দিয়াবাড়িতে ঘোরাঘুরি আর খাওয়া দাওয়া৷
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও ভালো আছি তবে কাজের চাপে আর জোশ মুড এ নাই। অফিসে শুধু কাজ আর কাজ। একবার এইটা দেখতে হচ্ছে তো আরেকবার ঐটা। একদম চাপে পিষ্ট হয়ে গিয়েছি আমি। তো গত শুক্রবারের আগের শুক্রবার গিয়েছিলাম দিয়াবাড়ি। তা নিয়ে লিখেছিলাম অবশ্য। তবে পুরাপুরি লেখিনি । সেখানে ছিলো প্রথম মেইন রাস্তায় বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা। আজ তারপরের ঘটনা গুলো শেয়ার করবো। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।
তো সেদিন যখন ট্রাফিক পুলিশ আমাদের আটকালেন আমি প্রথমেই আমার ই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখালাম। যদিও আমার কাছে স্মার্ট কার্ড ছিলো। তবে দেখতে চাচ্ছিলাম সেটা দেখে ট্রাফিক কি বলে। যদিও ট্রাফিক পুলিশ এর এই কার্ড দেখার নিয়ম নাই। এটা কেবল সার্জেন্ট দেখতে পারে। তবে গেজাইলাম না। যেহেতু গাড়ির কাগজ আমার বন্ধুর নামে না। ওটা পল্লি বিদ্যুৎ এর নামে আছে। ও এখনো নাম ট্রান্সফার করায়নি। তাই আরকি। এরপর সব কাগজ দেখে উনি আমাদের যেতে দিলেন। তখন আমার বন্ধু ড্রাইভিং এ বসলো। কারণ সামনে পুরো রাস্তা জ্যাম লেগে আছে। আর জ্যাম এ আমার বেলায় স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায় বার বার। নিয়মিত চালাইনা যে এ কারণে। যাই হোক এরপর জ্যাম ঠেলে অনেক কষ্টে আমরা ধিরে ধিরে দিয়াবাড়ি পৌঁছে গেলাম। দিয়াবাড়িতে ঢুকে ভালোই লাগলো। জ্যাম এ পরে থাকার কারণে ঘামাই গিয়েছিলাম প্রচুর। আমি তো জ্যাম এ পরলেই হেলমেট খুলে ফেলতাম। তবে সাবধান থাকতাম। পুলিশ মামা আবার দেখলে দিবে মামলা ঠুকে। যেহেতু কাগজ ঠিক আছে। তখন উছিলা এটাই দিতে পাড়ে। যাক দিয়া বাড়ি ঢুকে আমরা একটা যায়গায় দাড়ালাম।
সেখানে কিছু রাইড ছিলো। নাগরদোলা আর ম্যাজিক কার্পেট। মানে নৌকার মতন একটা। একবার এইদিক যায় তো আরেকবার তার উলটোদিক। আপনারা ওটাকে কি বলেন? যাক আমরা দেখতে থাকলাম। যদিও উঠার ইচ্ছে হয়নি। আগে একটা সময় উঠতে মন চাইতো খুব। কিন্তু এখন কেমন জানি এগুলো টানেনা আর। যাক ম্যাজিক কার্পেট এ উঠে মানুষ কি চিৎকার। আমি আর আমার বন্ধু দেখে শুধু হেসে গেলাম। একটু পর বৃষ্টি শুরু হলো আর আমরা একটা চটপটির দোকানে বসলাম। যদিও বেশি বৃষ্টি না। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিলো। তবে শুভোর ঠান্ডা লেগেছিলো দেখে আর ভিজে নি। যাক। একটু পর বৃষ্টি পরা কমলে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে যাই। এবার প্ল্যান করি বাইক দিয়েই ঘুরে বেড়াবো পুরো দিয়াবাড়ি। আমার বন্ধুই বাইক চালালো। আমি পেছনে বসে দেখতেছিলাম। মেট্রোরেল এর নিচ দিয়ে যাচ্ছিলো। এরপর একটা দোকানে বসলাম আমরা। প্রথমে নিমকি জাতীয় কিছু খেলাম। খুবই ভালো লাগলো। মিষ্টি ছিলো খুব। এরপর আমরা একটা মোঘলাই পরটা অর্ডার করলাম। যেটা দুইটি ডিম দিয়ে বানাবে। কিছুক্ষন পর সেটাও প্রস্তুত হয়ে গেলো। খেলাম দুজন মিলে। কিন্তু মজা হয়নি তেমন একটা।
এবার খাওয়া দাওয়া শেষে বিল চুকিয়ে আমরা আবার বাইকে করে রউনা দিলাম। এবার সন্ধ্যার দিয়া বাড়ি ঘুরলাম। ভালোই লাগলো। সেখানে অনেক মানুষই যায়। আর শুক্রবার হওয়াতে মনে হয় ভিড় একটু বেশি ছিলো। অন্যান্য দিন কেমন হয় জানিনা। কারণ এমনি দিনে যাইনি কখনো। যাক এরপর আমরা বাসার দিকে রউনা দিলাম। হায়রে জ্যাম। অনেক সময় লেগে গেলো। আমরা খিলক্ষেত পৌঁছে সোজা চলে গেলাম লেকসিটি এরিয়াতে। সেখানে একটা দোকানে গিয়ে লেবুর শরবত অর্ডার করলাম। এই শরবত গুলো খুবই ভালো লাগে। ৩০ টাকা করে নিলেও স্বাদ একদম অসাধারন হয়। এরপর আমরা বসায় চলে যাই।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
নৌকার মতো উল্টানো পাল্টানো ওটাকে ম্যাজিক কার্পেট নামেই চিনি। ফ্যান্টাসি কিংডম গিয়ে সেখানে উঠা হয়েছে। রাইড টা কিছুটা ভয়ানক অবশ্য। যাই হোক দিয়া বাড়িতে গিয়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এ ধরনের নিমকি গুলো আমার বেশ পছন্দ। খাওয়া দাওয়া ভালোই করেছেন দেখছি।
হ্যা ঠিক বলেছেন। ফ্যান্টাসি তে যেয়ে আমিও উঠেছিলাম সেটায়।
আমাদের দেশের ট্রাফিক পুলিশ বেশ ধান্দাবাজ। শুধু সুযোগ খুজতে থাকে কীভাবে জরিমানা করা যায় আফসোস এরা ঠিক হলো না। আপনার অফিসে এতো চাপ শুনে বেশ খারাপ লাগল। কিন্তু কী আর করার ভাই এটা মেনে নিতেই হবে। দিয়াবাড়িতে এসে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। পাশাপাশি বেশ ভালো খাবার খেয়েছেন। চমৎকার ছিল আপনার সময় টা।।
একদম সঠিক ভাই। এরা শুধু গেজায়।
শুভর মুখে শুনেছিলাম গল্পটা, খুব ভালো লাইসেন্স পেয়ে প্রথম মেইন রোডে বাইক চালানো, আমিও কিছুদিন পর প্রফেশনাল লাইসেন্স পাব, বেশ ভালো জমিয়ে ঘোরাফেরা হবে।
হ দোস্ত। প্রথম দিনেই পুলিশ।