জেনারেল রাইটিং :-শৈশবে নৌকায় চড়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
.
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।
জেনারেল রাইটিং :-শৈশবে নৌকায় চড়ার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। সপ্তাহে একটি করে জেনারেল রাইটিং লেখার চেষ্টা করি। আসলে আমাদের শৈশব অনেক সুন্দর ছিল। এখন আমরা হাজার চেষ্টা করলেও আর শৈশবকে খুঁজে পাব না।তবে শৈশবের এমন কিছু স্মৃতি আছে যা কখনো ভুলা যায় না। আজ বিকেলের দিকে গিয়েছিলাম নদীর পাড়ে। সেখানে ছোট ছোট অনেক ছেলেমেয়েরা নৌকায় করে ঘুরছে।আসলে আমি কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম, যদিও আমি ফোন নিয়ে যায়নি তাহলে কিছু ফটোগ্রাফি করে আনতে পারতাম। ওদের নৌকায় বসে আনন্দ করা দেখে অনেক ভালো লেগেছিল। আর আমার ছোট বেলা নৌকায় চড়ার কথা মনে পড়ে গেল।তই ভাবলাম আপনাদের মাঝে মনের কথা গুলো শেয়ার করি।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমাদের বাড়ির পাশে কোন নদী ছিল না। তাই আমরা চাইলেও নৌকায় চড়তে পারতাম না।কিন্তু আমার নানু বাড়ির কাছে অনেক বড় নদী ছিল। তাই আমার যখন আট বছর তখন স্কুল বন্ধ দিলেই আমরা সব খালাতো ভাইবোন মিলে চলে যেতাম মামার বাড়িতে। আর মামার বাড়িতে তখন বেড়ানোর মজাই ছিল আলাদা। আসলে নানা বাড়িতে যখন নানা নানি বেঁচে থাকে আর মামারা খালারা থাকে তখন আদরের শেষ থাকে না। আমার মনে হয় শুধু আমি না সবার ক্ষেত্রে এমন হয়।যাইহোক আমরা নানা বাড়িতে গিয়ে সবাই মিলে বিকেল হলে নৌকায় ঘুরে বেড়াতাম। আসলে সবার মধ্যে আমি ছিলাম ছোট।
তাই আমি যখন যা বলতাম সবাই তাই শোনতো।আর সবাই আমাকে রেখে যাওয়ার চেষ্টা করতো।কারণ সবার মধ্যে আমি ছিলাম সাঁতার না জানা একজন। আমাকে নিলে ওদের অনেক অসুবিধা হতো। তবে আমাকে রেখে যাওয়া মুশকিল ছিল। এভাবে আমরা মাঝে মাঝে নানা বাড়িতে গিয়ে নৌকায় চড়তাম। তবে কখনো কিছু হয়নি। একবার বার্ষীক পরীক্ষা শেষ হলে সবাই মিলে নানু বাড়িতে গিয়েছিলাম।তারপর আমার খালাতো এক ভাই ও মামাতো এক বোন আর আমরা দুই ভাইবোন মিলে নৌকায় চড়ার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা তিনজন আমাকে রেখে চলে গিয়েছিল।তারপর ওদের না পেয়ে আমি চলে গিয়েছিলাম নদীর পাড়ে। গিয়ে দেখি ওরা সবাই নৌকায় চড়ে নদীর ওপারে চলে গিয়েছে।
তারপর আমি অন্য আর একটা নৌকা একা ছেড়ে দিয়ে যেতে লাগলাম। তখন নদীতে তেমন পানি ছিল না।যেহেতু আমি নৌকা ভালো করে চালাতে পারি না তারজন্য কিছু দূর গিয়ে আর যেতে পারিনি।এদিকে মাঝ পথে দাঁড়িয়ে আমি কান্না শুরু করে দিয়েছিলাম। তারপর ও ওরা কেউ আসলো না। আসলে ওরা আমাকে দেখেনি তারজন্য। তবে আমি যার নৌকা নিয়েছি কিছু সময় পড়ে সেই লোক তার নৌকা দেখে আমাকে নিয়ে আসতে বলল।কিন্তু আমার নৌকা কোন দিকে যাচ্ছিল না।আর আমি তখন আরো বেশি ভয় পেয়েছিলাম। আমার কান্না শুনে লোকটি নিজে পানিতে নেমে আমাকে নিয়ে আসলো।তারপর আমি নৌকা থেকে নেমে ভয়ে কাঁপতে ছিলাম।তারপর লোকটি আমার নানু বাড়িতে দিয়ে আসলো।সব ঘটনা আমার মামাকে জানালো।তারপর সবাই এলে মামা অনেক রাগ করেছিল আমাকে সাথে নেইনি দেখে। সত্যি অনেক দিন পরে নৌকায় লোকজন চড়া দেখে শৈশবের কথা গুলো মনে পড়ে গেল।সেই সময় গুলো অনেক মধুর ছিল। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1852341291398709507?t=l7wnl78Y15mCzH65-MT5HA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি ছোটবেলায় নৌকায় চোড়তে খুব ভয় পেতাম। মনে হতো নৌকা থেকে পড়ে গেলে আর উঠতে পারব না ডুবে মরে যাব। যাইহোক আপনার ছোটবেলায় নৌকা চলার গল্পটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই অনেক ভালো লাগলো জেনে। তবে ওই মুহূর্তে যদি নৌকার মাঝি না আসতো আপনাকে নেমে পড়ে উদ্ধার না করত আপনার কিন্তু অনেক ভয় লাগতো কষ্ট পেতেন। তবে সঙ্গের মানুষরা যদি সঙ্গে না থাকে তাহলে সত্যিই একাকি অনেক ভয়ের ব্যাপার।
পোস্ট পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে নৌকা ভ্রমন করতে সবার খুব ভালো লাগে। তবে শৈশবে নৌকা ভ্রমণের অনুভূতি সত্যি বেশ দুর্দান্ত হয়ে থাকে। আপনি যদি নৌকা থেকে পড়ে ডুবে মরে যেতেন তাহলে তো আপনার সাথে দেখা হতো না, কাকে আপু ডাকতাম? শৈশবে নৌকায় চড়ার অনুভূতি বেশ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন । পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
দেখা হবার জন্য হয়তো নৌকা থেকে পড়ে যায়নি,ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি তো ছোটবেলাও নৌকা চড়েছেন৷ আমি তো এখনো পর্যন্ত নৌকায় উঠতে পারলাম না৷ আজকে আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো৷ যদি আবারও কখনো নৌকাতে ওঠেন তাহলে আমাকে ডাক দিবেন৷ আমিও চলে আসবো৷