জেনারেল রাইটিং: বিবাহ বিচ্ছেদ || তৃতীয় পর্ব
হাই বন্ধুরা!
হাই
বন্ধুরা!আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। প্রথমে বলে রাখি,
মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে বিশেষ একটি পোস্ট শেয়ার করতে চলেছি। আজকের সমাজে দেখা যায় কারণে-অকারণে খুব দ্রুত সংসার ভেঙে যাচ্ছে। আর এই সংসার ভাঙার পিছনে বিভিন্ন রকমের কারণ থেকে থাকে। আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করে আমি বেশ কিছু পর্ব শেয়ার করব। তাহলে বুঝে ফেলেছেন আজকের বিষয় হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ,ইতিমধ্যে দুইটা পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে তৃতীয় পর্ব নিয়ে আসলাম। আশা করি পোস্টটা পড়ে আপনাদের সচেতন দৃষ্টিভঙ্গ জাগ্রত হবে।আলোচনার বিষয়: বিবাহ বিচ্ছেদ |
---|
অধিকাংশ পুরুষ বিয়ে আগে যেমনটা আশা করে, তেমনটা হয় কম। আর যেমনটা প্রত্যাশা করে না তেমনটাই হয় বেশি। যেটা মন থেকে মেনে নিতে পারে না কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে বউ গুলা সেই কাজ করে না। বিয়ের পর আস্তে আস্তে তার রূপ দেখাতে থাকে তার প্রয়োজন অধিক টাকা-পয়সা এবং গয়না গাটির পোশাক আশাক সহ অনেক কিছু। অর্থাৎ স্বামীর কাছ থেকে কিভাবে যখন তখন এটা সেটা নিতে পারা যায়। ভুল করে ভাবতে চাই না যে আমার স্বামীর সামর্থ্য কেমন কেমন দাবী করলে তার মনে চাপ সৃষ্টি করা হবে না। প্রত্যেকটা স্ত্রীর বিবাহের পূর্বেই কিন্তু একটা ধারণা থাকা প্রয়োজন রয়েছে, সেটা হচ্ছে প্রত্যেক স্বামী চাই তার বউকে হাসিখুশি রাখতে তার কাছে নিজের ভালো লাগার মত সাধ্য অনুযায়ী খরচ করে হাসিখুশি রাখতে। কারণ বউয়ের মুখের হাসি দেখতে স্বামী পছন্দ করে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করে থাকা যায় এটা সেটা বাইনার পর বায়না যখন ধরতে থাকে সময়মতো না দিতে পারলে তাদের গোমরা মুখ সৃষ্টি হয়, কথা কাটাকাটি সৃষ্টি হয় ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয় মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। তারা উদাহরণ দিতে থাকে পর পুরুষকে নিয়ে, যেটা নিজের স্বামীর জন্য চরম আঘাত জনক। পরপুরুষকে নিয়া উদাহরণ না দিয়ে তার মত স্বামী ধরলেই তো ভালো হত, তাহলে তো এই মানুষটা তো মানুষের টেনশন পেত না। এটা বুঝে না, একজন মানুষকে মানসিক টেনশন দেওয়া কতটা বেদনাদায়ক। একজন শত্রু যেভাবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে, পাশের মানুষটা তার চেয়েও পছন্দ আঘাত করে মানসিকভাবে। আর যে মানুষ মানুষের টেনশন দেয় সে কখনো প্রিয়জন হতে পারে না। সে পাশে থাকা চিরন্তন শত্রু। কারণ মানসিক যন্ত্রণা দিলে অনেক সময় অনেক মানুষ ব্রেন স্টক করে। বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে উন্মাদ হয়। আর এই বিষয়টা যখন পাশের মানুষ বুঝে না, সে কিসের প্রিয়জন। সে তো বিছানায় থাকা পরম শত্রু।
মনের আসনে অবস্থান করা প্রিয় সেই মহামূল্যবান মানুষটার কার্যক্রমের জন্য এমন একটা পর্যায় সৃষ্টি স্বামীর মনে, সেটা হচ্ছে ডিপ্রেশন। স্বামীর মনে যে একটা ভালোলাগা ও ভালোবাসা ছিল সেটা আস্তে আস্তে কমতে থাকে এবং স্ত্রীর প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হতে থাকে। আর এর পিছনে কিন্তু স্ত্রী গুলাই দায়ী। তারা যদি একটু ধৈর্য ধরে স্বামীর অবস্থা মন-মানসিকতা বুঝতে পারে তার সাথে হাসিখুশি ভাবে চলতে পারে স্বামীর দেওয়া সামান্য উপহারে যদি সন্তুষ্ট আদায় করে তাহলে তার সংসার হয়ে ওঠে মধুর এবং স্বামীর একটা উৎসাহ দিনের দিন তাকে ভালো কিছু করার উপার্জন করার ক্ষমতা সৃষ্টি করে। সমাজে দেখবেন যে সমস্ত স্ত্রীরা স্বামীর কাজে সহায়তা করে, মনে সাহস যোগায় সেই পরিবার সাফল্যতা অর্জন করেছে এবং অন্যান্য পরিবারের চেয়ে এগিয়ে গেছে উন্নতির দিকে। আর যে পরিবারে স্ত্রীরা সবসময় স্বামীর উপর নির্ভর করে, আবার মানসিক টেনশন দিতে থাকে, স্বামীকে জ্বালাতন করে, শশুর শাশুড়ির সাথে ঝগড়া করে দূরে সরে থাকে, বুঝতে চায়না স্বামীর মন। সে পরিবার দিন দিন ধ্বংসের দিকে গেছে। কারণ দুই পক্ষের মাঝখানে স্বামী বলিদান হয়ে থাকে। সে পারে না দুই পক্ষকে পরিত্যাগ করতে।
তবে বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমনটাই লক্ষনীয় অর্থাৎ বউগুলোর ডিমান্ড এতটাই বেশি নতুন অবস্থায় একজন পুরুষ যখন বিবাহ করেন সে কিছু টাকা হয়তো ম্যানেজ করে রাখেন নতুন বউ যখন যেটা চান সে আশা পূরণ করার চেষ্টা করে। একদিকে দেখা যায় পুরুষের টাকা কমে গেছে বা ফুরিয়ে গেছে কিন্তু বউয়ের চাওয়া পাওয়ার ডিমান্ড ফুরাইনি আরো বেড়ে গেছে। এই জায়গায় মনোমালিন্য সৃষ্টি হয় বিচ্ছেদের পর্যায়ে সৃষ্টি হতে পারে। কারণ বিয়ের ছয় মাস কিবা এক বছর পর দেখা যায় ১০০% এর মধ্যে ৯০% থেকে ৯৫% স্ত্রীরা স্বামীকে বলে থাকে তুমি তো আগের মত নাই আগের মতো ভালোবাসো না, আমার কথায় গুরুত্ব দাও না, তুমি অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছো। তবে স্বামীর পরিবর্তনের পেছনে যে সে নিজেই প্রধান কারণ, তখন স্ত্রীরা সেটা উপলব্ধি করতে পারে না বা চায়না। প্রতিটা স্ত্রী যদি তার স্বামীকে ভালোবেসে তাকে বুঝার চেষ্টা করে আর স্বামীর দেওয়া উপহারের মাধ্যমে সে সন্তুষ্টি অর্জন করে তাহলে কখনো সংসার ভাঙ্গার ভয় থাকে না,পরকীয়ার ভয় থাকে না। তবে বর্তমান সমাজে পরকীয়া আর সংসার ভাঙ্গার পিছনে সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েদের অধিক পরিমাণ টাকা পয়সা চাহিদা, স্বামীর কথা অমান্য করা, অতিরিক্ত গলাবাজি করা, শশুর শাশুড়ি পরিবারে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি করে বাবার বাড়ি দৌড়ানো ইত্যাদি ছাড়াউ বিভিন্ন বিষয়ের চাহিদা। কিন্তু সে যদি ধৈর্য ধরে স্বামীর কথা মান্য করে চলে তাহলে জানা যাবে সে সংসার করতে এসেছে। যে সংসার করতে আসে, তার চিন্তা ধারা থাকবে কিভাবে স্বামীর সংসারে মিলতাল হয়ে চলা যায়। আর যে দেখা যায় ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে বাবার বাড়িতে যায় বারবার, তার দিয়ে কখনো সংসার হয় না। বরঞ্চ স্বামীর জীবনটা দুর্যোগ পরিণত হয়। আর যখন এমন অবস্থায় চলতেই থাকে। তখন হাজবেন্ডগুলোর একটা সিদ্ধান্তে আসতে হয়। আর আপনারা জানেন পুরুষরা খারাপ কোন সিদ্ধান্ত নিতে একটু দেরি করে, যখন সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা দ্রুত বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে। আর এভাবেই আঘাতে আঘাতে অনেক পুরুষের মন ভেঙে যায়। ভেঙে যায় স্বপ্নে সাজানো সংসার।
বিষয় | বিবাহ বিচ্ছেদ |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
Photo editing app | picsart app |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এ কথা বলেছেন। এক বিবাহ ভাংগার কারণের জন্যে দোষারোপের বিষয় টা একটা বিতর্কিত ব্যাপার। কেউ খুঁজে পান বউ এর দোষ আবার কেউ স্বামীর। দোষ দুই জনেরই থাকে, কারো কম, কারো বেশী।
আপনি যে দিক টা তুলে ধরেছেন, সেটা খুবই কমন আমাদের বর্তমান যুগে। দুনিয়াটাই সব, এখানেই সব পেতে হবে, আরেকজন পেলে আমি কেন পাব না ইত্যাদি মেন্টালিটি এর পেছনে একটা বড় ভুমিকা রাখে।
ভাল থাকুন।
আমি ভাইয়া পর্ব আকারে অনেক কিছুই তুলে ধরব এই বিষয়ে, যেখানে পুরুষের ভুল নারীদের ভুল দুটোই থাকবে। তবে নারীদের ভুল বিষয়টা আগে লেখা শুরু করেছি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া যদি স্বামী স্ত্রী দুইজন মিলে সংসারের সকল দায়িত্ব নেয় তাহলে সেই সংসারে কখনও অশান্তির সৃষ্টি হবে না।আর যদি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোনো মিল না থাকে তাহলে কখনোই এক সাথে সারাজীবন কাটানো সম্ভব হবে না।স্ত্রীকে স্বামী ইনকাম বুঝে ডিমান্ড করতে হবে।দারুন কিছু কথা তুলে ধরেছেন ভাইয়া।পড়ে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন