আমি আর রাবিব
নমস্কার,,
রাবিব বগুড়া এসেছে কিছুদিন হলো। কাজের সূত্র ধরেই আসা। বেশ কয়েকবার ফোন করেছিল আমাকে। আসলে কিছু ব্যক্তিগত কারণে সময়টা গুছিয়ে ওর সাথে দেখা করা হয়ে উঠছিল না। তারপর নিজের কাজেই যেদিন বগুড়া গেলাম তখন ফোন দিয়ে বললাম আমি আসছি রাবিব। ব্যাস আর কি লাগে!! দুজনের দেখা হওয়ার অপেক্ষা শুধু। কথা ছিল সন্ধ্যায় দেখা হবে। কিন্তু আমার কাজ বিকেলের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। রাবিবকে জানাতেই বললো যে, ভাই কোন সমস্যা নাই, আমি আসছি।
প্রায় তিন বছর পর রাবিরের সাথে আমার দেখা। আমার এক বছরের জুনিয়র। তবে আমার ডিপার্টমেন্ট ছিল আলাদা। ও ছিল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ। আমাদের বন্ডিং টা বেশ ভালো আগে থেকেই। যাই হোক, রাবিব কে দাড়িয়ে থাকতে দেখছিলাম বেশ দূর থেকেই। লক্ষ করলাম বার বার উকি মারছে। তবে আমার মুখ আর দেখতে পাচ্ছে না। পাবে কি করে, আমি যে পাশে ইচ্ছে করেই আড়াল হয়ে ছিলাম। হিহিহিহি। আমাকে দেখেই প্রথম কথা,,,, ভাই সব কথা পরে, আগে বুক মেলাই। কতদিন আড্ডাবাজি হয় নাহ্!! তারপর একটা রেস্টুরেন্টে বসলাম দুজনে মিলে।
আমরা দুজনই লাঞ্চ করে বের হয়েছিলাম। তাই ভারি কিছু খাওয়ার কোন খিদে ছিল না একদমই। এসিতে বসে দুজনে মিলে যেন একটু শান্তিতে গল্প করতে পারি সে জন্যই রেস্টুরেন্টে বসা। দুজন মিলে কোল্ড কফি নিয়ে খেতে খেতে গল্প শুরু করলাম। এ কথা সে কথা নানান ধরনের কথা হতে হতে পেটের খিদেটাও যেন বেড়ে গেল। সবশেষে একটা মিনি পিজ্জা অর্ডার করলাম। বলা যায় প্রায় ঘন্টা দুয়েক সময় আমরা একসাথে আড্ডা দিয়ে কাটালাম।
রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম, এমন সময় হঠাৎ একটা মিষ্টি পানের দোকান দেখে আমার ভীষণ লোভ লেগে গেল। দোকানদারকে বললাম দুটো স্পেশাল মিষ্টি পান দিতে। এরপরেই একটা অবাক করা কান্ড ঘটে গেল। প্রথমে উনি আমাদের বলেছিল কিরকম ধরনের পান দেব। রাবিব বলেছিল আপনার বানানো সব থেকে বেস্ট পান টা আমরা খেতে চাই। এত এত ধরনের মসলা যোগ করছিল বলে বোঝাতে পারবো না। আমি অবশ্য শুরুতে এই ছবিটা তুলেছিলাম। অবশেষে এক পর্যায়ে গিয়ে বারণ করলাম যে , আর বেশি কিছু দিলে মুখেই ঢোকাতে পারবো না। যা আছে তাই দিন। পানের সাইজ এত বড় হয়ে গিয়েছিল যে রাবিব পান টা হাতে নিয়ে বার্গারের মত কামড় দিয়ে খাচ্ছিল। আর দাম দিতে গিয়ে আমার মাথায় হাত। বলে দুটো পান ৩০০ টাকা! 🙄🙄 আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। সত্যি বলতে তিনশ টাকা পানের বিল দিতে যা কষ্ট হয়েছে, হাজার টাকা রেস্টুরেন্টে খরচ করলেও হয়তো এমন লাগতো নাহ্। হিহিহিহি।
যাই হোক, প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। আমাকে বাড়ির বাসের দিকে এগিয়ে দিয়ে গেল রাবিব। আর এভাবেই আমাদের একটা প্রহর কেটে গেল। মনে রাখার মতো আর ভালো লাগার মতো ছিল পুরো সময়টা।
তিন বছর পর জুনিয়র ভাইয়ের সঙ্গে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সেটি আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম। সত্যিই আপনি খুবই মিশুক। সবার সাথে আপনার কত ভালো সম্পর্ক। যাইহোক ভাইয়া শেষে কিন্তু পান খাওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে কারণ আমি নিজেও পান খেতে অনেক পছন্দ করি।তবে পানের দাম এত শুনে অবাক হলাম।যাইহোক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
সত্যি বলতে আপু আমি চাই সবার সাথে একটা ভালো সম্পর্ক থাকুক, কয় দিনই বা আর বাঁচব! এই অল্প সময়ে অর্জন করা ভালোবাসা গুলোই তো আমাদের প্রাপ্তি। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
তিন বছর পরে এক বছরের জুনিয়র ভাইয়ে সাথে আড্ডায় যে আপনাদের অনেক মজার হয়েছে তা ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভাই।আসলে অনেক দিন পরে ঘনিষ্ঠ কারও সাথে দেখা একটা ভিন্ন রকমের অনুভূতি কাজ করে।আর পান কিন্তু আরও অনেক দামের আছে ভাই। দাম আর বললাম না।যদি আবার মাথা ঘুরে পরে যান।হা হা হা।😁😁😁😁।সর্বোপরি,জুনিয়র ভাইয়ের সাথে কাটানোর মূহুর্তটা এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
দাম না বলে ভালো করেছেন ভাই,, এই দামেই আমার মাথা ঘুরে উঠেছে। আরো বেশি হলে তো স্ট্রোক করতাম। হিহিহিহি। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
তিন বছর পর আপনার আর আপনার এক বছরের জুনিয়র ভাই রাবিবের দেখা হয়েছে দেখছি। ভারী কিছু খাবার প্ল্যান না থাকলেও শেষ পর্যন্ত কোল্ড কফির সাথে মিনি পিজ্জাও নিয়ে নিলেন দেখছি আপনারা। তবে পানের সাইজ এত বড় যে , রাবিবকে পিজ্জার মতো কামড়ে খেতে হচ্ছিল, হি হি হি। ৩০০ টাকা পানের দাম!
আরে পান টা পুরো মাথা নষ্ট করে দিয়েছিল। দাম আর সাইজ দুটোই অনেক বড় ছিল। হিহিহিহি।