# দ্যা পাওয়ার অব হ্যাবিটস
কেমন আছেন সবাই? বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একমাত্র প্লাটফর্ম আমার বাংলা ব্লগ একটি পরিবার।এখানে সবাই তাদের সৃজনশীলতা, অভিজ্ঞতা, দুঃখ,কষ্ট ও ভালবাসার কথা বলতে পারে একদম স্বাধীন ভাবে। আমি আমি ব্যক্তি জীবনে অভ্যাসের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করব।
ছোট বেলা থেকেই আমরা সবাই জানি এবং সবার মুখে মুখে শুনে আসছি মানুষ অভ্যাসের দাস। অর্থাৎ মানুষ একি কাজ যখন প্রতিনিয়ত করতে থাকি এবং এমন একটা সময় আসে যখন না চাইলেও সেই কাজটা তাকে করতে হয় এটাকেই অভ্যাস বলে। আমাদের ব্যাক্তি জীবনে অভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা অভ্যাসের দাসত্ব করি। আমাদের অজান্তেই কোনো না কোন অভ্যাস নিজের মাঝে গড়ে তুলি।
যেমন আমরা ব্রাশ করি দাঁত পরিষ্কার রাখার জন্য।জীবানু থেকে বাঁচার জন্য। এই ব্রাশ করতে করতে আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একদিন ব্রাশ না করলে ফ্রেশনেস আসেনা। এইযে ব্রাশ করা কিন্তু অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে তবে আমি এই অভ্যাসের কথা বলিনি।আমি বলব অন্য গল্প আমরা ব্রাশ করার পর আমাদের জিহবা দিয়ে দাঁতের উপর কেমন অনুভব হয় দেখার চেষ্টা করি। প্রতিদিন দেখতে দেখতে এমন অবস্থায় আমরা পৌঁছে গেছি যে ব্রাশ করব আর জিহবা দিয়ে দেখব না তা কি করে হয়।এইটা আমরা না চাইলেও করে ফেলি এইটা মুখের ফ্রেশনেসের জন্য।
আমরা যারা প্রতিদিন ইবাদত করি তাদের ইবাদতের সময় আসলে নিজের ভিতরে এক অস্থিরতা কাজ করে।সব কাজ ফেলে আগে ইবাদতমুখী হয়।এইটা কিন্তু অভ্যাসের কারণেই। আমরা প্রায়ই শুনতে পাই কোনো কাজ যদি টানা ৪০ দিন করা যায় তাহলে সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়।
তবে আমাদের জীবনে অভ্যাসের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুইটির প্রভাব আছে। ব্যাক্তির আচার-আচরণ এর উপর ভিত্তি করে অভ্যাস নির্ধারিত হয়। যেমন এক চাচাকে দেখতাম প্রতিদিন রাতে খাওয়ার শেষে সিগারেট না খেলে ওনার হবেই না।যতকিছুই হোক ওনার খাওয়ার পর সিগারেট লাগবেই। দেখুন ধুমপান স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর সেই সাথে অর্থের ও অপচয়। এইযে রাতে খাওয়ার সিগারেট খাওয়া এইটা কিন্তু অভ্যাসের কারনেই।
আবার আমরা ইতিহাসের সফল ব্যাক্তিদের কথা যদি বলি তারা তাদের অভ্যাসের কারণেই কিন্তু সফলতার চূড়ায় অবস্থান করে। তাদের নিয়মানুবর্তিতা একটা সময় অভ্যাসে রুপ নেয়। যারা প্রতিদিন ভোর ৫ টায় ঘুম থেকে উঠেন তারা চাইলেও ছুটির দিনে দেরি করে ঘুম থেকে উঠতে পারেন না। আবার সফল ব্যাক্তিরা সব সময় ভোরে ঘুম থেকে উঠে দিনের কাজ শুরু করতেন। এই এক অভ্যাসের কারণে কেউ সফলতার চূড়ায় কেউ ব্যার্থতায় পর্যবাসিত হয়ে আছে। আমাদের নির্ধারণ করতে হবে আমরা কোন ধরনের অভ্যাস নিজের মাঝে গড়ে তুলব। আমরা চাইলেও অভ্যাসের বাহিরে গিয়ে কিছু করতে পারবনা।
তবে আমাদের অভ্যাস একটি চক্রকে ফলো করে সেটি হলো সঙ্কেত >রুটিন> পুরষ্কার। ধরুন আপনি প্রতিদিন ভোর ৫ টায় ঘুম থেকে ওঠেন তারপর ব্যায়াম করার পর আপনার শরীরে ফ্রেশনেস আসে।নিজেকে হাল্কা মনে হয়।ভোর ৫ টার সময় ঘুম থেকে জাগার পাওয়ার একটা তাগিদ আপনার মাঝে চলে আসে বা স্নায়ু আপনাকে সঙ্কেত পাঠায় উঠার জন্য।এইটা হলো সঙ্কেত এরপর ব্যায়াম হলো রুটিন। ব্যায়াম করার পর যে ফিল হয় সেটায় আপনার পুরষ্কার।
আবার দেখুন আমাদের আসেপাশে কিছু মানুষ আছে যারা সব সময় অন্যের সমালোচনা করে।এই সমালোচনা তার একটা সময় গিয়ে অভ্যাসে পরিণত হয়। এইটা যে খারাপ বোঝার পরেও কিন্তু সহজে ছাড়তে পারেনা। প্রতিজ্ঞা করে যে আমি আর সমালোচনা করবনা তবুও তার অজান্তেই সে সমালোচনা করে বসে।এইরকম হাজারো অভ্যাস চক্রে আমি বন্ধি।আমরা চাইলেও অভ্যাস চিরস্থায়ী ভাবে মুছে ফেলতে পারবনা তবে একটা খারাপ অভ্যাসকে মুছে ফেলতে নতুন একটি ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি।মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে কিন্তু মাদকতার অভ্যাস দূরকরতে তারা গোল্ডেন রুল ফোলো করেন নতুন অভ্যাস গড়ে তোলেন তাদের মাঝে।
অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকে
মানুষ আসলে অভ্যাসের দাস কথাটি একদম যথার্থ।তবে আমাদের উচিত ভালো অভ্যাসগুলোকে নিজের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করা এবং খারাপ অভ্যাসগুলো বর্জন করা।আপনার কথাগুলো অনেক ভালো ছিল আপু।শুভ কামনা রইল❤️
মানুষের জন্মগত কিছু স্বভাব নিয়ে কিছু ভালো কথা লিখেছেন। আমরা সবাই কোনো না কোনো অভ্যাসের সাথে গভীরভাবে জড়িত। এই অভ্যাস খারাপ বা ভালো যেকোন টাই হতে পারে।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য
অভ্যাস মানুষের দাস।আমাদের নিজেদের জন্য হলেও ভালো অভ্যাসগুলো রপ্ত করতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে উন্নতি সম্ভব হবে। ধন্যবাদ আপনাকে কাযকরী পোস্ট এর জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে