|| জেনারেল রাইটিং : মানুষকে সন্তুষ্ট করা সব থেকে কঠিন ||
নমস্কার বন্ধুরা
মানুষ হলো সৃষ্টি কুলের সব থেকে শ্রেষ্ঠ জীব। কিন্তু শ্রেষ্ঠ জীব হওয়া শর্তেও মানুষের কার্যকলাপ কিংবা ব্যবহার আচার অন্যান্য নিকৃষ্ট প্রাণীদের তুলনায় আরো বেশি নিকৃষ্ট। একজন মানুষ স্বার্থের জন্য কত নিচে পর্যন্ত নামতে পারে, সেটা আমরা সকলেই জানি। দিনশেষে প্রত্যেকটা মানুষই নিজের স্বার্থের পিছনে ছোটে। যদিও অনেক মানুষ রয়েছে তারা মানুষের কথা চিন্তা করে, তবে সেই পারসেন্টেন্স টা অতি নগণ্য। যাইহোক এসব কথা নিয়ে আলোচনা করতে বসলে অনেক কথাই বলা হয়ে যাবে। তার থেকে বরঞ্চ আজকের পার্টিকুলার টপিক্স নিয়ে আলোচনা করা যাক। আপনারা যারা এই পোস্ট পড়বেন তারা কি কেউ কনফিডেন্সের সাথে বলতে পারবেন যে আমি পুরোপুরি সুখী একজন মানুষ এবং আমি জীবনে যা কিছু পেয়েছি তা নিয়েই সুখী। হয়তো অনেক মানুষ বলবে যে মোটামুটি সৃষ্টিকর্তা যা দিয়েছে তা নিয়ে খুশি। কিন্তু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন তারপরও কোন না কোন জায়গা থেকে আপনি দুঃখী।
অন্যান্য প্রসঙ্গের কথা একটু পরে বলছি তবে সাধারণ একটা বিষয় এখন আপনাদের সাথে তুলে ধরি। সেটা হল যে কিছুদিন আগেই প্রচন্ড শীত আমাদের সকলকে কাঁপিয়ে দিয়ে চলে গেল। এই সময় কিছু মানুষ বলেছিল যে এই শীতে কি মানুষ বাস করতে পারে। এত ঠান্ডা পড়লে তো মানুষের জীবনযাত্রা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায়। ট্রেনের ভিতর একদিন একটা মহিলাকে বলতে শুনলাম যে এত শীত না পড়ে যদি এর থেকে গরম পড়তো তাও অনেক বেশি ভালো হতো। এখন হঠাৎ করেই গরম পড়ার কারণে সেই সব মানুষের মুখে শুনতে হচ্ছে যে এত গরমে কি মানুষ বসবাস করতে পারে। এর থেকে যদি বৃষ্টি হতো তাও অন্তত শান্তিতে থাকা যেত। কিছুদিন পরে এইসব মানুষের মুখেই শুনতে পাওয়া যাবে যে, বৃষ্টিতে কি মানুষ জীবন যাপন করতে পারে। সব জায়গায় কাঁদা কোথাও বেরোনো যায় না। এর থেকে তো শীতকালই অনেক ভালো।
অর্থাৎ আপনি মানুষকে যে কোন পরিস্থিতিতেই রাখতে চেষ্টা করবেন না কেন এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করবেন না কেন, তারা কোন প্রকারের সন্তুষ্ট হবে না। বরঞ্চ সেই ভালো কিছুর ভিতরেও তারা খারাপ কিছু খুঁজে বের করবে। আর বলবে যে এটা না হয়ে এর থেকে এটা হলে বেশি ভালো হতো। যে মানুষের কাছে প্রচন্ড টাকা-পয়সা রয়েছে সে সুখ শান্তি খোঁজে, আর যে মানুষের কাছে সামান্য সুখ শান্তি রয়েছে সে টাকা পয়সার পিছনে ছুটছে। অর্থাৎ একটা রেখে আর একটার পিছনে দৌড়ানো আর কি। যে মানুষ ১৫ হাজার টাকা মাইনে পায় সে সবসময় চেষ্টা করে ওই মাইনেটা যদি ৩০ হাজার টাকা হতো। আবার যে মানুষ ৩০ হাজার টাকা মাইনে পায় সে চিন্তা করছে যে আমি যদি এক লাখ টাকার কাছাকাছি বেতন পেতাম তাহলে হয়তো আমার জীবনযাত্রা আরো বেশি সহজ হতো।
তবে আপনারা বিচার করে দেখবেন ওই এক লাখ টাকা বেতন পেয়েও কিন্তু মানুষ অসুখী। অর্থাৎ কোন পরিস্থিতিতেই মানুষকে সুখী করা সম্ভব নয়। একটা সামান্য পশুকে দুটো বিস্কুট কিংবা তাদের পছন্দ অনুযায়ী খাবার দিলেই তারা খুশি। কিন্তু মানুষকে আপনি যতই খাওয়ান না কেন তারা শুধুমাত্র আপনার দুর্নাম করবে সুযোগ পেলেই। অবশ্য এই ব্যাপারটাকে আমি মেনে নিয়েছি, কারণ এটাই হয়তো মানুষের স্বভাবত বৈশিষ্ট্য। এইজন্যই সমাজে এত বৈষম্য এবং অশান্তি। অনেকদিন ধরে আসলে ভাবছিলাম যে এই প্রসঙ্গ নিয়ে আপনাদের সাথে একটু আলোচনা করা যাক। জানিনা কতটা কি বলতে পেরেছি, তবে চেষ্টা করেছি নিজের মতো করে বলার জন্য। আশা করছি লেখাটা আপনাদের একটু হলেও ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ | জেনারেল রাইটিং |
---|
https://twitter.com/GhoshPuja2002/status/1777033870028021886?t=K9nqCrspTbir00630RGu8A&s=19
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দিদি। পৃথিবীতে যত কঠিন কাজ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন হলো মানুষ কে খুশি করা। মানুষের তো আর চাহিদার শেষ নেই। কোন কিছুই না পেলেই যেন মানুষের অসন্তোষ্টি বেড়ে যায়। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে পোস্টটি ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি টপিকস নিয়ে পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আসলে মানুষকে সন্তুষ্ট করা সব থেকে কঠিন একটি কাজ। আসলে নিজে জায়গা থেকে আপনি একজন মানুষকে যতোটুকু ভালো রাখার চেষ্টা করবেন তিনি কখনোই সন্তুষ্ট হবেন না তার থেকেও বেশি কিছু আশা করবে এটাই হচ্ছে মানুষের প্রধান খারাপ দিক। ঠিক বলেছেন আপু আসলে এই জন্যই আমাদের সমাজে এত বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই, আমরা যতই মানুষকে খুশি করার চেষ্টা করি না কেন,তার থেকেও তার বেশি কিছু চাই। সুতরাং মানুষকে খুশি করা কখনোই সম্ভব নয়।
খুবই সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আসলে এখন মানুষকে সন্তুষ্ট করা একেবারে কঠিন৷ তার জন্য যাই করা হোক না কেন তার জন্য তা কখনোই সন্তুষ্ট করার মতো হবে না৷ এই সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমাদেরকে এতটাই কষ্ট করতে হয় যা তাদের কোন মতে সন্তুষ্টি এনে দিতে পারে না৷ তাদেরকে আমরা যতটুকু সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করব তারা তাতে সন্তুষ্ট হবেনা৷ তারা আরো বেশি কিছু আশা করবে৷ এর ফলে আমাদের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক ধরনের বৈষম্যতা দেখা যায়৷ ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷
পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। পোস্টটি পড়ে একটি গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য, ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু কেউ আমরা সুখী নই কোন না কোন ভাবে আমরা দুঃখী। প্রাণীদের নিকৃষ্টতা সোভা পায় কারণ তারা পশু,প্রাণী । মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি দিয়েছে সৃষ্টি কর্তা তবুও মানুষ নিকৃষ্ট।ঠিক বলেছেন আপনি ১৫ হাজার বেতন হলে ৩০ হাজার চাই,৩০ হাজার হলে ৬০ হাজার চাই,৬০ হাজার হলে এক লক্ষ চাই।আমাদের চাওয়ার কোন শেষ নাই।চাহিদার কোন শেষ নাই।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, মানুষের আসলে চাওয়ার কোনো শেষ নেই। যতই দাও,ততই চাই। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
চমৎকার একটি টপিকস নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মানুষের সন্তুষ্ট করা কঠিন একথা ঠিক, তবে যারা প্রকৃত মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ তাদের সন্তুষ্ট করা কঠিন নয়। বর্তমান সমাজের লোভী শ্রেণীর মানুষদের সন্তুষ্ট করা অত্যন্ত কঠিন।
তা অবশ্য ঠিক ভাই,প্রকৃত গুণাবলী সম্পন্ন মানুষদেরকে সন্তুষ্ট করা খুব বেশি কঠিন নয়। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য, ধন্যবাদ আপনাকে।
মানুষকে সন্তুষ্ট করা আসলেই সব থেকে কঠিন কাজ দিদি। কারণ মানুষের একটা চাহিদা পূরণ হলে, অন্য একটা চাহিদা নতুন করে তৈরি হয়। এটা ঠিক যে, গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত কিংবা অন্য যেকোনো ঋতু মানুষের সামনে হাজির করা হোক না কেন, তারা কোনটাই পছন্দ করবে না। অর্থাৎ তাদেরকে কোন কিছু দিয়েই সন্তুষ্ট করা যাবে না। আসলে আমিও এটাই মনে করি যে, মানুষের চাহিদার যে কোন শেষ নেই, এটা তাদের স্বভাবত বৈশিষ্ট্য। বেশ শিক্ষামূলক একটা পোস্ট ছিল দিদি।
পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম এবং পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য,ধন্যবাদ আপনাকে।