স্বার্থপরতা হল এমন একটি রোগ, যা অন্যদের প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতির স্থান দখল করে নেয়।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।আজকে আপনাদের মাঝে একটা জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করব।
স্বার্থপরতা আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত বৈশিষ্ট্য, যা মানুষের মধ্যে নানা সময় বিভিন্ন রূপে দেখা যায়। তবে, যখন এটি একাধিক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তা শুধু একজন ব্যক্তির ক্ষতি করে না, বরং পুরো সমাজকে আঘাত করে। আমি মনে করি, স্বার্থপরতা সত্যিই একটি রোগের মতো, যা মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং মানবিকতার স্থান দখল করে নেয়। যখন একটি মানুষ শুধু নিজের কথা চিন্তা করে, তখন সে ভুলে যায় যে, পৃথিবী একা চলতে পারে না, এবং সম্পর্কের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বোঝাপড়াই জীবনকে সুন্দর করে তোলে।
স্বার্থপর মানুষ তার স্বার্থের জন্য অন্যদের অনুভূতিকে তুচ্ছ করে দেখে। এই ধরনের ব্যক্তি কখনোই বুঝতে পারে না যে, মানুষের মধ্যে ভালবাসা ও সহানুভূতির প্রয়োজন কতটা। একদিকে তারা নিজের প্রয়োজন ও ইচ্ছার প্রতি এতটাই গুরুত্ব দেয় যে অন্যদের বিপদ বা কষ্ট তাদের কাছে কিছুই না। এই ধরনের মানসিকতা একে অপরের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে এবং সমাজ ও পরিবারে বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি করে। সমাজ যখন একে অপরের জন্য কাজ করে না, তখন ঐক্য ও সহযোগিতার চাহিদা মেটে না। সবাই স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করে।
এছাড়াও, স্বার্থপরতা মানুষের সম্পর্কের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করে। একজন স্বার্থপর ব্যক্তি সর্বদা নিজের লাভের দিকে তাকায়, ফলে অন্যরা তাদের মধ্যে আন্তরিকতা ও বিশ্বাস খুঁজে পায় না। সম্পর্কের মধ্যে সৎ উদ্দেশ্য এবং সহানুভূতির অভাব সেই সম্পর্ককে একদম ঠুনকো করে তোলে। একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসার অভাব থাকলে, মানুষ কখনও সুখী হতে পারে না। তবে স্বার্থপরতা যখন মানুষের মাঝে প্রবল হয়ে ওঠে, তখন তারা এই সব অনুভূতিকে আর বুঝতে পারে না।
এরপরও, আমি মনে করি যে, সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে কিছুটা স্বার্থপরতা থাকা জরুরি।কারণ অন্যের ভালো কেউ না চাইলেও ক্ষতি অনেকেই চায়। কিন্তু স্বার্থপরতা যখন সীমা পেরিয়ে যায় এবং মানুষের ভালোবাসা ও সহানুভূতি গ্রাস করে, তখন তা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। যখন একজন ব্যক্তি তার নিজের স্বার্থের জন্য অন্যদের কষ্ট দেয়, তখন তার মানসিকতা বিষাক্ত হয়ে ওঠে। এই বিষাক্ত মানসিকতা সমাজের মধ্যে নেমে আসে, এবং এর প্রভাব শুধু এক ব্যক্তি বা একটি পরিবারেই সীমাবদ্ধ থাকে না; এটি পুরো সমাজে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে, একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসা একটি দারুণ সম্পর্কের জন্ম দেয়। আমরা যদি নিজেদের স্বার্থের বাইরে গিয়ে অন্যদের জন্য কিছু করি, তাহলে পুরো সমাজে ভালোবাসা, সহযোগিতা ও শান্তির পরিবেশ তৈরি হতে পারে। মানুষের মধ্যে খাঁটি ভালোবাসা ও সহানুভূতির চর্চা সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে। আসলে, স্বার্থপরতা যদি রোগ হয়, তাহলে ভালোবাসা ও সহানুভূতি হলো তার প্রতিষেধক।
অতএব, জীবনে মানবিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটানো উচিত, যেখানে আমরা একে অপরকে সম্মান করি, সহযোগিতা করি এবং সুখ-দুঃখে একে অপরের পাশে দাঁড়াই। সঠিক মনোভাব এবং মানবিকতা গড়ে তুললেই একটি শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ সমাজ গঠন করা সম্ভব।স্বার্থপরতা সমাজ ও পরিবারকে বিষাক্ত করে তোলে।কিন্তু আন্তরিকতা আর ভালোবাসা দিয়েই সম্পর্ক জয় করা যায়।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Task 1
https://x.com/bristy110/status/1907768585537380734
Task 2
https://x.com/bristy110/status/1907770074045493334
Task 3
https://x.com/bristy110/status/1907770907336257815
Task 4
https://x.com/bristy110/status/1908200556864184577