বোনের বাসায় একদিন
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন আগে বাবার বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে বেশ কিছুদিন ছিলাম। ফরিদপুরে ওয়াহিদা আপু থাকে। তৌহিদা আপু এবং আমি ঢাকা থেকে গিয়েছিলাম। আর ও ফরিদপুর থেকে বাসায় এসেছিল মাঝে মাঝে। তিনজনে মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম এবার। যদিও ঠান্ডাটা একটু বেশি ছিল তারপরও অনেকদিন পর একসঙ্গে থাকতে পেরে বেশ ভালো লেগেছিল। আমরা সবাই মিলে একদিন নানু বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমি ঢাকায় চলে আসার ২ দিন আগে ওয়াহিদা আপুর বাসায় গিয়েছিলা। ও বেশ মজাদার খাবার রান্না করেছিল। সব সময় ওর রেসিপিগুলো দেখি কিন্তু খুব কম খাওয়া হয় দূরে থাকার কারণে। তৌহিদার আপুর রেসিপি আমার বেশি খাওয়া হয়। কারণ ওর বাসা কাছে হওয়ার কারণে ওর বাসায় বেশি যাওয়া হয়। তাই এইবার গিয়ে আর ওয়াহিদা আপুর হাতের খাবার মিস করিনি। তাছাড়া সব বাচ্চারা একসঙ্গে হতে পেরেও খুব খুশি হয়েছিল। ওরা বেশ মজা করেছিল সবাই মিলে।
শীতের দিন ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়। তাছাড়া রাতের বেলাও সবাই মিলে গল্প করতে করতে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকা হয়। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে আমরা নাস্তা করে ফ্রেশ হয়ে ওয়াহিদা আপুর বাসায় চলে গিয়েছিলাম। যেতে যেতে দুপুর হয়ে গিয়েছিল। গিয়ে দেখি ওয়াহিদা আপু খাসির বিরায়ানি এবং রোস্ট রান্না করেছে। বাচ্চাদের খুবই পছন্দ রোস্ট। রোস্ট হলে আর বাচ্চাদের কি লাগে।
খাবার খাওয়ার পর মিষ্টি ছিলো। যদিও আমি মিষ্টি খাই না।ডায়েট করার সময় না খেতে খেতে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। এখন আর খেতে ভালো লাগে না।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে ছাদে গেলাম আপুর গাছ দেখতে। এর আগে বিভিন্ন ধরণের ফুলের গাছ দেখেছি পোস্টে। কিন্তু আমরা গিয়ে তেমন ফুল দেখলাম না। শুধু কাটা মুকুট গাছে কিছু ফুল ছিলো। আর এই মরিচ গাছে অনেক মরিচ ধরেছিলো। মরিচ গুলোও অন্যরকম লাগলো। বেশ সুন্দর লাগছিল দেখতে।
তারপর আমরা আড্ডা দিয়ে বিকালের নাস্তা খেয়ে বাসায় চলে আসি। অনেকদিন পর বেশ ভালো সময় কাটালাম সবাই মিলে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy

"বাচ্চাদের খুবই পছন্দ রোস্ট। রোস্ট হলে আর বাচ্চাদের কি লাগে।" নিজেদের মনের কথাগুলো বাচ্চাদের বলে চালিয়ে দেওয়াটা কি ঠিক। খিক খিক 🤣🤣
সত্যিই মাটন বিরিয়ানি আর মুরগির রোস্ট হলে আর কিছুর দরকার পড়ে না।
এইটাই তো সুযোগ। কিছু খেতে মন চাইলেই বাচ্চাদের নাম দিয়ে চালিয়ে দেয়া যায়।
ধন্যবাদ ভাইয়া পাশে থাকার জন্য।
ভাই-বোনেরা একত্রিত হলে আসলে একটা সুন্দর, মধুর সময় কাটে। আর তার সাথে যদি থাকে মজাদার সব খাবার দাবার তাহলে তো কোন কথাই নেই। ওয়াহিদা আপুর বাসায় গিয়ে আপনারা এবং বাচ্চাকাচ্চারা যে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন সেটা আপনার পোস্ট পড়েই বোঝা যাচ্ছে আপু। তবে আপনি মিষ্টি খেতে পছন্দ না করলে কি হবে, আমি কিন্তু প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি খাই। হা হা হা...
মিষ্টি জাতীয় খাবার আমার কখনোই পছন্দ ছিল না। ঝাল জাতীয় খাবার খুব পছন্দ আমার। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাহ দারুন তো। ওয়াহিদা আপুর বাসায় গিয়ে খাসির বিরায়ানি এবং রোস্ট খেয়ে আসলেন। তিন বোন এক সাথে হলে তো পৃথিবীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব আলোচনাই হয়ে যায়,হে হে হে। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বোনেরা একসঙ্গে হলেন গল্প করে শেষ করা যায় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বোঝাই যাচ্ছে আপনারা বোনেরা যখন একত্র হন তখন সেখানে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেন। এরকম মুহূর্ত আমি অনেকবার খুব কাছ থেকে দেখেছি যখন আম্মু এবং তার বোনেরা একত্র হয় তখন গল্প করতে করতেই রাত পেরিয়ে দেয়। আপনাদের ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে গল্প করতে করতে অনেক রাত হয়ে যায় কিন্তু সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায় হাহাহা। যাইহোক বোনের বাসায় গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে এছাড়াও বাচ্চারাও অনেক বেশি খুশি ছিল। আপনার ঘটানো মুহূর্তটা আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে অনেকদিন পর বোনেরা একসঙ্গে হলেন এরকম সুন্দর সময় পার করা যায়। যাদের বোন আছে তারা এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আমাদের রেখে একা একাই চলে গেলেন বেড়াতে। ওয়াহিদা আপুর রেসিপি সত্যি খুবই লোভনীয়। বোনের জন্য দেখছি অনেক ধরনের আইটেম তৈরি করেছে। সব বোন একসাথে হয়ে আড্ডা আর খাওয়া দাওয়া করতে নিশ্চয়ই অনেক আনন্দের তাই না আপু। আমার ভাগ্য খারাপ আমার এই আনন্দ উপভোগ করার মতো নিজের বোনই তো নেই। শীতের সময় বলে হয়তো ফুলগুলো ঝরে পরে গিয়েছে তাই হয়তো আপনারা গিয়ে ফুল দেখতে পাননি। সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় পার করছেন জেনে ভালো লাগলো।
গিয়েছিলাম তো বাবার বাসায়। সেখানে গিয়ে ওয়াহিদা আপুর বাসায় ফ্রি দাওয়াত খেয়ে নিলাম। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বোন থাকাটা ভাগ্যের ব্যাপার যাদের বোন আছে তারা বোনের সাথে সুখ দুঃখের কথা বলতে পারে একদিন গিয়ে বনের বাড়িতে থেকে আসতে পারে। বোনের বাড়িতে গিয়ে খুবই ভালই সময় কাটিয়েছেন আপনি। আপনার বোনের বাসা ছাদে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছেন আসলে মরিচ গুলো আমার কাছে একটু ইউনিক লাগলো।
আসলে সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে যায় চাইলেও সময় করে বোনের বাসায় গিয়ে থাকা হয় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।