ফটোগ্রাফিঃ-সবুজ প্রকৃতির মাঝে প্রশান্তির খোঁজে।
সবাই কেমন আছেন?
আমি সামশুন নাহার হিরা @samhunnahar। বন্ধুরা আমি আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত ব্লগিং করি কক্সবাজার থেকে। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণাঞ্চল কক্সবাজার এত দূরে থেকেও আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত ব্লগিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত আছি সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তখন বেশি ভালো লাগে যখন নিজের অনুভূতি গুলো সবার সাথে তুলে ধরতে পারি। আরো অনেক বেশি ভালো লাগে যখন অন্যদের বিষয়গুলো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত জানতে পারি। এই কমিউনিটিতে কাজ করতে পারি বলে এবং একজন ভেরিফাইড ব্লগার হিসেবে পরিচয় দিতে বেশ ভালো লাগে। তাই প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি সব সময় কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। আজকে আমি আবার উপস্থিত হয়েছি প্রাকৃতিক দৃশ্যের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে।
আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে গ্রামে চলে যায়। অথবা অনেকে আছেন গ্রামে বসবাস করি। আবার অনেকে আছেন শহরে বসবাস করি। যে যেখানে থাকি না কেন আমরা প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করি। যেহেতু আমাদেরকে প্রকৃতিকে নিয়েই বেঁচে থাকতে হয় প্রকৃতি হচ্ছে আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। প্রকৃতিকে আমরা যখন সুস্থ রাখবো তখন আমরা নিজেরাই সুস্থ থাকতে পারবো। বর্তমান সময়ে এত গরমের তীব্রতা তার প্রধান কারণ হচ্ছে আমরা প্রকৃতিকে ধ্বংস করেছি। একটি দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকার জন্য যতটুকু গাছপালা প্রয়োজন তার তুলনায় অনেক কম রয়েছে।
যার কারণে প্রতিনিয়ত গরমের তীব্রতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা মানবজাতির জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন আগে যখন ঈদ কাটাতে গ্রামে গিয়েছিলাম তখন গ্রামের পরিবেশে অনেক ঘোরাঘুরি করেছিলাম। আপনারা তো জানেন আমার শ্বশুরবাড়ি হচ্ছে মহেশখালীতে। আমার গ্রামের বাড়ি হচ্ছে কক্সবাজারের একই উপজেলাতে গ্রামের সাইডে আমার গ্রামের বাড়ি। আমরা জীবিকার তাগিদে বাচ্চাদের পড়ালেখার সুবিধার্থে শহরে বসবাস করি। যখন আমরা সময় সুযোগ পাই তখন গ্রামে চলে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করি। কারণ গ্রামে যেমন আনন্দ পাওয়া যায় সেই আনন্দটুকু কখনো শহরে পাওয়া যায় না। যদিও শহরের সুযোগ সুবিধা বেশি কিন্তু শহরে তুলনায় গ্রামের পরিবেশ অনেক স্বাস্থ্যকর।
যখন ঈদের সময় মহেশখালীতে গ্রামের বাড়িতে গেছিলাম তখন চিন্তা করলাম বিকেল বেলা একটু ঘুরতে যাব। আপনারা তো জানেন গ্রামীণ পরিবেশে ধান ক্ষেতগুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে ধান ক্ষেত এর পাশাপাশি গ্রামীণ দৃশ্যগুলো আমার বেশ ভালো লাগে। আমি মনে করি তারা সবচাইতে সুখি মানুষ যারা এমন সুন্দর পরিবেশের সাথে বসবাস করে। চাইলে তারা খুব সুন্দর ফ্রেশ বাতাস নিতে পারে। বিদ্যুৎ চলে গেলে তারা বাইরে বসলেই ঠান্ডা প্রকৃতির বাতাস পেয়ে যায়। তাছাড়াও শাক সবজির ক্ষেত করে তারা বেশ ফ্রেশ খাবার খেতে পারছে। আর সবজি চাষ করতে সুবিধা হয়। আর ধান চাষ করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে অন্যান্য চাহিদা মেটাতে পারে। নিজের ঘরের চাষ করা ধানের ভাত খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।
সেই অনুভূতিগুলো আসলে বেশ আনন্দদায়ক। যখন আমরা সবাই মিলে গ্রামে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বের হলাম আমরা অনেকে ছিলাম। যখন বের হয়েছিলাম তখন সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। তাই আমরা তাড়াহুড়ো করে বেশ দূর পর্যন্ত হেঁটে হেঁটে চলে গেছি। যখন একটু অন্ধকার হয়ে আসছিল তখন আমরা আবারও ফিরে আসার চেষ্টা করছিলাম।কিন্তু সেই মাঝে আমরা এক জায়গায় বসে সবাই মিলে নাস্তা খেয়েছিলাম। সেখান থেকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমি সংগ্রহ করেছিলাম। এমন সুন্দর প্রকৃতির সবুজ শ্যামল পরিবেশ আমাকে সব সময় মুগ্ধ করে। আমাকে সব সময় গ্রামের পরিবেশে ছুটে যেতে কেমন জানি আকুতি মিনতি করে এই মন।
তাই আমি সময় পেলে চলে যাই এবং প্রকৃতির মাঝে বেশ কিছু সময় কাটিয়ে আসি। মনে হয় যে সকল বিষন্নতা কেটে যায় শরীর থেকে মন থেকে। শরীর সুস্থ থাকার জন্য এমন পরিবেশে জীবন যাপন করা সবার জন্য জরুরী। কিন্তু কি আর করার আমাদের তো জীবিকার তাগিদে নিজেদের সুবিধার জন্য শহরে থাকতে হয়। তবে আমাদের সকলের উচিত যখন আমরা সময় সুযোগ পাবো তখন গ্রামে যেয়ে কিছুদিন থেকে আসার। অবশ্যই আমরা বাঙালি জাতি আমরা গ্রামে বড় হয়েছি বেশিরভাগ মানুষ। আমাদের সবার গ্রামের প্রতি একটা আলাদা টান থাকে। আমরা শুধু গ্রামে কেন সময় সুযোগ পেলে আমরা পাহাড়েও ঘুরতে যাই।
এই সুন্দর প্রকৃতি উপভোগ করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আজকে আমি চিন্তা করলাম সেই সবুজ শ্যামল প্রকৃতির দৃশ্যগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলে ভালো হয়। কারণ এমন পরিবেশ সবার ভালো লাগে তাই আমিও চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে একটু আনন্দ দেওয়ার। আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন পরিবার-পরিজনকে নিয়ে। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ তবে গরম একটু বেশি।
তাই পরিবারের ছোট সদস্যদেরকে একটু সাবধানে রাখতে হবে সবার। এছাড়াও নিজেদের যত্ন করবেন সবাই। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আমার আজকের ব্লগিং এখানে সমাপ্তি করছি।

ক্যামেরার বিবরণ
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
লোকেশন | মহেশখালী-কক্সবাজার-বাংলাদেশ |
ক্যাটাগরি | সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি। |
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#greennature #naturalscenery #paddyfield-photography #steemexclusive #amarbanglablog #steemit #shy-fox
https://twitter.com/nahar_hera/status/1791911546681262338?t=0BjXnKdPESLBbNwnFuP9mQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলেছেন আপু প্রকৃতিকে আমরা যদি সুস্থ রাখতে পারি তাহলেই তো আমরা সুস্থ সুন্দর একটি প্রকৃতি পাবো । আর সুন্দর প্রকৃতিতে গেলে মনটা এমনিতেই ভালো হয়ে যায় । এটাও ঠিক যে গ্রামের মানুষজনের সুন্দর প্রকৃতি খুব ভালো উপলব্ধি করতে পারে। রাতের বেলা গাছের নিচে বসতে মনে হয় ভালই লাগে । আমরা তো ফ্যানের বাতাস ছাড়া এরকম প্রকৃতি কখনো উপভোগ করতে পারি না । শরীরকে সুস্থ রাখতে কত কিছুই করার দরকার কিন্তু কাজের তাগিদে তো মানুষকে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে হয় । সবকিছু থেকেই আমরা দিন দিন বঞ্চিত হচ্ছি ।
একদম নিঃসন্দেহে বলা যায় যে গ্রামের মানুষ প্রাকৃতিক পরিবেশের দিক থেকে অনেক বেশি সুখে আছে আপু।
গ্রাম অঞ্চলের অপরূপ সৌন্দর্যময় প্রকৃতির এই দৃশ্যগুলো দেখলে মনের ভিতর প্রশান্তি লাগে। আর শান্তি ফিরে পাওয়া যায়। সত্যি অসাধারণ কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। বিশেষ করে সবুজ প্রকৃতির এই মাঠের দৃশ্য ও সূর্যাস্ত যাওয়ার দৃশ্য দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার শেয়ার করা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগার জন্য।
আপু গ্রামীন প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখে সত্যিই হৃদয় শীতল হয়ে গেলো। আপনার করা ফটোগ্রাফির প্রতিটি দৃশ্যই মনমুগ্ধকর হয়েছে। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসে বিকালে বেশ ভালোই ঘোরাফেরা করেছেন দেখছি। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিতভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সবাই মিলে ঘোরাঘুরি করেছিলাম মুহূর্তটি খুবই আনন্দময় ছিল ভাইয়া।
সবুজ প্রকৃতি আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজকে দেখতেছি বেশ দারুণভাবে সবুজ প্রকৃতির মাঝে প্রশান্তি খুঁজে নিয়েছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ। দেখতে এতটাই দারুন লাগতেছে। গাছগুলি বেশ সুন্দরভাবে ফুটে ওঠেছে। প্রকৃতির সজীবতা এইগুলো দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। শহর থেকে যারা গ্রামে আসে তারা আর শহরে যেতে চায় না। দারুন ছিল ফটোগ্রাফি গুলো।
যদি মনের প্রশান্তি খুঁজে নিতে হয় তাহলে প্রাকৃতিকপরিবেশে গেলে বেশ ভালো লাগে।
প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝখান থেকে অনেক সুন্দর ফটো ধারণ করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার চিত্রধারণ অনেক ভালো হয়েছে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে। আর মাঝেমধ্যে নিজের প্রশান্তির খোঁজে ভালো থাকতে একটু বাইরের পরিবেশে ঘোরাঘুরি করার প্রয়োজন আছে।
এই সুন্দর মুহূর্তটা অনেক ভালো লেগেছিল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে দেখলেন ফটোগ্রাফি গুলো।
সবুজ প্রকৃতির মাঝে প্রশান্তির খোঁজে বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন সবাই মিলে। এমন দৃশ্য গুলো দেখলে চোখের যেমন ভালো লাগা কাজ করে তেমনি মন ও ভালো হয়ে যায়। আমিও মাঝে মধ্যে চেষ্টা করি সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
হ্যাঁ আমিও দেখি মাঝে মধ্যে আপনার শেয়ার করা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালো লাগে দেখতে। তবে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেন।
সবুজ প্রকৃতির মাঝে রয়েছে প্রকৃত সুখ। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে নিজেকে সবুজ প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে ফেলি। কিন্তু এটা তো কখনোই সম্ভব নয়।এই তাপদাহ গরমের মধ্যে সবুজ গাছ পালা আমাদের কে শীতল করে দেয়। আসলে যারা শহরের মধ্যে বসবাস করে থাকেন তারা এই সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত।
আমি মনে করি সবুজ প্রকৃতি এমন এক জিনিস যা দেখলে মুহূর্তে মনটা ভালো হয়ে যায়।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মনকে আনন্দিত করে।মন প্রাণ জুড়িয়ে যায় এমন দৃশ্য দেখলে।খুবই চমৎকার কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। প্রতিটা ফটো খুবই আকর্ষণীয় লাগছে।আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারলাম।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু সময় দিয়ে আমার ফটোগ্রাফার ব্লগ ভিজিট করলেন।