জেনারেল রাইটিং :- জ্ঞানীকে চেনা যায় নীরবতা থেকে, আর মূর্খকে তার বক্তব্য থেকে।
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শিক্ষনীয় একটি পোস্ট শেয়ার করব। আমার পোস্টটি হচ্ছে জ্ঞানীকে চেনা যায় নীরবতা থেকে, আর মূর্খকে তার বক্তব্য থেকে। মানুষের মধ্যে ভালো-মন্দ যেমন আছে তেমনি জ্ঞানী লোক ও জ্ঞানহীন লোকও আছে। তবে মানুষ চলার পথে জ্ঞানী লোককে চিনতে পারে। তেমনি মূর্খ লোককে চিনতে পারে। আসলে জ্ঞানী লোক চেনা যায় তাদের নীরবতা বা ব্যবহার থেকে। জ্ঞানী লোক গুলো খুব কম কথা বলে। এরা সব সময় নীরবতা থাকে এবং তাদের কথাগুলো দাম আছে। কারণ জ্ঞানী লোক মূর্খ লোকের মত এরকম বেশি কথা বলে না। এবং তারা কম কথা বলে এবং তাদের কথাগুলোর ওজন থাকে বেশি। আর জ্ঞানী লোক সব সময় তারা জ্ঞানের কথা বলে। আর মূর্খ লোকের কথাগুলো হয় অনেক বড়।
তারা সবসময় মানুষের ভালো কাজ বা ভালো কিছু করার চেষ্টা করে। জ্ঞানী লোক গুলো কখনো অন্যকে ছোট করে না। তাদের নীরবতা এবং কথার মধ্যে অনেক কিছু বোঝা যায়। অনেকে বলে জ্ঞানী লোকের পায়ের জুতাও যদি এগিয়ে দেওয়া হয় সেটি উত্তম। জ্ঞানী লোক নিজের ভালো চিন্তা করে তেমনি মানুষের ভালো চিন্তা করে। পক্ষান্তরে মুখ্য লোক বেশি কথা বলে এবং তাদের কথার কারণে মানুষ তাদেরকে আবার বাচাল বলে। কারণ মূর্খ কথা বলে বেশি এবং তাদের কথার দাম থাকে কম। আর মূর্খ লোক সবসময় নিজেকে চালাক মনে করে। আর মূর্খ লোক নিজেকে সব সময় চালাক মনে করে। তারা বেশি কথা বলে মানুষকে বুঝাতে থাকে তারা অনেক কিছু বুঝে।
আর জ্ঞানী লোক কথা একদম কম বলে। তাদের আচার ব্যবহার কথার মাধ্যমে মানুষ বুঝতে পারে লোকটি জ্ঞানী। জ্ঞানী লোক নীরব থাকার কারণ তারা যে কথা বলবে ওই কথাগুলোর মান আছে। তারা কথা কম বললেও তারা যে কথা বলবে মূর্খ লোকের হাজার কথার চেয়ে উত্তম একটি কথা। কারণ জ্ঞানী লোক তাদের ব্যবহার এবং নীরবতা দিয়ে বুঝিয়ে থাকে তারা জ্ঞানী। যদিও বর্তমান সময়ে জ্ঞানী লোকদেরকে মানুষ বেশি অপমান করার চেষ্টা করে। কারণ বেশি কথা বলা লোকে অনেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এতে করে মূর্খ লোকেরা বেশি কথা বলে এবং নিজেকে জ্ঞানী মনে করে। তাই আমি মনে করি জ্ঞানী লোকের একটি কথা মূর্খ লোকের হাজার কথার থেকে অনেক উত্তম।
তবে আবার অনেকে বলে জ্ঞানী লোকের সাথে চলাফেরা করলে ভালো কিছু শেখা যায়। তবে এটি আমি নিজেও বিশ্বাস করি। কারণ সৎ এবং জ্ঞানী লোকের সাথে চলে অনেক কিছু উপলব্ধি করা যায় এবং অনেক কিছু শেখা যায়। পক্ষান্তরে একজন মূর্খ লোকের সাথে চলাফেরা করলে আজেবাজে কথা ছাড়া কিছুই শেখা যাবে না। কারণ মূর্খ লোকের কথা হয় অনেক বড়। আর জ্ঞানী লোকের কথা হয় অনেক ছোট এবং কম। এতে করে মানুষ বুঝতে পারে কে জ্ঞানী আর কে মূর্খ। যদিও এখনো কার সময় প্রেক্ষাপট একদম অন্যরকম। কারণ জ্ঞানী লোকের জায়গা মূর্খ লোক বসে আছে। এই কারণে জ্ঞানী লোকের কদর এখন খুব কম হয়। এখন দেখা যায় একজন প্রদান শিক্ষকের জায়গা কিছু লোক ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছে।
অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা সভাপতি থাকে তারা বেশিরভাগ দেখা যায় ক্ষমতার জোরে দায়িত্ব পেয়ে থাকে। এতে জ্ঞানী লোকের জায়গা মূর্খ লোকের জায়গা হয়ে যায়। আর মূর্খ লোক যখন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব থাকবে তখন সে তার মত করে ক্ষমতা ব্যবহার করার চেষ্টা করে। এতে করে সেইখানে জ্ঞানী লোক কিছুই করতে পারে না। যদিও জ্ঞানী লোক গুলো নীরবতা ওই সময় অনেক কিছু বুঝে থাকে। এরকম হাজারো জ্ঞানী লোক থাকে তারা নীরবতা থেকে অনেক কিছু বুঝায়। আর তাদের নীরবতা থেকে অনেক কিছু শিখাও যায়। আর মূর্খ লোক বেশি কথা বলে মানুষকে বিব্রত করে। এই লোকগুলো অয় হিংস্র মানুষ। আশা করি আমার আজকের পোস্ট পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1890747734115692985?t=JsWwghRmo4gJZSKp2JwurA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্টটি খুবই শিক্ষনীয় এবং বাস্তবধর্মী। সত্যিই, জ্ঞানী ব্যক্তি নীরবতার মাধ্যমেই তার জ্ঞানের পরিচয় দেন, আর মূর্খ ব্যক্তি অহেতুক বেশি কথা বলে নিজেকে জ্ঞানী প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। আপনার লেখার ভাবনা ও বিশ্লেষণ প্রশংসনীয়। এমন মূল্যবান চিন্তাভাবনা আমাদের সমাজে আরও ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। ধন্যবাদ সুন্দর একটি লেখা শেয়ার করার জন্য।
এরকম বাস্তব কিছু পোস্ট লেখার পরে নিজের কাছেও ভীষণ ভালো লাগে
আপনার এই কথার সাথে আমি নিজেও পুরোপুরিভাবে একমত। জ্ঞানী মানুষ সবসময় নীরব থাকে। আর তাদেরকে এই নীরবতা থেকেই চেনা যায়। কিন্তু মূর্খদের কে তার বক্তব্য থেকেই ভালোভাবে জানা যায়। ওখান থেকে আমরা বুঝতে পারি সে আসলে কথাটা মূর্খ। তাদের কথার ধরনটা কিরকম। আর তারা বক্তব্যের মাঝে নিজেদের জ্ঞান তুলে ধরার চেষ্টা করে কিন্তু এটা বোকামি। জ্ঞানী মানুষ বেশি কথা বলে না।
জ্ঞানী মানুষ সবসময় নীরব থাকে যেটা আমরা আমাদের আশেপাশের মানুষকে দেখলে বুঝতে পারি
জ্ঞানী ব্যক্তি যারা তারা নীরব থাকে।কারন তাদের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়না বলে।আর অন্য দিকে মূর্খ ব্যক্তিকে আসন দেয়া হয় ক্ষমতার বলে।জ্ঞানী ব্যক্তিরা নীরব থাকে তাদের জ্ঞানের কারনে।আর মূর্খ লোকের কথাতেই বোঝা যায় তারা যে মূর্খ।
জ্ঞানী ব্যক্তি দের কে আমরা সবসময় দূর থেকেও চিনতে পারি
আপনার পোষ্টের সাথে আমি একমত। কারণ জ্ঞানী লোক চেনা যায় নীরবতা থেকে। আর মূর্খ লোককে চেনা যায় তাদের মুখের ব্যবহার কারণে। তবে জ্ঞানী লোক খুব কম কথা বলে। তাদের কথার মধ্যে বোঝা যায় তারা জ্ঞানী। তবে আপনি চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন শিক্ষনীয়। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পোস্টে পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলো এবং কিছু শিখতে পারলেন জেনে খুশি হলাম
আজকে আপনি বাস্তবিক একটা বিষয় নিয়ে পোস্টটিতে লিখেছেন দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আসলে একজন জ্ঞানী ব্যক্তিকে আমরা তার নীরবতা থেকে চিনতে পারি, আর মূর্খকে তার বক্তব্য থেকে। এগুলোর মাধ্যমে তাদের জ্ঞান সম্পর্কে আমরা ধারণা নিতে পারি। জ্ঞানী মানুষ বলে কম করে বেশি। অন্যদিকে মূর্খরা বলে বেশি করে কম। ভালো লাগলো পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে।
বাস্তবেই পোস্টগুলো লেখার পরে আপনাদের ভালো লাগে দেখে আরো খুশি
জ্ঞানীকে চেনা যায় যে কোনো বিষয়ে নীরব থাকে স্বল্প কথায় কাজে সফলতার মাধ্যমে। মূর্খকে বুঝা যায় অতিরিক্ত বক্তব্য বা, কথার মাধ্যমে। যে প্রকৃত জ্ঞানী সে কখনো অতিরিক্ত কথা বলে না কাজের ব্যাপারে সে সবসময় স্বল্প কথা বলে এবং কাজে কিভাবে সফলতার দিকে নিয়ে যেতে হয় তা যথেষ্ট চেষ্টা করে। আর মূর্খকে ব্যক্তি সবসময় অদ্ভুত উল্টাপাল্টা কথা বলে এইটাই বাস্তবতা।
জ্ঞানী তো চেনা যায় নিরবে থাকাটাই এভাবেই সফলতার মধ্যম মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে