জেনারেল রাইটিং|| রমজান মাস আসলেই পরিবর্তন|

in আমার বাংলা ব্লগyesterday
আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম ! আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে। আজ , রবিবার মার্চ ০২/২০২৫


হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আপনাদের সাথে রমজান মাস নিয়ে কিছু পরিবর্তনের কথা শেয়ার করতে এসেছি। আশা করি কথাগুলো শুনে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন বন্ধুরা কথা গুলো শোনা যাক।


1000010163.jpg
Source

আসলেই রমজান মাস আসলেই পরিবর্তন দেখা যায়।রমজান মাস হলো সিয়াম সাধনা ও রহমতের মাস। এই মাসে আল্লাহতালা বিভিন্ন জিনিসে বরকত দিয়ে থাকে। রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালা শয়তানকে বেঁধে রাখে। রমজান মাসে মানুষ বিভিন্ন খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে ।আপনারা খেয়াল করে দেখবেন যারা আল্লাহতালার ইবাদত করে না তারাও রমজান মাসে ইবাদত করে ও রোজা রাখে। সেজন্য বলে রমজান মাস রহমতের মাস। রমজান মাসে আসলেই মানুষ এর মধ্যে অন্যরকম একটা ভালোবাসা সৃষ্টি হয় । মানুষ যেন একা একাই ভালো হয়ে যায়। এবং অন্য কেউ ভালো হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে। রমজান মাসে রোজা সকল মানুষের উপর ফরজ। আল্লাহতালা সকল মানুষের উপর রোজা ফরজ করেছে। যারা রমজান মাসে রোজা রাখবে না তাদেরকেও রোজা না রাখার হিসাব দিতে হবে ।আর যারা ৩০ দিন রোজা রাখবে তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা নিজের হাতে পরিস্কার দিয়ে থাকবে ।আল্লাহতালা বলেছেন ফরজের আজানের পর থেকে মাগরিবের আজানের আগ পর্যন্ত কোন খাবার গ্রহণ করা নিষিদ্ধ ।রমজান মাসে মানুষ যত ইবাদত বন্দেগী করবে এবং আল্লাহ তায়ালার কথামতো চলবে সেসব মানুষদের আল্লাহতালা অনেক সওয়াব দিয়ে থাকবেন। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন যে সব মানুষ দিন মজুরি কাজ করে তারাও কিন্তু রোজা রাখে। তারা সারাদিন না খেয়ে কাজ করে তবুও আল্লাহ আদেশ পালন করে। যারা দিনমজুরির কাজ করে তারা চাইলেই রোজা না থাকতে পারে। কিন্তু তারা আল্লাহ তাআলার ভয়ে আল্লাহ তাআলার আদেশ পালন করে থাকে।

আপনার একটু খেয়াল করে দেখবেন অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজান মাসে মানুষ বেশি করে ভাজাপোড়া খেয়ে থাকে ।রমজান মাস আসলেই যেন বেগুনি চপ আলুর চপ ও পিয়াজি বেশি বেশি করে খেয়ে থাকে। এক গ্লাস পানি খেয়ে রোজা ভঙ্গ করার পর একটা খেজুর মুখে দিয়ে মানুষ মনে হয় বিভিন্ন ধরনের চপ খাওয়ার পরে বেশি আগ্রহী হয়ে যায় ।আমারও চপ খেতে অনেক ভালো লাগে ।রমজান মাসে বিভিন্ন ধরনের চপ বানিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা ।শুধু চপ না আপনার একটু খেয়াল করে দেখবেন অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজান মাসে খেজুরের পরিমাণ একটু বেশি খাওয়া হয় ।রমজান মাসে খেজুর না খেলে মনে হয় কিছু একটা খাওয়া হয়নি।খেজুরটা খেলে মনে হয় পরিপূর্ণ খাবার খাওয়া হয়েছে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ থাকে ।যেটি খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হয়ে থাকে। এছাড়াও রমজান মাসে প্রচুর পরিমাণ শরবত খাওয়া হয় ।শরবত খেলে আমাদের দেহের পানি ঘাটতি পূরণ করে থাকে। এবং আমাদের শরীরটা অনেক সতেজ থাকে ।রমজান মাস আসলেই প্রতিবেশীরা ঘরে ঘরে ইফতার দেওয়ার জন্য একটা মেলা বসাই। অন্যান্য মাসে কিন্তু এরকম খাবার দেওয়ার মেলা বসে না। কিন্তু রমজান মাস আসলেই সকলের ঘরে ঘরে যেন খাবার পুছিয়ে দেওয়ার একটা দায়িত্ব থাকে। রমজান মাস আসলেই মসজিদে বসে যখন সকলে একসঙ্গে ইফতার করা হয় তখন অনেক ভালো লাগে ।কেননা সকলে একসঙ্গে বসে কোন কিছু খাবার খেলে সেটা আনন্দদায়কই হয়ে থাকে ।সেজন্য রমজান মাস অন্যান্য মাসের তুলনায় আলাদা। রমজান মাস আসলেই সব জিনিসের পরিবর্তন দেখা যায়।

রমজান মাস মানেই দান করার মাস। রমজান মাস আসলেই যেন মানুষের দানের হাত অনেক বেড়ে যায় ।মানুষ বাড়িতে বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের খাবারও বস্ত্র দান করে বেড়াই। অনেকে আবার টাকা দিয়েও মানুষকে সাহায্য করে থাকে ।কিন্তু অন্যান্য মাসে মানুষকে এত দান করে না ।যাদের অনেক টাকা পয়সা আছে তারা গরীব মানুষের মাঝে বিভিন্ন ধরনের খাবারও বস্র দিয়ে দান করলে গরিব মানুষদের অনেক সাহায্য হয়ে থাকে। অনেক সময় রোজা রাখার পর তাদের শরীর অনেক ক্লান্ত ও দুর্বল মনে হয় । যারা খাবার দিয়ে গরীব দুঃখী মানুষকে সাহায্য করে তখন তারা কিছু পুষ্টিকর খাবার পেয়ে সেগুলো খেলে তাদের দুর্বলতা অনেকটাই কেটে যায়। রমজান মাস আসলেই যখন মানুষকে বিভিন্ন ধরনের বস্র দিয়ে সাহায্য করে থাকে তখন গরিব মানুষেরা সেগুলো পেয়ে অনেক খুশি হয়ে থাকে ।কেননা অনেক মানুষের কাপড়ের অনেক কষ্ট থাকে কিন্তু টাকা পয়সার অভাবে কিনতে পারে না। কিন্তু যখন তারা সেই কাপড়গুলো পায় তখন তাদের মুখে যে কত বড় আনন্দের হাসি থাকে সেটা বলে বোঝানো যাবে না। আপনারা যারা যতটুকু পারবেন তারা ততটুকু মানুষকে খাবার টাকা পয়সা বস্র দিয়ে সাহায্য করবেন । তাহলে আপনারা অনেক বেশি সোয়াব পাবেন। রমজান মাসে যে যত বেশি দান খয়রাত করবে সে ততো বেশি আল্লাহ তায়ালার কাছে ভালো বান্দা হিসেবে পরিচিত হবে। আশা করি আমার কথাগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে? কতটা ভালো লেগেছে কমেন্টের জানাতে পারেন ?

🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹

আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️


ব্লগার@mdemaislam00
ব্লগিং ডিভাইসinfinix note 11pro
অনুবাদেমোছাঃ ইমা খাতুন
শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
Screenshot_2024_0519_194135.jpg
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzhd7Ad93hjKY7XXqXwCYMpoU77gVuL2GHGFkJzK3LBmmPDKPbSFkaNFXCeqsm5mEKePEnGR2EDVeYe2eA.png

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Sort:  
 yesterday 

আপনার পোস্ট অনেক ভালো লাগলো। সত্যি আপু রমজান মাসে আমাদের রহমতের মাস। এই মাসে সকল ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে। আপনি বেশ ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 yesterday 

সঠিক বলেছেন রমাদান মাস মানেই হচ্ছে বিভিন্ন জিনিসে পরিবর্তনের একটি মাস। আর এই রমাদান মাসে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শয়তানকে বেধে রাখেন। মুমিনদের সঠিকভাবে আমল করার জন্য। আসলেই ইফতারির সময় খেজুর মুখে দেওয়ার পরপরই ভাজাপোড়া খেতে সবাই ভালোবাসে। আমিও ভীষণ ভালোবাসি ইফতারে ভাজাপোড়া খেতে। যাইহোক ইফতার সম্পর্কিত এবং রমাদান সম্পর্কিত চমৎকার কিছু কথা লিখেছেন আজকে।

 yesterday 

সত্যি আপু রমজান মাস মানে সব মাসের থেকে আলাদা একটি মাস। রমজান মাস তো বরকতের মাস। এই মাসে যে যত বেশি আমল করতে পারবে। তবে সারাদিন রোজায় থেকে ভাজাপোড়া খাওয়াটা একটু বেশি হয়ে যায় এটা কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই বরকতের মাসে আল্লাহ তায়ালা সবাইকে সুস্থ রাখুক ভাল রাখুক এই কামনাই করি। ধন্যবাদ আপু।

 yesterday 

আপু আপনি ঠিকই বলেছেন রমজান মাসের মানব সকল পাপকর্ম ছেড়ে ভালোর দিকে ধাবিত হয়। আসলেই আপু রমজান মাস পরিবর্তনের মাস। এই মাসে একটি খারাপ ব্যক্তি ও পাঞ্জাবি টুপি পরে মসজিদে যায়, রোজা রাখে। বছরের বারোটি মাস যদি এরকম, আল্লাহতায়ালার জন্য মানুষ পালন করতো। তাহলে হয়তো পৃথিবীতে কোন খারাপ মানুষ থাকতো না। তবে আপনি সুন্দরভাবে রমজানের ফজিলতপূর্ণ কথাগুলো শেয়ার করেছেন। গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।

 yesterday 

রমজান সত্যিই এক রহমত, বরকত ও ক্ষমার মাস। এই মাসে মানুষের মধ্যে এক বিশেষ পরিবর্তন দেখা যায় ইবাদতে মনোযোগ বাড়ে, দান-খয়রাতের পরিমাণ বেড়ে যায়, আর একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতি আরও গভীর হয়। ইফতার ও সেহরির আনন্দ, মসজিদে একসঙ্গে ইবাদত করা, এবং সবার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াই রমজানের অন্যতম সৌন্দর্য। সুন্দর এই অনুভূতিগুলো সত্যিই অনন্য!

 yesterday 

রমজান পরিবর্তনের মাস। এই মাসে আত্মশুদ্ধি, সংযম ও ইবাদতের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর কাছে আরও ঘনিষ্ঠ হয়। দান-সদকা, ইফতারের আনন্দ ও একসঙ্গে ইবাদতের মুহূর্তগুলো অসাধারণ অনুভূতি দেয়। আপনার লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু সুন্দরভাবে ভাবনাগুলো প্রকাশ করার জন্য।

 4 hours ago 

আপু আপনি ঠিক বলছেন রমজান মাস আসলে অনেক মানুষের পরিবর্তন দেখা যায়।যারা সারা বছরের কোন ইবাদত করত না তারা কিন্তু রমজান মাস আসলেই পরিবর্তন হয়ে যায়।রমজান মাস হচ্ছে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এই মাসে আমাদের সকলের উচিত নিজের গুনাহ গুলো মাফ চেয়ে নেওয়া। ধন্যবাদ আপু আপনার পুরো পোস্ট টি পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.24
JST 0.033
BTC 90329.45
ETH 2286.75
SBD 0.63