প্রকৃতির অনিয়ম ||10% beneficiary for shy-fox||
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এদেশে একটির উপর আরেকটি ঋতু পর্যায় ক্রমে আবর্তিত হয়। প্রতিটি ঋতুতে দেখা যায় প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন রূপ। গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া থাকে উত্তপ্ত। উত্তপ্ত আবহাওয়ায় মাঝে মাঝে কালবৈশাখী ঝড় হতে দেখা যায়। গ্রীষ্ম ঋতুর পর প্রকৃতিতে আগমন ঘটে বর্ষা ঋতুর। বর্ষা ঋতুতে খুব বেশি বৃষ্টিপাত হয়। শরৎকালের চারদিকে নদীর ধারে কাশফুল জন্মে। শীতকালে আবহাওয়া শীতল থাকে। কিন্তু শীতকালে প্রকৃতিতে বৃষ্টিপাত হতে দেখা যায় না।
কিন্তু বর্তমানে প্রকৃতির এই ঋতু বৈচিত্র যথেষ্ট ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্ষা ঋতুতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে গেছে। গ্রীষ্মের উত্তাপ ও তেমন একটা দেখা যায়না গ্রীষ্মকালে। প্রকৃতির এই পরিবর্তন কখনো আমাদের জন্য মঙ্গল জনক নয়। অবশ্য প্রকৃতির পরিবর্তনের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। আমরা প্রকৃতির প্রধান উপাদান গুলো প্রতিনিয়ত ধ্বংস করে ফেলেছি। একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশে এই ২৫ ভাগ বনভূমি থেকে কমতে কমতে এখন ১৬ ভাগে নেমে এসেছে। আমরা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কিংবা আর্থিক লাভের আশায় কিংবা নতুন নতুন দালান কোঠা নির্মাণ করে গাছপালা কেটে বনভূমি উজাড় করছি। ফলে বিভিন্ন ঋতু তার নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছে।
প্রকৃতির উপাদান এর মধ্যে শুধু যে আমরা বনভূমি ধ্বংস করছি তা নয়। নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলার মাধ্যমে নদী-নালাও প্রতিনিয়ত ভরাট করে ফেলেছি। আবার ওই ভরাট হয়ে যাওয়া নদীর আশেপাশে নির্মাণ করছি দালানকোঠা। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, এয়ার কন্ডিশনার এবং রেফ্রিজারেটর ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের আপডেট করছি। কিন্তু এগুলো থেকেও বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রশ্মি নির্গত হচ্ছে। যা ধ্বংস করছে পৃথিবীর ওজোন স্তরকে। ওজোন স্তর গতির ফলে সূর্য থেকে নির্গত বিভিন্ন ক্ষতিকর রশ্মি পৃথিবীতে প্রবেশ করছে। এতে করে পৃথিবীবাসী নিজেদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।এই অবস্থা বজায় থাকলে এক সময় তা আমাদের জন্যই হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে। আধুনিকতার নামে আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছি। এই ক্ষতি একবারে সম্পন্ন হচ্ছে না বিধায় আমরা তা বুঝতে পারছি না। এখন থেকেই আমাদের সচেতন ও তার সঙ্গে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তাহলেই কেবল আমরা নিজেদেরকে প্রকৃতির অনিয়মের বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারব।
আপনি একদম বাস্তব সম্মত কথাগুলো লিখেছেন ভাই। বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র্য পূর্বের মত নেই। এর জন্য দায়ী আমরাই। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন জীব হয়েও আমরা জেনে বুঝে ভুল করছি। যা কখনোই কাম্য নয়।খুব সুন্দর একটা কনটেন্ট আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার মন্তব্যটি অনেক সুন্দর এবং গঠনমূলক ছিল।এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক বলেছেন বর্তমানে ঋতু পরিবর্তনে কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় পূর্বের তুলনায়।কখনো বৃষ্টি ,কখনো রোদ ।সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।