জেনারেল রাইটিং || শিক্ষার আলো- জাগ্রত বিবেক
হাই বন্ধুরা!
হাই
বন্ধুরা!আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। প্রথমে বলে রাখি,
মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকে আমি শিক্ষার আলো নিয়ে আরও একটি পোস্ট শেয়ার করতে চলেছি। আজকের বিষয়টা থাকবে জাগ্রত বিবেকের কথা। বর্তমান অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে এবং মানুষের উশৃংখল কর্মকান্ডের কারণে আমরা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেই নিয়ে আলোচনা করব।আলোচনার বিষয়: জাগ্রত বিবেক |
---|
যখন নিজের শরীরে বিভিন্ন অসুখ বাসা বাঁধে বেশ কষ্ট লাগে। কিন্তু মাঝেমধ্যে সামাজিক বিভিন্ন খারাপ কার্যকলাপ দুর্নীতি পরায়ণ কার্যকলাপ কানে আসতে থাকে, তখন মনে হয় দুনিয়ার বুকে মহান সৃষ্টিকর্তা রোগবালা দিয়েছে হয়তো মানুষকে থামিয়ে রাখার জন্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দিয়েছে মানুষকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য। তারপরেও মনের মধ্যে প্রশ্ন থেকে যায় যুগ যুগ ধরে তো কত প্রাকৃতিক দুর্যোগ কত রোগ শোক হচ্ছে কিন্তু তারপরেও মানুষ কেন দিন দিন বেশি ভাগ খারাপ পথে লিপ্ত হচ্ছে। এটা কি আমরা অভিশাপে দাঁড়িয়ে গেছি। নাকি আমাদের বিবেক প্রতিনিয়ত লোপ পাচ্ছে। দিন দিন খেলাধুলার জায়গা কমে যাচ্ছে। তাই খেলাধুলা করার মুহূর্তটা বা সময়টা আজ মানুষ অনলাইনে দেওয়ার চেষ্টা করে বিনোদন পাওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে কুরুচি সম্পন্ন ভিডিওর শেষ নেই। আপনি আমি না চাইলেও সামনে উপস্থিত হয়ে যায় অসংখ্য কুরুচি সম্পন্ন ভিডিও। ঠিক সমাজে সুশৃংখল ভাবে চলাচল করার উপায় নেই। প্রায় কানে আসতে থাকে কেউ হারিয়ে বারিয়ে গেছে, কারোর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে, একজন আরেকজনের সাথে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। ঝগড়া বিবাদ গালাগালি এই সমস্ত জিনিস লেগেই থাকে বিভিন্ন জায়গায়। তাহলে আগেকার মানুষ যে আশা করত, শিক্ষিত হলে মানুষ সভ্য হবে তাহলে সেই সভ্যতা যাচ্ছে কোথায়। সত্যি চারিপাশের এই সমস্ত বিষয়গুলো ভাবতে গেলে আমার খুবই কষ্ট লাগে। আমরা কি পারি না নিজেদেরকে সুন্দরভাবে রুচিশীল পরিবেশের মাঝে রাখতে। ধর্মকে মান্য করে বেঁচে থাকতে। দুনিয়া তো স্বাভাবিক ছোট্ট একটা গণ্ডি মাত্র। দাদা দাদি নানা নানি চলে গেছে, বাপ চাচা মা খালাদের মধ্যেও চলে যাওয়া শুরু হয়ে গেছে। তাহলে আমাদের দুনিয়া ছেড়ে যাওয়ার আর কয়দিন। এরপরেও কেন আমাদের বিবেক জাগ্রত হয় না।
আসলে আমাদের বিবেকটাই মরে গেছে। আমাদের বিবেক যদি সভ্যতা গ্রহণ করত, তাহলে মাথায় রাখতো আজ আমরা যে কুকর্মে লিপ্ত রয়েছি আমাদের দেখাদেখি আমাদের বাচ্চারা সেই কুকর্মের পথ শিখবে। কারণ মানুষ মানুষের দেখাদেখি শিখে। আপনি আজ হত্যা কান্ডে লিপ্ত আপনার দেখাদেখি প্রভাবিত হবে ১০ জন মানুষ। আপনি আজ জেনা ব্যভিচারে লিপ্ত আপনারা দেখে ১০ জন মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করবে। আজকে আপনি সুপথে কাজ করছেন আপনার দেখাদেখি ১০ জন মানুষ সুপথে পা রাখবে। এখন সিদ্ধান্ত আপনার আমার, আমরা কোন পথে চলবো? ভবিষ্যতের প্রজন্মকে কোন পথ দেখাবো? যদি আমি সঠিক পথ বাছাই করে সুপথে চলতে পারি তাহলেই আগামী প্রজন্ম সঠিক পথ চিনবে। আর জাগ্রত বিবেক না করে যদি অসভ্যতাকেই গ্রহন করি বা সে পথে চলি তাহলে আগামী প্রজন্ম সেই পথ চিনবে। তাহলে আমাদের বিবেক কে জাগ্রত করতে হবে। আজকে বিবেককে যদি জাগ্রত না করি তাহলে আগামী দিন সত্যি সভ্যতা নষ্টের দিকে যাবে। আর হয়তো এর জন্য আপনি আমি দায়ী থাকবো এমনকি পরকালে সে শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে। তাই সময় থাকতে আমাদের বিবেককে নাড়া দিতে হবে। নিজেদের মধ্যে সভ্যতা আনতে হবে। নিজেদের মধ্যে সে শিক্ষার আলো জাগ্রত করতে হবে। যে শিক্ষা একটা সুশীল সমাজ কামনা করে।
যুগ যুগ ধরেছে সমস্ত মানুষেরা সঠিক পথ দেখিয়েছেন তাদেরও তো ছিল ধৈর্য শক্তি। তারা চাইলে পারত না অসভ্য পথ অবলম্বন করতে। নিজের বিবেককে বিকৃতি করে খারাপ পথে চলতে। কিন্তু সে সমস্ত মহান মানুষেরা কিন্তু আপনার আমার জন্য সভ্যতার পথ দেখিয়েছে। আপনার আমার মত 100 জনের মধ্যে ১০ জন মানুষ হলেও সেই সভ্যতার পথ ধরেছে। তবে কেন আমরা সভ্যতার পথে না গিয়ে লেখাপড়া শিখেও খারাপ পথে লিপ্ত থাকি। আমরা তো চাইলে আমাদের সমাজটাকে সুন্দরভাবে সংস্কার করতে পারি। যেখানে স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠান সীমিত ছিল সেই সময়ের মানুষেরা সমাজটাকে সুন্দর পথে পরিচালনা করার চেষ্টা করেছে সামান্য জ্ঞান দিয়ে। আর আমরা এত বড় মেধাবী শিক্ষিত হয়ে কেন পারবোনা? আমরা চাইলে আমাদের মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কেউ সঠিক পথে এন দিতে পারি। কারণ একটু ভেবে দেখুন ১০ বছরের বাচ্চারা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করে। তাদের সামনে যদি নগ্ন প্রকৃতির ভিডিও ক্লিপস আসে তাহলে তারা ছোট থেকে কি শিখবে। তাদের মধ্যে তো ছোট থেকে খারাপ প্রভাব এসে যাবে। তারা তো অকালেই ধ্বংস হয়ে যাবে। তাদের মনের মধ্যে তো খারাপ জিনিস সর্বদা বিরাজমান থাকবে। তাহলে একটা উন্নত জাতি কিভাবে তারা সৃষ্টি করবে। কারন আমাদের মনে রাখতে হবে, যার যে জিনিসটা নেই সে সব সময় সেই জিনিসটা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করবে। আর কিশোর যৌবন সময়টা মানুষকে একে অপরের প্রতি আসক্ততা সৃষ্টি করে। এই সময় মানুষ কিন্তু খারাপের দিকে ধাবিত হয় বেশি এবং জীবনের সঠিক সময় ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। তাই অকালেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে সুন্দর একটি যুবসমাজ। এই জায়গায় আমাদের বিবেককে প্রভাবিত করতে হবে। বাঁচাতে হবে আমাদের যুব সমাজকে, বাঁচাতে হবে আমাদের সমাজকে, বাঁচাতে হবে আমাদের জাতিকে। আমরা সকলে সুসভ্য জাতি কামনা করি।
বিষয় | জাগ্রত বিবেক |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
Photo editing app | picsart app |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
এখন হতে নিয়মিতভাবে প্রতিদিন এই টাস্কগুলো কমপ্লিট করতে হবে এবং কমেন্টে স্ক্রিনশট শেয়ার করতে হবে।
https://steemit.com/hive-129948/@rex-sumon/very-important
ঠিক আছে
খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। সময় উপযোগী একটি পোস্ট হয়েছে। আমাদের এই সমস্ত বিষয়গুলো মেনে চলা প্রয়োজন, এতে জাতির জন্য মঙ্গল হবে।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
06-12-24
সমাজকে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার আলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। শুধু শিক্ষা বললে ভুল হবে সুশিক্ষা দিতে হবে আমাদের সমাজের প্রতিটি ঘরে ঘরে। সবার মাঝে সুশিক্ষা ছড়িয়ে পড়লে একদিন আমাদের সমাজটা আলোকিত হবে। ধন্যবাদ ভাই
হ্যাঁ একদম ঠিক কথা বলেছো।