"মানসিক যন্ত্রণা যেন মৃত্যুসম"
নমস্কার
মানসিক যন্ত্রণা যেন মৃত্যুসম:
বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমি ভিন্ন ভিন্ন পোষ্ট করতে ও লিখতে ভালোবাসি।তাই আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট নিয়ে।আসলে অনেকদিন হলো শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে কিছুই লেখা হয়না।তাই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো--মানসিক যন্ত্রণা কতটা ভয়াবহ হতে পারে তার পরিণাম সম্পর্কে।মানসিক যন্ত্রণাগুলি মানুষের মনকে কুরে কুরে খায় আর মস্তিষ্ককে জর্জরিত করে ফেলে পুরোপুরিভাবে। এছাড়া এ ক্ষেত্রে কারো কারো মত ভিন্ন হতে পারে তবে আমি শুধুমাত্র আমার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছি।যাইহোক তো চলুন শুরু করা যাক----
মানসিক যন্ত্রনা অর্থাৎ আমাদের বিরক্তিকর অনুভূতিগুলিকে বোঝায়।তাছাড়া অপমান,ক্রোধ ইত্যাদিও মানসিক যন্ত্রণার অন্তর্ভুক্ত।এই যন্ত্রণা নানা কারণে হতে পারে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে।তবে যাই হোক না কেন মনের মধ্যে আত্মতৃপ্তিগুলি বা প্রশান্তিগুলি চিরতরে নষ্ট করে দেয় এই মানসিক যন্ত্রণাগুলি।
উদাহরণস্বরূপ, যেমন শ্রম বলতে আমরা দুইভাবে বুঝি।কায়িক শ্রম ও মেধা শ্রম।কায়িক শ্রম বলতে যা আমাদের শরীর দিয়ে করা হয় কিন্তু মেধা শ্রম আমাদের মস্তিষ্ক দ্বারা করা হয়ে থাকে।আমি এখানে এই মেধার কথায় বলছি,,যেটা আমাদের মনের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ। শরীরে ব্যথা হলে ধীরে ধীরে তা মিলিয়ে যায় আবার বাইরে থেকে সেটা অনেকসময় দেখা যায়।কিন্তু মনের ক্ষত কখনো বাইরে থেকে দেখা যায় না আর তা শুধু মনেতেই দাগ কাটে।যেটা শরীর ও মন উভয় ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলে,মনের কষ্টগুলো শুধুমাত্র অনুভব করাই যায়।
মানুষ যখন কথার মাধ্যমে বা তার আচরণের মাধ্যমে মানুষের মনকে আঘাত করে সেটা কখনো সাময়িক যন্ত্রণার আবার কখনো দীর্ঘদিনের যন্ত্রণার হয়ে থাকে।মানসিক যন্ত্রণাগুলি একটি মানুষকে পুরোপুরি কর্মবিমুখ করে তুলতে পারে আবার জীবনকে পাল্টে দিতেও পারে।এই যন্ত্রণাগুলি মানুষের মনকে ক্যানসারের মতো কুরে কুরে খায়।মানুষের হৃদয়কে সর্বদা ব্যাকুল ও চঞ্চল করে তোলে।তখন ধীরে ধীরে মানুষ ভেঙে পড়ে সবদিক থেকেই,যেখান থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় আসা অনেকখানি কঠিন হয়ে পড়ে।
মানসিক যন্ত্রণা একটি মানুষকে পুরোপুরি বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে।যে যন্ত্রণাগুলি বাইরে থেকে দেখা যায় না অথচ অনুভব করা যায়। যার ফল অনেক ভয়াবহ হয়ে থাকে এবং মস্তিষ্ককে জর্জরিত করে ফেলে।তাই সর্বদা মনকে প্রশান্ত রাখা উচিত।যতই মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে ততই মানুষের মন ও মস্তিষ্ক খারাপ দিকে অগ্রসর হবে।যেটা বেঁচে থাকতেও অনেকখানি মৃত্যুর যন্ত্রনা অনুভব করাতে সাহায্য করে।তাই মানসিক যন্ত্রনা অনেকটাই মৃত্যুর সমান।
এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে আমরা কিভাবে মুক্তি পেতে পারি সেটাই খুঁজে বের করতে হবে।কারন জীবনে অনেক মানসিক যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হয় তাই তার উপায় জানাটাও জরুরি।নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং নিজের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।যেমন-পর্যাপ্ত ঘুম পড়া ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।সর্বোপরি নিজেকে সময় দিতে হবে যন্ত্রণাকে দূরে সরিয়ে।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
টুইটার লিংক
টাস্ক প্রুফ:
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কথায় বলে যার মন ভালো থাকে তার সবকিছু ভালো থাকে। তাই জীবনে প্রথমে মনকে সন্তুষ্ট করতে হয়। আর মানুষের যন্ত্রণা থেকে জীবনের সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়। তোমার পোস্টে কথাগুলো একেবারে ঠিক লিখলে। আসলে শারীরিক যন্ত্রণা তখন উপশম হয়ে যায়, যদি কেউ মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকে।
ঠিক বলেছেন দাদা,মন ভালো থাকলেই সবকিছু ভালো।ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মতামতের জন্য।
মানসিক যন্ত্রণা সত্যিই অনেক বেশি কষ্টের।কয়েকদিন থেকে আমিও এই কষ্ট ভোগ করছি। আসলে মৃত্যুর চেয়েও যন্ত্রণাদায়ক এই মানসিক যন্ত্রণা।
আমিও আমার পরিবার এই যন্ত্রণার মাঝ দিয়ে দিন অতিবাহিত করেছি।সেই ভাবনা থেকেই লিখলাম আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
জীবনের চলার পথটা সব সময় মসৃন থাকে না।এই জীবনে নানা রকম যন্ত্রণা আমরা পেয়ে থাকি।তবে আমার কাছেও মনে হয় মানসিক যন্ত্রণা মৃত্যুসম।মানসিক যন্ত্রণা একজন মানুষ কে তিলে তিলে শেষ করে দেয়।এই যন্ত্রণা কেউ দেখতে পায়না।তবে এই যন্ত্রণা থেকে উত্তরনের জন্য আমাদের কে পদক্ষেপ নিতে হবে।খুব সুন্দর লিখেছেন দিদি।
আসলেই জীবনে চলার পথ অনেক কাঁটাযুক্ত,ধন্যবাদ আপনাকেও আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু মানসিক যন্ত্রণা অনেক খারাপ জিনিস। এটা মানুষকে ভিতর থেকে কুড়ে কুড়ে খায়।আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
আপনার সাবলীল মতামত ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
একদম ঠিক বলেছেন আপু মানসিক যন্ত্রণা এত কষ্টের এটা কাউকে বলা যায় না আবার নিজের মনের মধ্যে চেপে রেখে তৈরি হয়ে যায় অনেক বড় যন্ত্রণা। আপনি খুব সুন্দর ভাবে উদাহরণসহ বিষয়টা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সঠিক বলেছেন, মানসিক যন্ত্রণা যতই চেপে রাখা হয় ততই যেন কষ্ট বাড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। মানসিক যন্ত্রণা আসলেই খুব খারাপ। কারণ আমাদের শরীর খারাপ হলে, আমরা মেডিসিন খেয়ে সুস্থ হয়ে যাই। কিন্তু মানসিক যন্ত্রণা দূর করাটা খুবই কঠিন। তাই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তির রাস্তা আসলেই খুঁজে বের করা উচিত আমাদের। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মানসিক যন্ত্রণা থেকে হঠাৎ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তাই তার সমাধান খুঁজে পাওয়া ভীষণ দরকার।ধন্যবাদ আপনাকে।
মানসিক যন্ত্রণা একটা মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। মানসিক অশান্তি কখনোই মানুষকে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে দেয় না। শারীরিক অসুস্থতার চেয়ে মানসিক অসুস্থতা অনেক বেশি ক্ষতি করে।মানুষের কথার আঘাত আমাদের জীবনে তীরের মত গেঁথে যায় যেটা কখনো সারানো সম্ভব নয়।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন আপু,কথার আঘাত তীরের মতোই বিঁধে।ধন্যবাদ আপনাকে।
মানসিক যন্ত্রণা মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়।
👍