"শীতের সকালে খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৯ই জানুয়ারি,মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি বেশ কিছুদিন হলো ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছি আর এখানে এসে প্রকৃতির মাঝে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। আমি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার আগেই খেজুরের রস খাওয়ার প্ল্যানিং করে এসেছিলাম। আমাদের প্ল্যানিং ছিল যে, বাড়িতে এসে বাইক নিয়ে কুষ্টিয়ার বাইপাস রোডে গিয়ে খেজুরের রস খাওয়া।কিন্তু বর্তমানে নিপা ভাইরাসের ভয়ংকর আতঙ্কের কারণে আর সেখানে যাওয়া হয়নি। এক কথায় বর্তমানে যেখানে সেখান থেকে খেজুরের রস খাওয়াটা একদম ঠিক না। তাই এবারে আমাদের বাড়ির পাশে ছোট ছোট দুটি খেজুরের গাছ আছে সেই দুইটি গাছ কেটেছিল আমার দাদাও কাকাতো ভাই মিলে। আর এই গাছ থেকে আজকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে এ বছরের প্রথম খেজুরের রস খেলাম।
এবারে বাড়িতে আসার পরে বেশ কয়েকদিন করে আখের রস খেয়েছি কিন্তু খেজুরের রস খেয়েছিলাম না। শীতের সকালে আখের রস কিংবা খেজুরের রস দুটোই আমার কাছে ভীষণ প্রিয় পছন্দের। আখের রস খাওয়াটা কোন ধরনের রিক্স নেই বললেই চলে কিন্তু খেজুরের রস খাওয়াটা বেশ রিস্ক আছে কারণ খেজুরের রস থেকে নিপা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই কারণেই এই বছরটিতে আমরা বাইক নিয়ে বাইরে আর কোথাও খেজুরের রস খাওয়ার জন্য যায়নি।
।তবে খেজুরের রস খাওয়ার প্রতি আলাদা একটি টান সবসময় অনুভব হয়। গতকালকে আমার দাদা আর কাকাতো ভাই মিলে বাড়ির পাশে দুটি খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করে। তাই ধরেই নিয়েছিলাম যে আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই খেজুরের রস খেতে পারবো। আমাদের যে দুটি খেজুরের গাছ থেকে রস খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সে দুটি গাছের রস সংগ্রহ করার সময় যাতে কোন ধরনের পাখি বা অন্য কোন কিছু এসে রসে ভাইরাস ছড়াতে না পারে সেজন্য আগেই কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছিলো। তাই এই রস খাওয়াটা রিস্ক নেই বললেই চলে।
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই রেডি হয়ে খেজুরের রস আনতে যাব ঠিক সেই সময় আমার কাকিমা বলল যে, রস আনতে গিয়ে লাভ নেই রস আগেই তোমার ভাইয়েরা নিয়ে এসে রেখেছে। তারপর তারপর কাকিমার কাছ থেকে শুনে নিলাম যে, রস কোথায় রেখেছে! তারপর রস সুন্দর মত ছাঁকনি দিয়েছে ছেঁকে আমার ছোট ভাই স্বার্থকে দিলাম।
কারণ ও খেজুরের রস খাওয়ার জন্য আমার অপেক্ষায় ছিল। প্রথমে অল্প একটু দিলাম বললাম যেটুকু খেয়ে নাও তারপরে আবার দেব সেটুকু খেয়ে বলল যে, দাদা রস ভীষণ মজার। তারপর আমি বললাম যে, আবার কি দেব নাকি! তো বলল যে, দেও আরেকটু খাব। তারপর আবার দিলাম সেই রসটুকু সম্পূর্ণ খেয়ে ছোট ভাই স্বার্থক ভীষণ খুশি।
তারপর আমার মায়ের জন্য এক গ্লাস রস ছাঁকনি দিয়েছে ছেঁকে দিলাম। আমার মা ও বলল যে, রসটা ভীষণ মিষ্টি। আসলে সকালে অরিজিনাল খেজুরের টাটকা রস মিষ্টিই হয়। আজকে প্রথম দিনে খেজুরের রস কম হওয়ার কারণে অবশ্য বাড়ির অন্যান্যদের দিতে পারি নাই। আস্তে আস্তে অবশ্য বাড়ির সবাই খেতে পারবে খেজুরের রস। এখন থেকে এই দুটি খেজুরের গাছ থেকে প্রতিনিয়ত রস খাওয়া যাবে।
সবশেষ আমিও এক গ্লাস খেজুরের রস খাওয়ার পরে ভীষণ তৃপ্তি পেলাম। শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে এরকম খেজুরের রস খাওয়ার সত্যি মজাই আলাদা। আজকে খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি সত্যিই বেশ দারুন ছিলো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


শীতের দিনে খেজুরের রস খাবার মজা আসলে অন্যরকম। বিশেষ করে সকালে ঠাণ্ডাতে খেজুরের রস খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন সকালের দিকে খেজুরের অরজিনাল রসগুলো খেতে আসলে অনেক মিষ্টি হয়।
হ্যাঁ ভাই শীতের সকালে ঠান্ডা খেজুরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
শীতের সকালে সুমিষ্ট খেজুরের রস পান করার মজাই আলাদা। শীতের সকালে খেজুরের রস পান করার দারুন একটি অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে শীতের সকালে মিষ্টি খেজুরের রস খাওয়ার মধ্যে যে পরিমাণ তৃপ্তি অনুভব করা যায় সেটা হয়তো আর অন্য কোন পানীয় জাতীয় খাবারে পাওয়া যায় না। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি শীতের সকালে খেজুরের রস পান করার মজাই আলাদা। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
খেজুরের রস খেতে নাকি খুবই সুস্বাদু কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। আমাদের এখানে খেজুরের রস পাওয়া যায় না । আপনার খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। তবে মাঝখানে শুনেছি ভাইরাসের কারণে অনেকেই খেজুরের রস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আপনারা যেহেতু কাপড় দিয়েছেন কেন নিজেদের মতো করে পরিষ্কার করে খেয়েছেন। তাহলেতো কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। আপনার খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
এখনো খেজুরের রস খেতে পারেননি এটা শুনে বেশ খারাপ লাগলো আপু। তবে খেজুরের রস দেখা সেখান থেকে খাওয়া ঠিক না। আশা করি আমাদের কোন সমস্যা হবে না, আর এখন পর্যন্ত হয়নি সমস্যা। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
বর্তমানে নিপা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে বিশেষজ্ঞ গান খেজুর রস সরাসরি খেতে নিষেধ করেন।প্রয়োজনে ফুটিয়ে খেতে বলা হয়। তবে আপনারা দেখছি ছোট গাছে খেজুরের রস নামিয়েছেন। দেখেই তো আমারও খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। একদম স্বচ্ছ রসগুলো দেখেই লোভ লেগে গেলো।ধন্যবাদ সুন্দর খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
খেজুরের রস আমার কাছে খুব ভালো লাগে দিদি।অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।
ভাই আপনি আজকে শেয়ার করেছেন শীতের সকালের খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি। আসলে ভাইয়া আমাদের এলাকায় খেজুরের রস অনেক হয় কিন্তু এখনো সেভাবে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার এ খাওয়ার অনুভূতি দেখে আমার এখনই খাওয়ার ইচ্ছে করছে যদিও মনে চাই কিন্তু খেতে ভালো লাগে না কারণ যে দেশের যেটি বেশি থাকে সেটি আর খেতে ভালো লাগে না। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের এলাকায় প্রচুর পরিমাণে খেজুরের রস হয় এটা তো খুব ভালো ব্যাপার ভাই। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
কনকনে শীতের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতিটা অন্যরকম। আমিও বাড়ি থাকতে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে খেজুরের রস খেয়েছিলাম। তুমি ঠিকই বলেছ বন্ধু আমাদের যাওয়ার কথা ছিল বাইপাস কিন্তু নিপা ভাইরাসজনিত কারণে সেখানে যাওয়া হয়নি এবার। তোমার করা ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল বন্ধু।
তুমিও বাড়িতে এসে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে খেজুরের রস খেয়েছিলে জেনে বেশ ভালো লাগলো বন্ধু। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কিছুদিন আগে খেজুরের রস খেলাম, ভীষণ ভালো লাগলো কিন্তু আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল খেজুরের রস খেয়ে এবং আপনি রস খাওয়ার মুহূর্ত তুলে ধরেছেন, ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া। শীতকালের সময় বেশ ভালই লাগে খেজুরের রস খেতে দারুন ছিল আপনার ফটোগ্রাফি মুহূর্ত।
কিছুদিন আগে খেজুরের রস খেয়েছেন ভালো লেগেছিল কিন্তু আপনার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল জেনে বেশ খারাপ লাগলো ভাই। যাইহোক অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
একদিকে শীতের সকাল আবার খেজুরের রস খাওয়ার মুহূর্ত। বলতে গেলে অসাধারণ একটি সময় কাটালেন। শুনে খুবই খারাপ লাগলো যেহেতু খেজুরের রস থেকে নিপা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তেছে। তাহলে তো না খাওয়াই ভালো। যেহেতু খেয়ে বিপদ আনার চেয়ে না খাওয়াই অনেক ভালো। যাক অবশেষে খেয়ে নিলেন ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে।
হুম আপু।সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভাই কনকনে শীতে ঠান্ডা ঠান্ডা খেজুরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন ইদানিং নিপা ভাইরাসের ভয়ে অনেকে খেজুর রস খাচ্ছে না। আমার কাছে খেজুরের রস খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তাই নিপা ভাইরাসের ভয় না করে, খুব স্বাদের এই খেজুর রস খাওয়া উচিত। তবে হ্যাঁ, খেজুরের রস সংগ্রহ করার সময় যদি কাপড় বেঁধে দেয়া যায় তাহলে সেখানে আর পাখি, ভাইরাস ছড়াতে পারবে না। যাইহোক ভাই, শীতের সকালে খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতিটুকু শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই কনকনে শীতে ঠান্ডা খেজুরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনিও খেজুরের রস অনেক বেশি পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।