জেনারেল রাইটিং- অসুস্থতার অন্যতম কারণ বায়ু দূষণ
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করব। আমার আলোচনার বিষয় থাকবে বায়ু দূষণ। বিভিন্নভাবে বায়ু দূষিত হচ্ছে। আর বায়ু দূষণের ফলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আজকে আমি এই বিষয় নিয়ে আমার মতামত পেশ করব।
বায়ু দূষণ, মাত্র দুইটা শব্দের কথা। এই শব্দ দুইটার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে হাজারো মানুষের জীবন সর্বনাশের কারণ। কিন্তু আমরা বায়ু দূষণ সম্পর্কে অবগত হতে চাই না। বায়ু দূষণ কেন হচ্ছে কিভাবে হচ্ছে এগুলো নিয়ে আমাদের সজাগ হওয়া প্রয়োজন। আমি মনে করি একজন সুনাগরিক হিসেবে আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। যে সমস্ত দায়িত্ব গুলো সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করবে, সেই বিষয় নিয়ে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। বর্তমান সময়ে লক্ষ্য করলে দেখা যায় আমাদের পরিবেশটা দূষিত হচ্ছে বিভিন্নভাবে। বর্তমান সময়ে বায়ু দূষণের বেশ কিছু কারণ আমরা লক্ষ্য করি। বড় কারণ বিভিন্ন ফ্যাক্টরি থেকে নির্গত ধোঁয়া। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শত শত ছোট বড় বিভিন্ন কলকারখানা গড়ে উঠেছে। আলহামদুলিল্লাহ এই কল কারখানা আমাদের দেশের জন্য আশীর্বাদ। কিন্তু এই কলকারখানা দ্বারা নির্গত দূষিত হওয়া প্রতিনিয়ত আমাদের সুন্দর পরিবেশটাকে দূষিত করে চলছে। আমরা জানি মাটি আর আকাশের মধ্যে অংশ বাতাস দ্বারা ভরপুর। আমরা প্রতি সেকেন্ডে নিঃশ্বাস গ্রহণ করছি এটা অক্সিজেন। বাতাসের মধ্যে যে অক্সিজেন নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে নিয়ে চলেছি সে অক্সিজেন আজ বিভিন্নভাবে দূষিত হয়ে আমাদের ভেতরে প্রবেশ করছে এবং আমাদের বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি করছে। কিন্তু আমরা জেনেশুনে অনেক কিছু এড়িয়ে চলি। শহর গুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে বায়ু দূষিত হতেই রয়েছে। এছাড়াও এক্সট্রা অতিরিক্ত আমরা অপ্রয়োজনে বায়ু দূষণ করে থাকি কিন্তু কেন কিভাবে করছি সেগুলোর দিকে লক্ষ্য করি না। কলকারখানা ছাড়া অকারনে বিভিন্ন ধরনের ধোয়া বাতাসে মিশে যাচ্ছে এবং বাতাসকে দূষিত করছে। আমরা চেষ্টা করব অপ্রয়োজনে কালো ধোয়া নির্গত করবো না। সেটা কল কারখানা হোক আর বাসা বাড়ি বা অন্য কোন কারণেই হোক। যেখানে অতিরিক্ত মাত্রায় বায়ুদূষণ রয়েছে সেখানেই যেন বায়ু দূষণের কারণগুলো কমানো যায় সে চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে যদি কোন কিছু পুড়িয়ে নষ্ট করার চেষ্টা করতে হয় তাহলে সেগুলো এমন জায়গাতে নিয়ে পোড়ানোর কাজ করতে হবে জানো বায়ুতে একটা ব্যালেন্স থাকে। যেটা মানুষের জন্য ক্ষতিকর হবে না।
মনে করুন একটি স্থানে অনেক কলকারখানা রয়েছে সেখানে প্রতিনিয়ত ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে বাতাসে। সেখানে অতিরিক্ত মানুষের বসবাস, তাহলে অবশ্যই দূষণ বায়ু দ্বারা মানুষের শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। দূষিত বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে হবে। প্রতিনিয়ত মানুষের নতুন নতুন রোগ লক্ষ্য করা যায়, তার মধ্যে দূষিত বায়ু অন্যতম কারণ। গ্রামীন পরিবেশে মুক্ত বাতাস আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অনেক সহযোগিতা করে থাকে। কিন্তু সেখানেও বাতাস দূষণ আরো বেশি হয়ে থাকে। এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, গ্রামের গাছপালা অনেক বেশি, কলকারখানা নেই, কি সুন্দর ফসলের মাঠ। সবুজের ঘেরা পরিবেশ। তাহলে সেখানে বায়ু দূষণ হয় কিভাবে। আমি মনে করি শহরের বায়ু যেভাবে দূষিত হয় তার চেয়ে বেশি গুণ বায়ু দূষিত হয় গ্রামের ফসলের মাঠের কারণে। কারণ একটু ভেবেচিন্তে দেখুন ফসলের মাঠে ভালো ফলন পেতে কৃষকরা প্রতিনিয়ত কীটনাশক ব্যবহার করে চলেছে অতিমাত্রায়। প্রত্যেকটা জমিতে যদি ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ হতে থাকে। এই কীটনাশক বাতাসের সাথে মিশে শুধু সে জমিতে অবস্থান করছে না আশেপাশে ফসলের মাঠ বায়ু দূষিত হচ্ছে বাতাস এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলাচলের কারণে সারা গ্রাম এর অক্সিজেন পরিপূর্ণ বাতাস দূষিত হয়ে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করছে। তাই আমি যতটা অনুমান করি এই সমস্ত কীটনাশকগুলায় আপনার আমার সুস্থ থাকার প্রধান অন্তরায়।
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা নিজের স্বাস্থ্য নিয়েই পড়ে থাকে কিন্তু কখনো এই সমস্ত বিষয়গুলো ভেবেচিন্তে দেখতে চায় না। আপনি দুই পয়সা লাভের আশায় যখনই কীটনাশক ব্যবহার করছেন, তখনই মনে করুন দুই পয়সা পকেট আসতে পারে কিন্তু 10 পয়সা পকেট থেকে বের হয়ে যাবে অসুস্থতার জন্য। আর এই অসুস্থতার মেইন কারণে হচ্ছে বায়ু দূষণ। এছাড়াও বিভিন্ন দোকানপাশায় লক্ষ্য করে দেখবেন। অনেক মানুষ সিগারেট খাওয়াই ব্যস্ত। সিগারেটের নিকোটিন নামক বিষ থাকে। যে সিগারেট টা আছে সে তো নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও সিগারেটের ধোঁয়া বায়ুতে মিশে ছড়িয়ে পড়ছে সব জায়গায়। এক্ষেত্রে বৃদ্ধ বয়সী এবং শিশু বয়সী মানুষেরা বেশি অ্যাটাক হচ্ছে। হয়তো আপনার রান্নার চুলার ধোঁয়া আপনার এলাকার বায়ুকে বেশি দূষণ করছে না কিন্তু এই সমস্ত কীটনাশক সিগারেটের ধোঁয়া এছাড়াও মরা পচা বিভিন্ন জিনিস বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। সেই থেকেই দূষিত হয় বায়ু। তাই আমি মনে করি এই সমস্ত বিষয়গুলোর প্রতি আমাদের সজাগ হতে হবে।
প্রায় লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন সংস্থা তাদের নিজেদের উন্নয়নের জন্য সভা সেমিনার করে থাকে। আমি মনে করি যেন সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য বিশেষ বিশেষ বিষয়কে কেন্দ্র করে সভা সেমিনার গড়ে তুলে মানুষকে সজাগ করতে হবে। কারণ বায়ু দূষণ বিভিন্ন রোগের বড় কারণ। আমরা প্রতিনিয়ত রোগে আক্রান্ত হচ্ছি হসপিটালে যাচ্ছি টাকা খরচ করছি কিন্তু রোগের মূল কারণগুলো খতিয়ে দেখার চেষ্টা করি না। এইজন্য আমাদের মানব সম্পদ ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে অসুখ-বিসুখে। বিশ্বের বুকে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় ৬০ বছরের মানুষগুলা কতটা স্ট্রং। সে জায়গায় আমাদের দেশে ৪০ বছর পার হলে মানুষগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে বিভিন্নভাবে। আমাদের অসুস্থতার মেন কারণগুলো আমরা খতিয়ে দেখি না। কিন্তু অন্যদের দেশগুলো দেখা যায় তারা স্বাস্থ্য সচেতন এছাড়াও তাদের পরিবেশ যেন ভালো থাকে সেই বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। তাই তারা স্বেচ্ছায় সুন্দর পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে থাকতে পারে। তাদের অক্সিজেনের কোন প্রকার বিষাক্তক জিনিস মিশে থাকে না। আরো দেখা যায় উন্নত রাষ্ট্রের মানুষেরা বেশি সুস্থ থাকে নদী সমুদ্রের ১০০% পিওর বাতাস গ্রহণ করার ফলে। কিন্তু আমাদের দেশের যেটুকু নদী রয়েছে না কেন সব নদীগুলো দূষিত থাকে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ দ্বারা। এখান থেকে বায়ু দূষণ হয় আরো বেশি। তাই বিদেশিদের মত নদীর পাড়ে আমরা ভালো বায়ু আশা করতে পারি না। তাই সর্বোপরি আমাদের জন সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে। আমরা যদি আমাদের পরিবেশ ঠিক না রাখতে পারি তাহলে অন্যরা কখনো ঠিক করে দিতে পারবে না। একটু সুস্থভাবে বাঁচতে পারবে আমাদের জাতি। সব সময় চেষ্টা করতে হবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বায়ু দূষণমুক্ত রাখার।
ব্লগিং ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
---|---|
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
আলোচনার বিষয় | বায়ু দূষণ |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার ও ব্লগার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
Twitter-promotion
আমার আজকের টাস্ক
বায়ু দূষণ নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আমরা সব সময় শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করি। এতে প্রতিদিন অসংখ্য ভাই ও আমাদের ভেতর দিয়ে চলাফেরা করে। আর এইবার যদি দূষিত হয় তাহলে আমাদের তো সর্বনাশ। আমাদের চারপাশে সব সময় অনেক ধরনের ধোয়া বাতাস প্রবাহিত হয়। আপনি ঠিকই বলেছেন কীটনাশক বিষ এমন খারাপ এটা মানুষকে মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যায়। আমাদের সব সময় সাবধানে থাকতে হবে। সবাইকে সচেতন করতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বায়ু দূষণের ফলে রোগ সৃষ্টি হয়।
আসলে যেভাবে বায়ু দূষণ প্রতিনিয়ত হচ্ছে এতে করে কিন্তু মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। যদিও প্রত্যেকটি কলকারখানা আমাদের দেশের উন্নতির জন্য বিভিন্ন অবদান রাখে। কিন্তু বায়ু দূষণের ফলে কিন্তু মানুষের সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়। আজকে আপনি বায়ু দূষণ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং এর প্রত্যেকটি কথা একদম সঠিক।
জি ভাইয়া তাই অতিমাত্রায় বায়ুদূষণ থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে
আমাদের দেশে বায়ু দূষণ খুবই ভয়াবহ অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে। বায়ু দূষণের কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বায়ু দূষণের পরে আমাদের দেহে মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। আমাদের উচিত সব সময় বায়ু দূষণ সম্পর্কে সচেতন থাকা। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
হ্যাঁ ভাইয়া
বায়ু দূষণ নিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আজকে আপনি আমাদের মাঝে আলোচনা করেছেন যেগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। প্রতিদিন বায়ু দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বায়ু দূষণ রোধে সচেতনতা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
আমি মনে করি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আমাদের সবার লেখা প্রয়োজন।