে কি আছে। চেষ্টা করতে হবে আমাদের দ্বারা যতোটুকু সম্ভব এই গরমকে দূর করা। এবং বাকিটা আল্লাহর উপর ছেড়ে দেওয়া। ধন্যবাদ
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
নওতাপ এর ব্যাপার টা ফেসবুকে দেখলাম। সত্যিই বেশ ভয় করছে। অতিরিক্ত গরম মানুষের শরীরের পক্ষে ঝুকিপূর্ণ। অনেকেই তো হিটস্ট্রোক করছে শুনছি। তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেছনে আমরা মানুষেরাই দায়ী। প্রতিনিয়ত যেভাবে গাছ কাটছে বনভূমি ধ্বংস করছে কিছু বলার নেই। না জানি সামনে আরও কী ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে।
হুম ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন।