জেনারেল রাইটিং- ||প্রতিহিংসা পরায়ণ||
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার!
বাংলাদেশ ও ভারতীয় ব্লগার ভাই ও বোনেরা আশা করি সকলে ভালো আছেন? এখানে তো বৃষ্টি প্রচুর পরিমাণ হচ্ছে আপনাদের কি অবস্থা বৃষ্টির দিনের? ঠান্ডা ঠান্ডা বেশ সুন্দর একটি আবহাওয়াতে বেশ ভালোই আছি বলতে গেলে। তো দেখতে দেখতে ঈদ তো চলে এসেছে আর মাঝখানে দুই তিন দিন পরে আমাদের পবিত্র ঈদুল আযহা পালন করা হবে। সবাই ঈদ উপলক্ষে অনেক ব্যস্ত আছি আমাদের অনেক কাজকর্ম আছে সবার ঈদ উপলক্ষ্যে। সে কাজ গুলো করতে সারাদিন অনেক ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে।
তো সেই সুযোগে চলে এসেছি নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। প্রতি সপ্তাহের মতো আজকে ও নতুন একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করব। জেনালেন রাইটিং লেখা গুলো লিখতে অনেক ভালো লাগে। কারণ পোস্টের মধ্যে সৃজনশীলতা আনার জন্য সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা করি ভিন্ন কিছু শেয়ার করার জন্য। আজকে যে বিষয়টি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটি হচ্ছে প্রতিহিংসা পরায়ণ।
প্রতিহিংসা পরায়ণ-
প্রতিহিংসা পরায়ণ এমন একটা অভ্যাস যা কিছু কিছু মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা গেলে বেশ খারাপই লাগে। প্রতিহিংসা এমন একটি জিনিস যা আপনি কোন ভাল কাজ করতেছেন তা অন্যজনে দেখে সহ্য করতে পারে না। আমাদের সমাজের আশেপাশে কিন্তু প্রতিহিংসা পরায়ণ মানুষের অভাব নেই। কোন একটি ভালো কাজ করতে গেলে কিন্তু অন্যজনের খারাপ লাগতে পারে। এমন মানুষ আশেপাশে থাকতে পারে বা অবশ্যই থাকে। ভালো কাজ করলেও কিন্তু মানুষের সমালোচনার কোন অভাব নেই। আবার খারাপ কাজ করতে গেলেও কিন্তু সমালোচনার অভাব নেই। দুই দিকেই সমস্যা এমন প্রতিহিংসা পরায়ণ মানুষের। এমন কিছু মানুষ আছে আপনার ভালো কাজকর্মকে কখনো সহ্য করতে পারেনা।
সেই প্রতিনিয়ত চেষ্টা করবেন আপনার মত সে কাজ গুলো করার জন্য। কিংবা আপনার ক্ষতি করার জন্য।
এই প্রতিহিংসা পরায়ণ মানুষ গুলো পারিবারিকভাবে যেমন লক্ষ্য করা যায়। তেমনি অফিস আদালতে কাজ করার ক্ষেত্রেও লক্ষ্য করা যায়। পাশাপাশি অনেক মানুষ জন আছেন আপনার কাজকে সহ্য করতে পারবেনা। কিংবা আপনার ভালো কাজের প্রতি অনেক বেশি নেগেটিভ মন্তব্য করবে। যাতে আপনার কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। আবার অনেকেই আছেন আপনি যে ভালো কাজটি করতেছেন সে ভালো কাজটি অন্য জনে ছিনিয়ে নিতে চাই। এমন প্রতিহিংসা পরায়ণ মানুষগুলো সারা জীবন একই রকম থেকে যায়।
আমি এমন অনেক মানুষ দেখেছি বাস্তবে আপনি যখন কোন একটি ভালো কাজ করতে যাবেন তখন সবচেয়ে প্রতিহিংসা করবে আপনার পাশের মানুষ গুলি। আপনার একদম কাছের পরিচিত মানুষ জন। এমন পাশের মানুষ কিংবা পরিচিত প্রতিহিংসা পরায়ণ মানুষ জন চাইবে আপনি কখনো ভালো কাজে জড়িত হবেন না। কিংবা আপনার কাজের মধ্যে কোন উন্নতি না ঘটুক। অথবা আপনার কাজটি একেবারে চিরতরে ধ্বংস করে দেওয়া হোক।
এদেরকে চিনা বেশ বড় কষ্ট দায়ক। কারণ নিজের সাথে চলাফেরা করেন এমন মানুষরা বেশি প্রতিহিংসা পরায়ণ কাজ গুলো করে থাকে। তাদের বুঝা যায় না আপনার সাথে যে এমন একটি প্রতিহিংসা মূলক কাজ করতেছে। আপনার সাথে খুব ভালোভাবে কথা বলেন কিংবা চলাফেরা করেন কিন্তু ভিতরে ভিতরে আপনার কাজের প্রতি কিংবা আপনার নিজের প্রতি তার একটি খারাপ প্রভাব থাকে। যদি কোনো কারণে এমন মানুষকে চিহ্নিত করা হয় তাহলে তাদেরকে এড়িয়ে চলা খুবই দরকার।
কারণ প্রতিহিংসা পরাণ মানুষ গুলো যে কোন মুহূর্তে আপনার ক্ষতি করে দিতে পারে। সেটা আপনার বিরুদ্ধে কারো কাছে খারাপ বলা কিংবা সরাসরি আপনার কাজের মধ্যে আঘাত করা। কিংবা ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষতি করার পরিকল্পনা থেকে যায়। তাই আমি পরিশেষে বলব এ ধরনের প্রতিহিংসা পরায়ণতা মূলক মানুষ গুলোর কাছ থেকে অনেক দূরে থাকা উচিত। জীবন চলার পথে একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে জীবনটাকে খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করা যায়। জীবন চলার পথে জীবনটাকে একটু সিকিউরিটিতে রাখতে হলে এমন প্রতিহিংসা পরায়ণ মানুষ গুলোর থেকে দূরে থাকায় অনেক ভালো।

লেখার উৎস | নিজের অনুভূতি থেকে |
---|---|
ইমেজ সোর্স | কেনভা দিয়ে তৈরি |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
রাইটিং ক্রিয়েটিভিটি | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
বর্তমান সময়ে প্রতিহিংসা টা অনেক বেশি। কেউ কারো সুখ শান্তি দেখলে আসলে এগুলা সহ্য করতে পারে না। আপনি অনেক সুন্দর একটি টপিক নিয়ে পোস্ট করেছেন। পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।ঠিকই বলেছেন আপনি প্রতিহিংসা পরায়ণতা মানুষগুলো থেকে আমাদেরকে একটু দূরে থাকাই উচিত। এবং জীবনে চলার পথে একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে জীবন অনেক সুন্দর ভাবে উপভোগ করা যায়। আসলে প্রতিহিংসা করা অনেক খারাপ। যে প্রতিহিংসা করে তার নিজের অনেক ক্ষতি করে কিন্তু সে তা নিজেই বুঝে না।
একদমই আপু এসব মানুষের থেকে সাবধানে থাকা এবং দূরে থাকাই অনেক ভালো।
আমাদের পেছনে আমাদেরকে নিয়ে অনেকেই প্রতিহিংসা করে। যারা প্রতিহিংসা করে তারা অনেক বড় ধ্বংসের মুখে পড়ে পরবর্তীতে। বেশিরভাগ সময় তো আমাদের কাছের মানুষগুলো আমাদেরকে দেখে অনেক বেশি প্রতিহিংসা করে। কিন্তু আমরা তাদের সেই প্রতিহিংসা বুঝতে পারি না, কারণ তাদের ভালো মানুষের পেছনে খারাপ মানুষ লুকিয়ে থাকে। আর ভালো মানুষকে চেনা অনেক বেশি কষ্টকর। খুব সুন্দর একটা টপিক নিয়ে পোস্ট লিখেছেন।
আমি মনে করি পাশের মানুষেরা যদি প্রতিহিংসা করে তাহলে অনেক ভালো হয় তাহলে সাবধান হওয়া যায়।
প্রতিহিংসা এমন একটা বিষয় যেটা মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দেয়। প্রতিহিংসা পরায়ণ লোকগুলো অন্যের ক্ষতি করতে পিছপা হয় না। সারাক্ষণ তারা ব্যস্ত থাকে। অন্যের ক্ষতি করার জন্য। অন্যের ক্ষতি করে তারা বেশ মজা পায় । সমাজের সহজ সরল লোক গুলো প্রতিহিংসা পরায়ণ মানুষগুলি চিনতে পারেনা। তাই আমাদের উচিত নিজেকে ভালো রাখার জন্য এ ধরনের প্রতি হিংসা পরান মানুষগুলো থেকে দূরে থাকা
যারা প্রতিহিংসা পরায়ণ মানুষ তারা অন্যের সুখ দেখতে পারে না আপনি ঠক বলছেন জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/4uxymg-or-or-or-or
প্রতিহিংসা আমাদের সমাজটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। প্রতিহিংসার কারণে মানুষ নিজেরাই ধ্বংস হয় কিন্তু টের পায় না ।আর প্রতিহিংসা গুলো কিন্তু সবচেয়ে কাছের মানুষরাই করে। আমি প্রতি হিংসা করা মানুষদের খুবই ভয় পাই।
অনেক মানুষ আছেন যারা প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলে যাই অন্যদের ভালো দেখলে।
আসলে প্রতিহিংসা অনেক খারাপ একটা অভ্যাস। আর এই প্রতিহিংসা যদি কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় তাহলে খুবই খারাপ লাগে। আমাদের আত্মীয়-স্বজন এবং আমরা যেখানে কাজ করি এরকম জায়গার মানুষগুলো আমাদেরকে দেখে প্রতিহিংসা করে, হয়তো আমরা উপরে তা দেখি না। সেই মানুষগুলো চায় আমাদের মত কাজ করতে। তাদের ভিতর প্রতিহিংসার একটা আগুন জলে। আর এই বিষয়টা অনেক খারাপ এবং একটা মানুষকে অনেক খারাপ পথে নিয়ে যায়। বেশিরভাগ মানুষকে এখন এই প্রতিহিংসা ধ্বংস করছে। যার কারনে সমাজটাও নষ্ট হচ্ছে। ভালো লাগলো সম্পূর্ণটা পড়ে।
আপনি অনেক সুন্দর মতামত দিয়েছেন অনেক মূল্যবান কথাগুলো বলছেন ভাল লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে প্রতিহিংসা বেশি। আপনার বাড়ির পাশে একজন ভালো খাবে ভালো চলবে ভালো ফিরবে এটা আরেক জনের সহ্য হয় না। আর এই প্রতিহিংসা জন্য মানুষ সে তার নিজের নিজেকেই ক্ষতি করছে। এটা বর্তমান সমাজে খুব ঘৃণিত অবস্থায় রয়েছে। প্রতিহিংসার কারণে মানুষ নিজের আপন জনকেই ক্ষতি করে বসছে। আপু আপনি প্রতিহিংসা নিয়ে দারুণ লিখেছেন পড়ে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া প্রতিহিংসা মানুষকে বড় করো না বরং গতির দিকে ধাবিত করে।
প্রতিহিংসা অত্যন্ত খারাপ একটা ব্যাপার যা মানুষের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করে। এটা অনেক মানুষকে তার জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য থেকে দূরে ঠেলে দেয়। এধরনের প্রতিহিংসা পরায়ণ লোকের কাছ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা উচিত। যদিও এদের সনাক্ত করা কঠিন তবে চেষ্টা করতে হবে দূরে থাকার।
একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় খারাপ দিক হলো প্রতিহিংসামূলক আচরণ দেখানো যার কারণে নিজের বিপদ নিজেই ডাকে।
Twitter Share Link
আজ আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি জনসচেতনামূলক পোস্ট শেয়ার করেছেন যে পোস্ট আমাদের সকলের জন্য অনেক সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি জাগ্রত করবে। তবে সমাজে আজ প্রতিহিংসা অনেক লক্ষণীয়। যে প্রতিহিংসা মানুষকে অনেক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে।
অনেক ভালো লাগলো আপনি আমার পোস্ট সময় দিয়ে পড়েছেন এবং অনুপ্রেরণা মূলক কথা গুলো বলার জন্য।