জেনারেল রাইটিং: অসচেতনতাই হতে পারে বড় ক্ষতির কারণ।
আসসালামু আলাইকুম
জেনারেল রাইটিং পোস্ট
বর্তমান সময়ে মানুষ শিক্ষিতর হার বেশি। আজ থেকে এক যুগ আগে শিক্ষিতের হার কম ছিল। তারও এক যুগ আগে অশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল। সময়ের ব্যবধানে শিক্ষিত মানুষের হার বেড়েছে। তবে শিক্ষিত মানুষ যতই বৃদ্ধি পাক, সচেতন মানুষ বৃদ্ধি পায়নি। লক্ষ্য করলে দেখা যায় শিক্ষিত নামের মূর্খ মানুষের অভাব নেই সমাজে। অনেকের টাকা পয়সার বড়াই করে, একটু টাকা পয়সা হলেই বোকামির পরিচয় দিতে দিধা করেনা। জ্ঞানীগুনি মানুষদের কথা অমান্য করে চলে। আর এই অমান্য করে চলার পর যখন বিপদে পড়ে তখন বুঝতে পারে।
একটা ছোট ঘটনা বলি। আমাদের এলাকায় একজন মানুষ একটি কাঁঠালের সম্পূর্ণ পাকা অংশ খেয়ে ফেলতে পারতেন। সেটা আবার বড় কাঁঠাল। বেশ হজম করতে পারতেন তিনি। তবে অনেক মানুষে তাকে মানা করতো এভাবে আস্ত একটি পাকা কাঠাল খাওয়াটা বোকামি। এতে তার কোন উপকারে আসবে না বরঞ্চ যে কোন মুহূর্তে ক্ষতি হবে। বড়াই করে বলতো পারলে অন্য কেউ খেয়ে দেখা। কিন্তু কেউ তার কথাকে গ্রহণ করত না। কারণ কাঁঠাল খারাপ জিনিস। অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে ক্ষতি হতে পারে। মানুষটা একদিন বাজার থেকে বড় একটি কাঁঠাল কিনে বাজারে বসে খেয়ে মানুষকে দেখিয়েছে। অনেকেই বাহবা দিয়েছে। এ তো এক প্রকার বীর বা রাক্ষস ইত্যাদি। কিন্তু দিনটা প্রচন্ড গরম থাকায়। রাতে বেচারার নাজেহাল অবস্থা শুরু হয়। এরপর শোনা যায় স্টোক করে মারা গেছেন। এই যে মৃত্যু ডেকে আনলো পোরা বোকামি করে। তার অসচেতনতা আর বোকামিতাকে শেষ করে ফেলল।
বেশ কিছুদিন লক্ষ্য করে দেখি অনেক মানুষ বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালায়। একটু সময় সুযোগে যখন ফেসবুক ইউটিউবে চোখ রাখি। দেখি মোটরসাইকেল এমন বেপরোয়া ভাবে চালায়, গাড়ি চালাতে চালাতে সিটের উপর দাঁড়িয়ে পড়ে। কিন্তু একটা বার ভাবে না বাইচান্স পড়ে গেলে তার কি অবস্থা হবে। আবার অনেকের দেখেছি বোকামি করতে গিয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে দাঁত মুখ ভেঙ্গে বসে রয়েছে। কথায় আছে, একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। আমরা জানাশুনা সত্ত্বেও কেন অসচেতন হয়ে বোকামি করব। এটাই বুঝে আসেনা। এক দু বছর আগে আমাদের এক চাচাতো ভাই মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে এতটা মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন বেঁচে থাকাই কঠিন। এখন তার মুখের অবস্থা ভালো নয়। দাতগুলো সব পড়ে গেছে। মুখ ভেঙে গেছে। এক-দেড় বছর পর কোনরকম সুস্থ হয়েছে। আমরা স্বচক্ষে এত কিছু দেখে জেনে কেন বোকামি করব।
অনেক আপুরা রয়েছেন, সুখে থাকতে তাদের ভূতে কিলায়। সুন্দর গোছানো স্বামীর সংসার থেকেও পরকীয়া নামের পাপিষ্ট কাজে লিপ্ত হয়ে নিজের ইহকাল পরকাল ধ্বংস করে ফেলছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে যদি সচেতনতা থাকতো তাহলে তারা অবশ্যই বিবেক করে বুঝতে পারতো ভালো-মন্দ বিষয়। অনেকেই দুনিয়াটাকে প্রাধান্য দিয়ে ফেলে এইজন্যই ধ্বংস হয়ে যায়। তারা যদি একটু বুঝতো তাহলে কখনোই খারাপের দিকে ধাবিত হতো না। আমরা সবাই জানি মহান সৃষ্টিকর্তার আদেশ-নির্দেশ। কিন্তু আমরা অসচেতন রয়েছি বলেই মান্য করিনা। কিন্তু মনে রাখতে হবে আমাদের বোকামির ফল ভোগ করা লাগবে দুনিয়াতে অথবা আখিরাতে।
আমাদের দৈনন্দিন চলার পথে সব সময় মাথায় রাখতে হবে অসচেতন ভাবে যাই করব না কেন সেটাই আমাদের ক্ষতির কারণ। তাই খাবার খাওয়ার সময়, পথ চলার সময়,এমনকি নিজের জীবন চলার পথে সব সময় সজাগ থাকতে হবে। অসচেতনভাবে যদি পথ চলি অবশ্যই পথভ্রষ্ট হতে হবে। আর সেই পথভ্রষ্ট জীবনটা বেশ বেদনাদায়ক ও কঠিন হয়ে উঠবে। যেকোনো এক্সিডেন্ট সারা জীবনের জন্য কলঙ্কিত করবে অথবা পঙ্গু করে তুলবে। তাই অসচেতন দৃষ্টিভঙ্গি দূর করে সচেতন ভাবেই আমাদের বাঁচতে হবে। যেন আমরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারি।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
X--promotion
আজকের কাজ সম্পন্ন
আপু এই পরকীয়া আমাদের সমাজে একটি ভাইরাসে পরিণত হয়েছে। খুব সুন্দর একটি কথা বলেছেন আপনি সুখে থাকলে ভূতে কিলায় আসলে তাই। আমাদের চারিপাশে এমনও অনেক মানুষ আছে যাদের সুখের সীমা নেই। তারপরও তাদের সুখের অভাব। সুখ খোঁজার জন্য অন্য মানুষের সাথে পরক্রিয়া করে। আর এ অসচেতনতাই সেই মানুষটির এবং পরিবারের ধ্বংস ডেকে আনে।
হ্যাঁ আপু আজ সমাজটা যেন দূষিত হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অসচেতনতার জন্য।
শুধু মোটরসাইকেলে নয় আপু জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। আমরা যতই সাবধানে থাকব ততই নিরাপদে থাকবো। প্রতিদিন কোন না কোন মানুষ মোটরসাইকেলের এক্সিডেন্ট করে মারা যায়। কারণ তারা এত বেপরোয়াভাবে গাড়িগুলো চালাই তাদের অসাবধানতার কারণে এই পরিণতি। অনেক সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো লিখলেন ভালো লেগেছে পড়ে।
হ্যাঁ আপু একটা বিষয় থেকে আমাদের সকল বিষয়ে ধারণা নিতে হবে।
আপু আপনি একদম আমার মনের কথা গুলো উল্লেখ করেছেন। আমাদের সমাজে এমন অনেক নারী আছে যাদের সুখের সংসার রেখে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এই ধরনের মানুষগুলোকে দেখলেই বোঝা । ইচ্ছে করে এদেরকে সমাজ থেকে আলাদা করে দেই। তাছাড়া আর এক প্রকার মানুষ আছে বেশিরভাগ অল্প বয়সেই ছেলেরা যারা খুব জোরে মোটরসাইকেল চালায়। এইতো কয়েকদিন আগে দুইটা ছেলে এভাবে মারা গেল। তবে এগুলো সবকিছু কিন্তু আমাদের অসচেতনতার কারণেই ঘটে। তাই আমাদের সব সময় সচেতন থাকতে হবে।
উইপোকার পাখা গজালে উড়তে যায়, আর তখনই মরণ হয়। ওই সমস্ত অসচেতন মানুষগুলো এমন।
আপনার মত করে যদি প্রত্যেকেই এই বিষয়গুলোকে উপলব্ধি করতো তাহলে আশা করি সমাজে কোন রকমের বিশৃঙ্খলা জনিত কাজ সংঘটিত হতো না। বেশি বাহাদুরি দেখিয়ে নিজের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোন কাজে নেমে পড়া মূর্খতার আরেক পরিচয়। তবে শেষের কথাটি ভীষণ ভালো লাগলো কিছু কিছু মহিলা রয়েছে যাদের সুখে থাকতে ভুতে কিলাই। সঠিক বলেছেন সব কথা। আসলেই আমাদের জীবন চলার পথে সব দিকে সঠিক সজাগ থাকতে হবে তাহলেই সুস্থভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব। সচেতনতামূলক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বিষয়গুলো বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
পৃথিবীতে আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখেছি যেখানে মানুষ অচচেতন থাকার কারণে তাদের এত বেশি ক্ষতি হয়েছে যা একেবারে অকল্পনীয়। তাদের যদি একটুখানিও সচেতনতা থাকতো তাহলে তারা সেখানে কোন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতো না। আর অসচেতন ব্যক্তি কখনোই জীবনে ভালো কিছু করতে পারবে না। যে ব্যক্তি যত বেশি অসচেতন সে ব্যক্তি তত বেশি ধ্বংসের দিকে চলে যায়৷ আজকে আপনি আপনার এই পোস্ট এর মাধ্যমে খুব সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন৷ খুব ভালো লাগলো আজকের এই সুন্দর পোস্ট পড়ে৷
ধন্যবাদ আপনাকে