স্বপ্ন পূরণে নিরাশ হতে নেই, খুঁজতে হবে সমাধান
জেনারেল রাইটিং পোস্ট
মানুষ স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন সাজায়, স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকে। তবে অনেক সময় মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয় না। স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পিছনে অনেক কারণ থেকে থাকে। সেই সমস্ত কারণগুলোকে উদঘাটন না করে স্বপ্ন ভঙ্গের আর্তনাদে ব্যর্থ মনোভাব নিয়ে বসে থাকি। তবে আমাদের ভাবতে হবে কেন স্বপ্ন পূরণ হলো না তার পেছনের কারণগুলো কি। আপনার স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার পেছনের কারণ গুলো খুঁটিয়ে দেখতে হবে এবং সেগুলো সঠিক সলিউশন বের করে সমাধান করে চলতে হবে। এই পৃথিবীতে যে সমস্ত জ্ঞানী গুণী মানুষ রয়েছেন তারা তাদের উচ্চ শিখরে পৌছাতে গিয়ে বেশ অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছে কিন্তু আশা ছাড়েনি। তারা স্বপ্ন দেখেই গেছে এবং তা বাস্তবায়ন করে ছেড়েছে। আর যারা স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন তারাই প্রকৃতপক্ষে সাফল্য ব্যক্তি।
তাই আমরা যখন কোন একটা স্বপ্ন মনের মধ্যে লালন করব, অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার পেছনে অনেক বাধা-বিপত্তি থাকতে পারে, সে বাধা-বিপত্তিগুলো সমাধান করা। সামান্য উদাহরণ দিয়ে আমি একটা বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চাই,তা হচ্ছে একজন মেয়ে বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি আসে অনেক স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু সে তেমন রঙিন স্বপ্ন নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে পদার্পণ করে সুন্দরভাবে সাজাতে থাকে মনের স্বপ্নগুলো। তিলে তিলে সেই স্বপ্নগুলো ভেঙে পড়ে অথবা বাস্তবায়ন হওয়ার কোন পথে থাকে না। এখানে স্বপ্নভঙ্গ আশা ভঙ্গের মতো। আশা নিরাশাই পরিণত হয়ে যায়। তবুও স্বপ্ন থাকে সুন্দর একটি সুখী সংসার গড়বো স্বামী সন্তানদের নিয়ে। অনেক সময় দেখা যায় নিজের ভুলে অথবা পারিবারিক কোনো ভুল সিদ্ধান্তে বা নিজেদের ভুলের কারণে সেই স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে যায়। কিন্তু তার পিছনে কি কারণ সেগুলো উদঘাটন করে সমাধান করার চেষ্টা না করে অনেক সময় দেখা যায় মনোমালিন্য সৃষ্টি করে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করে। এমনই মনোভাব যদি থাকে তাহলে কখনোই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার কথা আসে না। তবে স্বপ্ন পূরণ করতে হলে অবশ্যই সমাধান খুঁজতে হবে।
একজন স্ত্রী পারে তার স্বামীকে ভালোবাসা দিয়ে আঁচলে বেঁধে রাখতে। অনেক সময় দেখা যায় স্বামী স্ত্রীকে আর সেভাবে ভালবাসছে না বা অগ্রাহ্য করছে। তখনই বুঝতে হবে তার পিছনে নিশ্চয়ই কোন কারণ রয়েছে। হয়তো নিজের কোন ভুলের কারণে আজকে সে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। অবশ্যই সমাধান খুঁজতে হবে এবং নিজে সমাধান করে আনতে হবে। পরিবর্তন দেখে দোষ দিয়ে বসলে হবে না তুমি আগের মত নেই। কেন আগের মত নেই, আগের ভাল ছিল এখন কেন তার পরিবর্তন হচ্ছে, নিশ্চয়ই তার পিছনে নিজের অথবা অন্যের বা কোনো কারণ রয়েছে। যদি সে খারাপ পথে যায় নিশ্চয়ই তার পিছনে কারণ রয়েছে।
অনেকেই রয়েছেন পিতা-মাতারা সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু দেখা যায় সন্তানকে লালন-পালন করে বড় করার পর শেষে সন্তানকে দিয়ে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। বরঞ্চ সে উল্টো পথে চলছে, পিতা মাতার কথার অবাধ্য হচ্ছে। এর পেছনেও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ যেমন ভূমিকা রাখে ঠিক তেমনি পিতা-মাতার ফুল কিছু কর্মকান্ড কারণ থেকে থাকে। এখানে উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি আপনি আপনার সন্তানকে একটা বই দিয়েছেন সম্পূর্ণ সে পড়ে জ্ঞান অর্জন করুক। তার হাতে মোবাইল দিয়েছেন বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করার পথে বেশ কিছু ঝামেলা থাকলে মোবাইল দ্বারা সমাধান করুক। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ওই মোবাইলটাই আপনার সন্তানের লেখাপড়া ও জ্ঞান অর্জনের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখনই তার হাতে বই আর মোবাইল তুলে দিয়েছেন তখনই ভাবতে হবে এবং দেখাশোনা করতে হবে সে সঠিক জ্ঞান চর্চার করছে নাকি মোবাইল নিয়ে বিনোদন জগতে বা রঙিন জগতে জড়িত হচ্ছে। যদি সে দেখা যায় হ্যাঁ বই পড়ছে এবং বেশ কিছু সমস্যা ফেস করছে তাই মোবাইল দ্বারা সমাধান খুঁজে তাহলে ঠিক আছে। তবে সার্বিক বিষয় কিন্তু পিতা-মাতাকে নজর রাখতে হবে। আর যদি সে লাগামহীন ঘোড়ার মত ছেড়ে দেয়,তাহলে তো এক্সিডেন্ট আসবেই। সাফল্য আসবে না স্বপ্ন পূরণ হবে না।
তাই পরিশেষে আমি একটা কথাই বলতে চাই আমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে অবশ্যই সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য বেশ কিছু বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে। আর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পিছনের অন্তরায়গুলোকে খুঁটিয়ে দেখতে হবে এবং সেগুলো সমাধান করতে করতেই চলতে হবে যেন স্বপ্নটা পূরণ হয়। স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা আসলে আমরা যদি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বপ্নটা ভেঙে ফেলি, তাহলে তো কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো কখনোই সম্ভব নয়। তাই উদাহরণস্বরূপ স্বামী-স্ত্রীর সুন্দর একটি সংসার গড়তে স্বপ্ন পূরণ করতে যদি মনের মিলন থাকে, মিল মহব্বত থাকে, সঠিক সিদ্ধান্ত থাকে এবং নিজেদের উভয়ের প্রচেষ্টা থাকে অবশ্যই স্বপ্ন পূরণ হবে এবং পথের অন্তরায় গুলো খুঁজে বের করে সমাধান করা যাবে। আর যদি মনের মিল না থাকে, একে অপরের প্রতিনিধি ভাবে চলা হয় তাহলে তো স্বপ্ন পূরণের কথা দূরে থাক পথ চলতে অনেক অন্তরায় এসে বাধা সৃষ্টি করবে এবং শুরুতেই শেষ হয়ে যাবে স্বপ্ন।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s-50mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
💕 হ্যালো! আমি এই বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান-এর পরিবারের সদস্য। তুমি কী ভালো আছো? 🌞
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আজকে আপনার শেয়ার করা পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ আপু মানুষ তার স্বপ্নের মধ্যেই বেঁচে থাকে। তবে সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমাদের কত কিছু করতে হয়। তবে স্বপ্ন পূরণের আশা ছেড়ে দিলে হবে না সে স্বপ্নকে জয় করতে পারলেই আমাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে। আপনার পোস্টটি দারুন ছিল ।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
সম্পর্কে যখন অবনতি ঘটে তখন বোঝা যায় আপন মানুষগুলো কিভাবে বদলে যায়। সত্যি আপু অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমরা বাঁচি। কিন্তু যখন স্বপ্নগুলো চোখের সামনে শেষ হয়ে যায় তখন বেঁচে থাকার ইচ্ছে কমে যায়। স্বপ্নই আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখে। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।