জ়েনারেল রাইটিংঃ যেখানে সেখানে থুথু ফেলার ক্ষেত্রে সচেতন হই।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ২২শে পৌষ,শীতকাল, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ৬ই জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি জেনারেল রাইটিং আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
ঢাকায় কি শীত চলে গেল? আজ তেমন শীত নেই! তবে আবহাওয়াবিদদের মতে এই জানুয়ারিতে আবার শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে। শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে তখন আবার শীত আসতে পারে। গত ৩দিন আগে ঢাকায় যে শীতের তীব্রতা ছিল সে তুলনায় আজ স্বাভাবিক। তবে শীত কমলেও শীতের আমেজ কিন্তু কমেনি! রাস্তাঘাটে পিঠাপুলির দোকান গুলোতে মানুষের ভীড় দেখলেই বোঝা যায়। বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে প্রতি সপ্তাহের ন্যায় আজও একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের জেনারেল রাইটিংটি সচেতনতা মূলক একটি পোস্ট। এবং বিষয় হচ্ছে থুথু!
অনেক জায়গায় আমরা দেখতে পাই 'যেখানে সেখানে থুথু ফেলবেন না'- লেখা স্টিকার সাটানো থাকে। অনেকে দেyale রঙ-তুলি দিয়ে সুন্দর করে লিখে রেখেছেন, এখানে থুথু ফেলবেন না!! থুথু সবারই মুখে আসে। কিন্তু সবাই যেখানে সেখানে থুথু ফেলেন না। আবার কেউ কেউ স্থান কাল পাত্র না ভেবেই যেখানে সেখানে থুথু ফেলেন। যেখানে সেখানে থুথু ফেলাটা একটা অভ্যেসের ব্যাপার। যে কেউ চাইলে, একটু সচেতন হলেই নিরাপদ জায়গায় থুথু ফেলতে পারেন। কিন্তু তারা তা না করে যেখানে সেখানে ফেলেন। যার ফলে অনেককেই বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। আপনি ভেবে দেখুন, ৫ জন একসাথে আড্ডা দিচ্ছে। একজন ঐ আড্ডা স্থলেই বার বার থুথু ফেলছে! কি একটা অবস্থা বলুন!!
আমরা অনেককেই দেখতে পাই রাস্তা ঘাটে,বিভিন্ন জনসমাগম স্থানে অবলীলায় থুথু ফেলছে। এই যেখানে সেখানে থুথু ফেলা কিন্তু বদঅভ্যাস বা অসচেতনতা! কেন যেখানে সেখানে থুথু ফেলা যাবে না? কারণ এই থুথু রোগ জীবাণু ছড়ায়। থুথু যেহেতু ভেজা তাই ভাইরাসের জীবত থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ফলে ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে।আপনারা লক্ষ্য করেছেন, করোনাকালীন সময়ে মাস্ক পড়া ও যেখানে সেখানে থুথু না ফেলার প্রচারণাই ছিল বেশী। ভাইরাস সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ জীবানু এই থুথুর মধ্য থেকে ছড়ায়। একটু সচেতন হলেই কিন্তু একজন মানুষ জীবানু ছড়ানোর অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
আজকে আমাদের পরিবেশ-প্রতিবেশ,প্রাণ-প্রকৃতি যে হারে দূষিত হচ্ছে, যেখানে সেখানে থুথু ফেলাদের অবদান এক্ষেত্রে কম নয়! ভাইরাস জনিত রোগ থেকে বাঁচতে, প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষার্থে যেখানে সেখানে থুথু ফেলার মত বদ অভ্যাস অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বা প্রতিষ্ঠানে আইন আছে, যেখানে সেখানে থুথু ফেলা যাবে না। ফেললেই জরিমানার ব্যবস্থা আছে। যাদের বেশি থুথু আসে, তাদের উচিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
আমাদের দেশেও এত প্রচার প্রচারনার পরেও মানুষের সচেতনতা তেমন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে হয় না! ধুমপানের মত পাবলিক প্লেসে বা জনসমাগম স্থলে থুথু ফেললেই জরিমানার ব্যবস্থা করা দরকার! নিজে বাঁচতে,পরিবেশ বাঁচাতে যেখানে সেখানে আর থুথু নয়। বদ অভ্যাস ত্যাগ করুণ। নিজেকে বদলে ফেলুন! আমার বিশ্বাস আমরা পারবো।
যেখানে সেখানে থুথু ফেলবেন না!
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Daily Task
https://x.com/selina_akh/status/1876308150284140902
সত্যি বলতে কি আপু এই যেখানে সেখানে থুথু ফেলা ব্যাপারটা অত্যন্ত নোংরা লাগে দেখতে। মানে মনে হয় মানুষ কত অপরিষ্কার যে এদিক ওদিক থুতু ফেলছে। খেলার সময় কি তাদের একবারও মনে হয় না! আমার তো দেখলেই কেমন বমি উঠে আসে। আপনি ঠিকই বলেছেন এই জন্য মোটা অংকের টাকা জরিমানা নির্দেশনা দিয়ে কড়াকড়ি নিয়ম চালু করা দরকার। তবে গিয়েই যদি সামান্য নিয়ন্ত্রণে আসে।
রাস্তায় থুথুর ছড়াছড়ি। দেখলেই বমি আসে। আমাদের দেশের মানুষ যে কবে পরিস্কার হবে!
যেখানে সেখানে থুথু ফেলার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া বেশ প্রয়োজন। যেখানে সেখানে থুথু ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণ হয়। যেখানে সেখানে থুথু ফেলা এটা আমাদের বদ অভ্যাস। ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করার জন্য
আমরা এই বদ অভ্যাস থেকে যে কবে বের হতে পারবো!