নানিবাড়িতে কিছু সময়(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম,আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।
ছবি দুটিতে যে বাড়িটি দেখছেন,সেটি আমার নানিবাড়ি।বলতে গেলে,বাড়িটি এখন একপ্রকার পরিত্যক্তই।নানি মারা গেছে প্রায় ৩ মাস হলো।বাড়িতে নানি একাই থাকতো।নানির দেখাশুনা করার জন্য দুজন ছিল,তবে তারা নিজ বাড়িতেই থাকতো।নানি মারা যাওয়ার এই প্রথম আমি নানিবাড়িতে গিয়েছিলাম।
এবার গিয়ে কোথাও যেন একটা কমতি মনে হচ্ছিলো।কি যেন নেই,আসলে কিছু মুহুর্ত-কিছু খুনশুটি আর একজন লোকের বড্ড অভাব ছিল এবার।
এই ছবিটিতে যে পুকুরটি দেখছেন এটা ঠিক বাড়ির সামনে।আর পাশে যে রাস্তাটি আছে সেটা যাতায়াতের জন্য।নানি তো হাটতে পারতোনা তেমন,শুধু বিছানা থেকে বাথরুম আর বিছানা থেকে বারান্দা।নানির সারাটাদিন কাটতো বারান্দায় বসেই।ওই রাস্তা দিয়ে যখন আমরা কেউ আসতাম,নানি দূর থেকে বারান্দায় বসে দেখতো।আমার আম্মু সবার ছোট হওয়ায় নানির আদরের ভাগটা সবচেয়ে বেশি বোধয় আমি আর আমার ছোট ভাইই পেয়েছি।আমি যখনই যেতাম,বারান্দায় পা দেয়া মাত্রই নানি সব আগে জিজ্ঞাসা করতো,কার সাথে আসলি ময়না?উত্তর পেয়েই বাবার কথা জিজ্ঞাসা করতো আর বলতো,বাবা ভালো আছে?
ব্যাস,এটুকু জিজ্ঞাসা শেষেই বলতো,বাবা মায়ের কথা মতো চলিস ময়না।তোকে নিয়েই যত আশা।এগুলো বলতো আর কাদতো।আর তারপর আমায় এটা সেটা খাওয়ানোর জন্য জোর করতো।তবে আমি খাইতাম না।পাশেই মেজো খালার বাসা আছে।লোকে জানে আমি যাচ্ছি নানিবাড়ি,অথচ আমার থাকা খাওয়া সব ওই খালার বাড়িতেই হয়।
এবার গিয়ে সব উলোটপালোট লাগছিল।মানুষটা ছিলনা বারান্দায় বসে,বারান্দায় যাওয়ার পরেও আমায় কেউ বলেনি যে, কার সাথে আসলি ময়না?প্রচুর মনে পরছিলো নানির কথা সেসময়ে।
উপরের ছবিগুলো বাগানের।আম,জাম,লিচু,নারিকেল,জামরুল,বাদামের গাছ আছ বেশ কয়েকটা।নানি যখন ছিল,তখন কেউ গাছের আশেপাশে যাওয়ার সাহস পাচ্ছিলোনা,কিন্তু এখন সব দখলের বাহিরে।কেউ থাকেনা,সেই সুযোগে যার যেটা ইচ্ছা এসে পেরে নিয়ে চলে যায়।
ওইটা পারিবারিক কবরস্থান।আমার নানা-নানি দুজনেই ওই খানেই শায়িত আছেন।
মুহূর্তটুকু পুরোটাই স্মৃতিবিজড়িত ছিল।নানিকে মনে পরছিল ভীষনভাবে।আল্লাহ নানি নানাকে বেহেস্ত নসিব করুক☹️।
cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.15/05/22
আপনার নানার বাড়ি টি বেশ সুন্দর। আমারতো ছবি দেখে খুব ভালো লেগেছে। নানার বাড়িতে আম গাছে অনেক আম ধরেছে। বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে পুকুর দেখলে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। মনে হয় যে বাড়ির সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায়।আপনার নানা বাড়ির গল্প শুনে আমার নানার বাড়ি কথা মনে পড়ে গেল। আমার আম্মু আমার নানুর ছোট মেয়ে তাই একটু বেশি আদর পেত এবং আমরা ও। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনার নানীর বাড়ি কাটানো কিছু মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ভাইয়া। আসলে আপনার মত আমারও একই রকমের অবস্থা নানি মারা যাওয়ার পর থেকে নানি বাড়িতে যেতে আর ইচ্ছা করে না কেননা সেখানে রয়েছে আমার স্মৃতি বিজড়িত অনেক স্মৃতি যা বারবার মনে করিয়ে দেয় আমার মৃত নানীকে।
নানু বাড়ি বাড়ির পাশে হওয়াই নানুবাড়িতে তেমন একটা মজা হয় না ।আপনার নানু বাড়ি ঘোড়ার গল্পটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো ।আমারও এরকম ঘুরতে মন চায়। কিন্তু কিছু করার নেই নানুবাড়ি বাড়ির পাশে।