আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু
বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ফাউন্ডার "এডমিন ও মডারেটর প্যানেল সহ সকল সদস্যদের জানাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।

আমি
@tuhin002 বাংলাদেশ থেকে লিখছি। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে আজ আমি আবারও আরেকটি ভিডিওগ্রাফি ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি। গতকাল রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ট। আমার পরিবারের সবাই এক জায়গায় বসে আছি। হঠাৎ করে পাশের বাড়ির এক চাচী ছাদের উপর থেকে আমাকে ডেকে বলছে তোমাদের পেয়ারা সব খেয়ে ফেলল। আমরা পেয়ারা গাছের পাশে দাঁড়িয়ে আছি আমরা অবশ্য লক্ষ্য করে দেখিনি যেখানে একটি হনুমান এসেছে । আমি চাচিকে বললাম কে খেয়ে ফেলল? তখন উনি বলল তুমি তোমার সামনে দিকে তাকাও তুমি দেখতে পারবে। এরপরে তাকে দেখে এক খোঁজার তো হনুমান। আমার বাড়ির ছাদের উপরে পাশে পেয়ারার গাছ থেকে পেয়ারা বাড়ছে আর খাচ্ছে । এটা দেখে আমি তার ভিডিওগ্রাফি করেছি। আর এখন আমি আপনাদের সাথে সেই ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি । আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

সত্যি কথা বলতে যে কোন প্রাণীর উপরে আমার অনেক মায়া লাগে। অনেকেই পশুপাখি ধরে ধরে খায় কিন্তু আমার তাকে মারতেই তো কষ্ট লাগে খাওয়া তো দূরের কথা। প্রাণী হলো পরিবেশে রক্ষা করে। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা প্রত্যেকটা প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন মানব কুলের উপকারের জন্য। প্রতিটা প্রাণে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে মানুষের উপকার করে যাচ্ছে। মানুষ একজন যান্ত্রিক সে চলার পথে হয়তোবা এগুলো উপলব্ধি করতে পারছে না। যাই হোক হঠাৎ করে এই হনুমানের আগমন। বেশ কিছুদিন আগে একসাথে প্রায় সাত থেকে আটটি হনুমান এসেছিল আমাদের গ্রামে। তার মধ্যে একটি হনুমান ঠিক ওইভাবে আমাদের ছাদের উপরে আসছিল এবং পেয়ারা পাড়ার পেড়ে খাচ্ছিল। এবং তার হাতে আমি একটা মোটা ডালিম দেখছিলাম সেই ডালিমটি সে যেভাবে খাচ্ছিল তাতে মনে হচ্ছিল যে সে ভীষণ ক্ষুধার্ত ছিল। ঐদিন হনুমানটি বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না। কিন্তু গতকালকে যে হনুমান এসেছিল ওই হনুমানটিও অনেকক্ষণ বসে ছিল। গাছে পেয়ারা পেড়ে পেড়ে খাচ্ছিল আর আমি বসে তা দেখছিলাম।

আসলে যেহেতু এসব জিনিসগুলো সচরাচর দেখা যায় না তাই যদিও কেউ দেখতে পায় তাহলে বাড়ির আশেপাশের সবাই একটু হৈচৈ করে ওঠে। তবে আশ্চর্যের বিষয় এত মানুষ থাকে হৈচৈ করছে ডাকছে তারপর তাড়া দিচ্ছে কেউই তার কোন ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। সে শুধু এদিক ওদিক টাকা আছে এবং গাছ থেকে পেয়ারা বাড়ছে আর খাচ্ছে। আমার ছোট চাচা কোথা থেকে যেন কিছু কলা নিয়ে আসলো এবং সে তাকে ডাকলো। প্রথমদিকে তার ডাকে সাড়া না দিলেও কলা দেখানোর পরে দেখি সে জোরে চলে গেল এবং দূর থেকে ফেলে দিল এবং সে ধরলো এবং সেই কলা সে খেতে থাকলো। এভাবে অনেকক্ষণ সে আমাদের ঘরে ছাদের উপরে বসে ছিল এবং অনেক মানুষজন তাকে দেখছিল। আসলে এসব জিনিস গুলো কোথাও না কোথা থেকে চলে আসে এবং তাদের ক্ষুধার তাড়নায় তারা এদিক ওদিকের ছুটে বেড়ায়।
source
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। |
ডিভাইসের নাম | Poco |
মডেল | M2 |
ফটোগ্রাফার | @tuhin002 |
ক্যাটাগরি | ভিডিওগ্রাফি |
লোকেশন | জুগির গোফা, গাংনী, মেহেরপুর। |
আজকে আমি প্রথম ভিডিওগ্রাফি আপনাদের সামনে শেয়ার করলাম। ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ। |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

VOTE @bangla.witness as witness

OR
SET @rme as your proxy


হ্যাঁ এরকম মাঝে মাঝে দেখতে পাওয়া যায় এই সিজনে হনুমান বিভিন্ন এলাকায় বিচরণ করে এলাকার ছোট্ট বাচ্চারা শুরু করে দেয় হইচই। ছোট্টবেলা আমিও হনুমান দেখে অনেক হইচই করেছি ভয়ও পেতাম। আপনার মত আমিও পশু পাখিকে খুব ভালোবাসি তাদের জন্য অনেক মায়া। কখনো কোনো পশু পাখির গায়ে হাত দেইনি।
আমরাও অনেক ছেলেরা একত্রিত হয়ে হনুমান আসলে তাদের পিছনে আমরা ধাওয়া করতাম। খুব ভালো লাগলো আপনি পশু পাখিকে ভালবাসেন এটা জেনে।
https://twitter.com/ABashar45/status/1692389750135791974?t=oVaHkzFAgawDdf2hzOIz7A&s=19
হঠাৎ কোনো জিনিস দেখতে খুবই ভালো লাগে। তবে ভয় লাগে। হনুমান টা যখন আপনাদের পেয়ারা গাছে বসে পেয়ারা খাচ্ছিল তখন আমি দূর থেকে দেখছিলাম। দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। ওর পেয়ারা খাওয়া দেখে মনে হচ্ছিল হনুমানটা বেশ ক্ষুধার্ত। আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।
তুমি ঠিক ধরেছ বোন, হনুমান যেভাবে পেয়ারা খাচ্ছিল তাতে দেখে বোঝা যাচ্ছিল সে খুবই ক্ষুধার্ত ছিল। আসলে এসব হনুমান গুলো খাওয়া পায় না যার কারণে এরা লোকালয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। আর খাবারের জন্য এরা এদিক ওদিকে ছুটে বেড়ায়।
যদিও বর্তমান সময়ে হনুমান তেমন একটা দেখা যায় না তবে অনেকদিন পরে আপনাদের বাসার ছাদে হনুমান এসেছিল এটা জেনে ভালো লাগলো। এই হনুমানকে কেন্দ্র করে ছোটবেলায় অনেক অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আসলে হনুমান গুলো বরাবরই অনেক বেশি ক্ষুধার্ত থাকে তাই তারা যদি কোন ফল সামনে পায় তাহলে সেটা ছিঁড়ে খাওয়া শুরু করে দেয় আপনাদের পেয়ারা গাছ থেকে পেয়ারা ছিঁড়ে খাওয়ার দৃশ্যটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই এ সময় হনুমান দেখা খুব একটা সহজ নয়। তবে মাঝেমধ্যে কয়েকটা এদিক ওদিকে চলে আসে। যেহেতু তারা খাবার সেভাবে পায়না তাই সব সময় ক্ষুধার্ত থাকে।
এই ধরনের জিনিসগুলো এখন আর এলাকাতে দেখতে পাওয়া যায় না। কালকে হঠাৎ হইচই শুনে আমিও সেটা দেখতে গিয়েছিলাম। আপনি দেখছি দারুণভাবে ভিডিওগ্রাফি টা ধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন। আসলে কলা খেতে দিলে তারা খুবই স্বাচ্ছন্দের সাথে সেটা খেয়ে থাকে।
প্রথমে এসে পেয়ারা পেড়ে খেয়েছিল। পরে ছোট চাচা তাকে কলা দিয়েছিল কলা গুলো ছুঁড়ে ছুড়ে খাচ্ছিল দেখতে বেশ ভালো লাগছিল।
মানুষজন হঠাৎ করে এগুলো দেখলে হৈচৈ তো শুরু করে দেবে ভাই । খাবারের খোঁজেই এসব প্রাণীরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। আমাদের বাড়ির ছাদেও গত বছর কয়েকবার এই হনুমান আসতে দেখেছি। ওরা এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে ঘুরে বেড়ায় এবং কোন খাবারের সন্ধান পায় কিনা তাই দেখে বেড়ায়। এসব প্রাণী দেখতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। আমারও ভাই আপনার মত পশু পাখির উপর অনেক মায়া দরদ। এদের মারার কথা ভাবতেই পারি না। এরা কোন না কোন ভাবে সব সময় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে আর যা আমাদের জন্য উপকারী।
যখন আমাদের ছাদে এই হনুমানটি দেখেছিলাম তখন আমার ভীষণ ভালো লাগছিল। সত্যি বলতে আরও বেশি ভালো লাগছিল যে সে ক্ষুধার্ত ছিল এবং আমার গাছের পেয়ারা খেয়ে সে ক্ষুধা নিবারণ করছিল। সবই আল্লাহর ইচ্ছা তার রিজিক এখানে ছিল। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
পেয়ারা খাওয়ার ব্যাপারটা ভিডিওতেই দেখতে পেয়েছি ভাই।
আজ কালকার দিনে হনুমান বেশি দেখা যায় না। আগেকার দিনে এসব প্রাণী অনেক দেখা যেতো। আগে গ্রাম অঞ্চলে হনুমান আসলে পুরো গ্রাম হইচই পড়ে যেত। এবং গ্রামের ছেলেমেয়েরা ছুটাছুটি করত হনুমানের পিছু পিছু। অনেকবার আমিও এমনটা করেছি। গ্রামে হনুমান আসছে নাকি সেই গ্রামে অনেক বরকত চলে আসে। ধন্যবাদ ভাই।
যে গ্রামে হনুমান আসে ওই গ্রামে বরকত চলে আসে এই কথাটা তো যেন সত্য হয়। আসলে বর্তমানে এত বৃষ্টি বাইরে কিন্তু আমাদের গ্রামে তেমন কোন বৃষ্টি নেই। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের গ্রামের সাথে এমনটা হওয়ার কথা না। আল্লাহ যেনো সব কিছু ঠিক করে দেন। আল্লাহ আমাদের উপর রহম করুন। সব যেন ভালো মতো চলে।
বাড়ির গাছে পেয়ারা ধরেছে সে পেয়ারা আপনি খাবেন শুধু হনুমান খাবে না কি করে সম্ভব বলেন তো। পেয়ারা খেতে ইচ্ছে করছে তাই আপনি না দিলেও সেই নিজের ইচ্ছায় এসে খেয়ে নিচ্ছেন হা হা হা। আসলে হনুমান কখনো বাস্তবে দেখা হয়নি চিড়িয়াখানায় দেখেছি কিন্তু এভাবে বাস্তবে দেখিনি। আপনার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে হনুমানের বাস্তব দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
আমি জানি কেউ খুনসুটে না করলেও আপনি আমার সাথে করবেন 😃😃। যাইহোক তাও তো সে আমার কাছে প্যারা খেয়েছে যদিও আমি তাকে দেয়নি। আর আপনি আমার ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে বাস্তবে হনুমান দেখতে পেরেছেন বলে আমার নিজের কাছে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অসাধারণ ভিডিওগ্রাফি করেছেন আপনি। আসলে হনুমান তেমন একটা দেখা যায় না ।আপনার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে দেখে খুব ভালো লাগলো। হনুমান পেয়ারা খাওয়ার দৃশ্য বেশ অসাধারণ লাগছে। এত চমৎকার ভিডিওগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
এই হনুমানটি যখন পেয়ারা খাচ্ছিল তখন আমি দেখছিলাম এবং খুব ভালো লাগছিল ভাই। শুধু আমি নয় অনেক মানুষ দেখছিলো।