জেনারেল রাইটিং।। হঠাৎ প্রিয় মানুষের অসুস্থতায় নিজের অনুভূতি।।
আমরা আসলে প্রিয় মানুষ বলতে কাকে বুঝি? বর্তমান সময়ে মানুষ প্রিয় মানুষ বলতে হাজব্যান্ড ওয়াইফ কে কিংবা ওয়াইফ হাসবেন্ডকে বা গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডকে অথবা বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড কে প্রিয় মানুষ বলে থাকে।আমি এই সম্পর্কের মাহাত্ম গুলা সম্পর্কে অবগত নই,কারণ এই সব সম্পর্কে আমি এখনও জড়িত নই।প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে বেসেলোর দের কাছে তাহলে প্রিয় মানুষ কে?আমার কিছু ব্যাক্তিগত মতামত আজকে এই বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
প্রিয় মানুষ বলতে বর্তমান আমি যেটা বিশ্বাস করি সেটা হচ্ছে আমার মা বাবাকেই।কেবল মাত্র মা বাবাই আছে আমাদের বেসেলোর দের জন্যে আপন মানুষ।তারাই কেবল মাত্র আমাদের মনের সব দুঃখ কষ্ট গুলোকে কোনো স্বার্থ ছাড়াই ভাগ করে নেয়। তা বাদে আমি মনে করি সব সম্পর্কই হলো মিথ্যা মায়া।প্রয়োজনে প্রিয়জন। লক্ষ্য করে দেখুন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে,ঋতু পরিবর্তনের মত মানুষের পরিবর্তন সাধিত হয়।কেউ প্রিয় হয় টাকার জন্যে,কেউ প্রিয় হয় তার খারাপ মুহূর্তটা ভালোভাবে কাটানোর জন্যে,আবার কেউ বা প্রিয় হয় একজন মানুষকে মিথ্যা ভালোবাসায় জড়িয়ে মাঝ পথে ছেড়ে যেতে।সব কিছুই সাময়িক সময়ের জন্যে। আদৌ কি এগুলোকে প্রকৃত ভালোবাসা বলে?যে ভালোবাসা প্রশান্তি নয় শুধু বঞ্চনার মুখোমুখি করে বারংবার আমার মতে সেটি ভালোবাসা হতে পারে না।ভালোবাসা নামক এক অভিন্ন অভিনয়,যা মেনে নেওয়ার মত নয়।আশা এবং কামনা দুটোই করি আর যাইহোক এরকম ভালোবাসা যেনো আর কারোর কপালে না জোটে।যাইহোক বন্ধুরা মূল কোথায় আসা যাক।
আমার মা বাবাই হচ্ছে আমার প্রিয় মানুষ,আমাদের পরিবারটি যথাসম্ভব ইসলামিক রীতি মেনেই চলে।আমার বাবা ও হলেন একজন ধার্মিক মানুষ।আমার বাবা তাবলিগের সাথী হিসেবে কাজ করেন।সামনে রমজান মাস এসেছে। তো তারই প্রেক্ষিতে,বাবা এইবার মন ইস্থির করেছেন পুরো রমজান মাস টি তিনি তাবলীগের সাথী হয়ে কাটাবেন। তাই তিনি গত তিন দিন যাবৎ তার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আস্তে আস্তে ব্যাবসার সব কিছু আমায় বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন।সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল,আর আজকে বিকেল এর দিক বাবার তাবলীগ যাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু গত রাত 2 টা থেকে আব্বু কঠিন ভাবে অসুস্থ হয়ে যান।যেই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল।কিন্তু করারতো কিছুই নেই,কারণ অসুস্থতা তো বলে আসে না। তো বাবার অসুস্থতা আমাকে অনেক গভীরভাবে মর্মাহত করেছিল,কারণ তিনি আমার একমাত্র কাছের বন্ধুত্বও বটে।
রাতের দিক আব্বুর কষ্ট দেখে একদম কেঁদেই ফেলেছিলাম আমি।বাসায় কিছু মেডিসিন ছিল অগুলায় রাতের মধ্যে খাওয়াই,তাতে একটু উপকার হয় বটে।যেহেতু বর্তমান গ্রামের বাসায় আছি এজন্যে চিকিৎসার জন্যে ডক্টরের কাছে যেতে ভোর অব্দি অপেক্ষা করতে হয়।যাইহোক প্রভাতের আলো ফুটলেই ফজরের সালাত শেষ করেই বের হয়ে পড়ি ডক্টরের উদ্দেশ্যে ক্লিনিকের দিকে।ক্লিনিক পৌঁছাতে প্রায় আট টা বেজে যায়।কিন্তু তার ও এক ঘন্টা পর মূলত ডক্টর আসে। মানে 9 টা বাজে।অবশেষে 9 টা বাজলে ডক্টর আসলে প্রথমেই ডক্টর কে দেখাই।ডক্টর আব্বুকে দেখে ট্রিটমেন্ট দিয়ে আরো কিছু বিষয় টেস্ট করতে বলেন।আর সেই টেস্ট গুলি করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে ডক্টরের কাছে যাই পুনরায়।ডক্টর সব রিপোর্ট দেখে বলেন যে সব কিছু ঠিকঠাক আছে,সে সময়টায় একটু ভালো লাগা কাজ করে।তারপর ডক্টর ওষুধ লিখে দেন।আর বাসায় এসে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিই।
আব্বুর অসুস্থ হওয়ার বিষয় কিছুক্ষণ কথা বলি,আব্বু বলেন যে,যেকোনো অবস্থাতেই অবশ্যই নিজেকে যেনো শক্ত রাখি এবং মাথা ঠাণ্ডা রাখি।তিনি বলেন,যেকোনো কাজের মূল বিষয় হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনা। সুষ্ঠ পরিকল্পনা যেকোনো কাজের অর্ধেক।আসলে আমিও মনে করি যেকোনো ধরনের অবস্থায় আমাদের নিজেদের শক্ত রাখতে হবে এবং দৃঢ়তার সাথে কাজ করতে হবে।
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
আপনার বাবা অসুস্থ সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি যেন তাকে অতি দ্রুত সুস্থতা দান করেন আমিন। আসলে বাবা-মা অসুস্থ থাকলে নিজের মনের কাছে যেন কোন শান্তি পাওয়া যায় না তবে তারপরেও নিজেকে শক্ত রাখতে হবে। প্রতিটা ক্ষেত্রেই নিজেকে শক্ত রেখে সুষ্ঠু পরিকল্পনা করতে হবে।
আপনি একদম যথার্থ বলেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর উপদেশ দেওয়ার জন্য।
আপনার বাবা খুবই অসুস্থ এটা জেনে সত্যি অনেক বেশি খারাপ লাগছে আসলে পরিবারের যে কেউ যখন একটু অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন নিজের কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগে। বোঝাই যাচ্ছে বাবার সঙ্গে আপনি অনেকটাই বন্ধুর মতো। আসলেই পৃথিবীতে আপন বলতে শুধু পরিবারের মানুষগুলোই এরা সুখে-দুখে সবসময়ই পাশে থাকে। যাইহোক আমি আপনাকে বলতে চাই টেনশন করবেন না, ইনশাল্লাহ অবশ্যই আপনার আব্বু সুস্থ হয়ে উঠবে বলে আশা রাখি। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আপনার বাবা অসুস্থ শুনে খুবই খারাপ লাগলো৷ আসলে এখন সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে৷ সকলেই বিভিন্ন বড় থেকে ছোট অসুস্থতার শিকার হচ্ছে৷ দোয়া করি যেন আপনার বাবা অতি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায় এবং তার জন্য ভালো মতো চিকিৎসা করাতে পারেন৷ অনেক ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
ভাই বাবা অসুস্থ হলে কতখানি খারাপ লাগে সে অভিজ্ঞতা আমারও রয়েছে। কেননা আমার বাবা এখন পর্যন্ত অসুস্থ।আর সে একা একা কোন কাজ করতে পারে না। কাউকে না কাউকে সব সময় তার সেবা যত্ন করে যেতে হয়। অসুস্থ হলেও আমার বাবা প্রতিনিয়ত আমাদের ভালো-মন্দের খোঁজখবর রাখেন। এর চেয়ে বড় প্রশান্তি বোধহয় আর কিছু নেই। যাইহোক ভাই, মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে আপনার বাবার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।