জেনারেল রাইটিং: পারিবারিক শিক্ষা
জেনারেল রাইটিং পোস্ট
একজন মানুষ জন্মগ্রহণ করে শিক্ষা নিয়ে আসে না। জন্মের পর ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে, বোধশক্তি জাগ্রত হতে থাকে। আর তারই পাশাপাশি সে পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে চলার চেষ্টা করে। এই মুহূর্তে সে অনেক কিছু দেখে জানে বুঝে এবং শিখে। একজন শিশুর বাল্যকাল থেকে শিক্ষার হাতেখড়ি তার পরিবার ও সমাজ। একটা সমাজ এবং তার পরিবার সবসময় নির্ভর করে কেমন শিক্ষা দিবে তাকে। কারণ একটা শিশুর নিষ্পাপভাবে বেড়ে উঠতে থাকে। তার পরিবার আর সমাজ যেমন শিক্ষা দিয়ে থাকে সে তেমনটাই শিখতে থাকে। এজন্য পারিবারিক শিক্ষাটা হতে হবে সঠিক শিক্ষা, যে শিক্ষা একজন শিশুকে সুপথে পরিচালিত করবে। একটা সময় ছিল, মানুষ যদি গুরুতর ভুল করত তখন সেই ভুলের জন্য ১০ জন কথা বলতো। তার পারিবারিক সু শিক্ষা নেই বা নৈতিকতা সে শিখে আসেনি। যার জন্য বেয়াদবি করছে বা খারাপ কিছু শিখছে বা খারাপ কিছু করছে।
সমাজে পরিবারে চক্ষু লজ্জা বলে একটা বিষয় ছিল। আর এ চক্ষু লজ্জার ভয়ে অনেকে খারাপ পথ থেকে বিরত থাকতো, নিজেকে মানুষের মত মানুষ রূপে পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করত সব সময়। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার কারণে হোক বা সামাজিক সুশিক্ষার অভাবেই হোক নতুন প্রজন্ম যেন নৈতিক শিক্ষা থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছে। কারণ এমন একটা সমাজ আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে এখানে কেউ কাউকে সম্মান করতে জানেনা, কেউ কাউকে মান্য করতে জানে না। একজন ভুল করলে আরেকজন উল্টা প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ভুল করে বসে স্বেচ্ছায়। আর এই জন্য আমরা লক্ষ্য করে থাকি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাদের নিজের, তারপরেও যেন জাগ্রত বিবেক আসে না।
তাহলে পারিবারিক শিক্ষাটা আগে ভালো ছিল,এটা আমাদের মেনে নেওয়া লাগবে। বিশেষভাবে অনুধাবন করে আমি দেখেছি, আগে একই পরিবারে অনেক মানুষ থাকতো। আর বেশিরভাগ যৌথ ফ্যামিলির লক্ষ্য করতাম। সে ফ্যামিলিতে যে সমস্ত সন্তানরা বড় হয়ে উঠতো তারা বড়দের কথা মান্য করতো এবং বড়দের ভয়ে সঠিক পথটা বেছে নিতো, এমনকি শাসনের গণ্ডির মধ্যে থাকতো। তাই তারা খারাপ পথে পা বাড়ানোর সুযোগ পেত না। বিভিন্ন বিষয়ে তারা সুশিক্ষা পাওয়ার সুযোগ পেতো। একজন মানুষ যখন ভুল পথে পরিচালিত হয়, তখন পরিবারের কেউ না কেউ তাকে আঙ্গুল ঘুরিয়ে সোজা পথ দেখিয়ে দিতে পারতো। আর এখন কিন্তু পরিবারগুলো ছোট হওয়ার কারণে এছাড়াও পারিবারিক শিক্ষা না থাকার কারণে দিন দিন যেন তাদের মধ্যে বিপর্যয় চলে এসেছে এবং শিক্ষার অভাব হয়ে গেছে। তাই পারিবারিক সু শিক্ষা যখনই তাদের মধ্যে কম থাকে অবশ্যই তারা ভুল পথে পরিচালিত হয়। আর এভাবেই প্রত্যেকটা সমাজে আমরা লক্ষ্য করে দেখি বিভিন্ন রকমের বিশৃঙ্খলা বিভিন্ন রকমের খারাপ কর্মকান্ড ঘটেই চলেছে।
তাই আমাদের সকলের পারিবারিক শিক্ষার বিষয়ে সজাগ হতে হবে। আমার সন্তান কতটা সুশিক্ষা গ্রহণ করছে সে বিষয়ে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে। যদি সমাজের খারাপ পরিবারে গড়ে ওঠা কোন সন্তানের সাথে আমার সন্তান মিশে অবশ্যই সে খারাপ কিছুই শিখবে, সে বিষয়টা মাথায় রেখে তাকে সমাজে চলতে দিতে হবে। কারণ আপনি আমি দু একজন মিলে সমাজের সুশিক্ষা প্রতিষ্ঠা করতে পারবো না। তাই জন সচেতনতা একান্ত প্রয়োজন। আর পারিবারিক দৃষ্টিকোণ থেকে সুশিক্ষা গড়ে তোলার প্রয়োজন। যে শিক্ষাগুলো আপনার আমার সন্তানকে নৈতিক শিক্ষা শিখাবে। কিভাবে বড় কে সম্মান করতে হয় কিভাবে ছোটকে স্নেহ করতে হয়, কিভাবে আদব এর মধ্য দিয়ে মানুষের মাঝে চলাফেরা করা যায়। এমন শিক্ষা টাই আপনার আমার সন্তানের প্রয়োজন। কারণ দিন দিন এমন একটা বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে জনসমাজের মধ্যে, যেন এই পারিবারিক শিক্ষাগুলো দিন দিন রাস পাচ্ছে এবং মানুষরা অমানুষের রূপ ধারণ করছে। এজন্যই যত প্রকার মারামারি খুন ঝই ঝগড়া ফ্যাসাদ কেস কাছারি লেগে রয়েছে সমাজে। তাই অবশ্যই আমাদের নিজেদের মধ্যে নৈতিকতা জাগ্রত করতে হবে এবং আমার সন্তানদের সে শিক্ষা দিতে হবে। যেন আগামী প্রজন্ম হয়ে ওঠে নৈতিক শিক্ষা দ্বারা সুশিক্ষিত। আর এই জন্য পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s-50mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু আমাদের নৈতিকতা জাগ্রত রাখতে হবে সব সময়। আসলে পারিবারিক শিক্ষা সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।ছোট শিশু যা দেখে তাই শিখে। আমরা স্কুল, কলেজ থেকে যতই শিখি না কেন পারিবারিক শিক্ষা সবার আগে দরকার। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
হ্যাঁ বাচ্চাদের সেই শিক্ষা দিতে হবে
খুবই সুন্দর একটি বিষয় আজকে আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। সত্যি আগেকার মানুষজন অনেক ভাই বোন ছিল তারপরেও তাদের মধ্যেকার মিল অনেক বেশি। এমনকি তাদের কথাবার্তা অনেক সুন্দর। আর এই সবকিছুই হয় পারিবারিক শিক্ষার জন্য। আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনে পারিবারিক শিক্ষাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমাদের থেকে আমাদের বাচ্চারা শিক্ষা গ্রহণ করবে প্রথম পর্যায়ে। তাই পারিবারিক শিক্ষাটা যদি সঠিকভাবে না দেওয়া যায় তাহলে কখনোই তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা যাবে না। ধন্যবাদ আপু।
অনেক মানুষ ছিল বলে পারিবারিক শিক্ষাগুলো ছিল
আসলে পারিবারিক শিক্ষার জন্য অনেক কিছুই হয়ে যেতে পারে৷ এই পারিবারিক শিক্ষা অর্জন করার ক্ষেত্রে যদি কোন ধরনের ত্রুটি থেকে যায় তাহলে অনেক ধরনের সমস্যা আমরা দেখতে পাই৷ আগেকার সময় আমরা দেখতে পারতাম যে বেশিরভাগই যৌথ পরিবার ছিল৷ তবে এখন প্রতিনিয়তই শুধুমাত্র একক পরিবারের সংখ্যা বেশি দেখা যায় ৷ যাই হোক ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
হ্যাঁ পারিবারিক শিক্ষাটা প্রধান শিক্ষা, যেটা সারা জীবন কাজে আসে।