গুগল ম্যাপ!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
একটা সময় ছিল যখন মানুষ পায়ে হেঁটে এক শহর থেকে অন্য শহরে চলে যেত। কোন ঠিকানা চিনতে না পারলে মানুষ কে জিজ্ঞেস করত। গন্তব্যে মানুষ ঠিকই পৌছে যেত। কিন্তু সেই সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ নতুন কোথাও যাওয়ার সময় আর অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করে না। সরাসরি মোবাইল ফোনে গিয়ে গুগল ম্যাপে সার্চ দেয়। কিন্তু গুগল ম্যাপ কী সবসময় আমাদের সঠিক জায়গাই নিয়ে যায়? প্রশ্নটা একটু কঠিন হয়ে গেলেও এর উওর মনে হয় সহজ। অধিকাংশ ক্ষেএে গুগল ম্যাপ সঠিক রাস্তায় দেখাই আমাদের। তবে আমি কথা বলব একটা অন্য বিষয় নিয়ে। গুগল আপনাকে সঠিক পথ দেখালেও শর্টকাট পথ টা হয়তো দেখাতে পারে না।
শুক্রবার সকালের কথা। আমি রামপুরা হাতিরঝিল এলাকা থেকে আমার ইউনিভার্সিটি তে যাব। হাতিরঝিল চক্রাকার বাস চললেও আমি সিদ্ধান্ত নিলাম না যেহেতু হাতে সময় আছে আমি হেঁটেই যায়। এর আগে আমি কখনও যায়নি এই রাস্তা দিয়ে। এই জন্য সাহায্য নিলাম গুগল ম্যাপের। যথারীতি গুগল ম্যাপ দেখে হাতিরঝিলের পাশ দিয়ে হেঁটে চলে গেলাম সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি তে। মোটামুটি সময় লেগেছিল ঐ ৩৫ মিনিটের মতো। পথ একেবারে কম ছিল না। গতকাল ছিল আমাদের শেষ পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ করে যখন বের হলাম আমার এক বন্ধু বলল চল বিকেলটা হাতিরঝিলে কাটায়। ওর কথা শুনে রাজি হয়ে গেলামম।
আমার সাথে আমাদের আরও চারজন বন্ধু ছিল। সবাই মিলে সময় টা বেশ দারুণ কাটিয়েছিলাম আমরা। ততক্ষণে বিকেল প্রায় শেষের দিকে। শীত প্রায় এসে গেছে এইজন্যই দিনের দৈর্ঘ্য কমে গিয়েছে। আমার সাথে আমার আরেকজন বন্ধু ছিল ও নিজেও রামপুরা আসবে। আমি যখন বললাম আমি সকালে এই পথ দিয়ে এসেছি ম্যাপ দেখে। তখন ও বলল আরে তুমি কী পাগল নাকী। অর্থাৎ ও আমাকে হাতিরঝিলের পাশ দিয়েই নিয়ে গেল তবে সময় লাগল ১০ মিনিটের মতো। ব্যাপার টা একেবারে চমকে দেওয়ার মতো। তবে আপনাদের বলে রাখি হাতিরঝিল পুরো জায়গাটা একেবারে চক্রাকার। অর্থাৎ ০ থেকে ৩৬০° যেতে হলে আপনাকে পুরোটা পথ পাড়ি দিতে হবে। কিন্তু ৩৫০° থেকে ০ তে যেতে গেলে আপনাকে পাড়ি দিতে হবে ১০° মাএ।
আমার সাথেও ব্যাপার টা এটাই ঘটেছে। মূলত গুগল ম্যাপ আমাকে অনেক টা পথ ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমার ঐ বন্ধু এই পথে আগেও এসেছে ঐজন্য ও সবকিছু চিনত। প্রযুক্তি যতই এগিয়ে যাক মানুষের যে বৈশিষ্ট্য আছে যে স্বন্ত্রত্রতা আছে এইটা সারাজীবন থেকে যাবে। গুগল ম্যাপ আমাদের সঠিক জায়গাই নিয়ে গেলেও হয়তো শর্টকাট টা দেখাতে পারে না সবসময়। এটা অন্য প্রযুক্তি গুলোর ক্ষেএেও। এইজন্যই মানুষের সাথে কখনই বিজ্ঞানের কোন প্রযুক্তির তুলনা দিবেন না। মানুষ সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি করা সবচাইতে সেরা জীব। আর এই মানুষের তৈরি কোন প্রযুক্তি কখনোই মানুষ কে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
মানুষই তো গুগল ম্যাপ বানিয়েছে ভাইয়া। আর মানুষের বানানো কোন জিনিস কি মানুষের চেয়ে বুদ্ধিমান হতে পারে? যন্ত্র কখনও মানুষের বড় হবে না। কারন মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা জীব।
আসলেই ভাইয়া প্রযুক্তি কখনো মানুষের মত হতে পারে না। যতই গুগল ম্যাপ হোক না কেন কখনো কখনো ভুল রাস্তা দেখিয়ে থাকে। ভাই এগুলো দেখে আমি কখনো চলাচল করি না।