জেনারেল রাইটিং :- শৈশব স্মৃতি আম কুড়ানো
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
জেনারেল রাইটিং :- শৈশব স্মৃতি আম কুড়ানো
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। বর্তমান সময় অনেক ব্যস্ততার মধ্যে যাচ্ছে। তারপরেও চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে আসার জন্য। আসলে আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। তাই হাজার ব্যস্ততার মধ্যে পরিবারের মাঝে না এলে ভালো লাগে না। আসলে আমাদের শৈশব অনেক সুন্দর ছিল। এখন শৈশবের কথা মনে পড়লে অনেক ভালো লাগে। তবে এখনকার বাচ্চাদের শৈশব কাটে শুধু ডিভাইসের মাধ্যমে। কয়েক দিন আগে ছোট ছোট বাচ্চারা কত সুন্দর খেলছে তাদের দেখে কিছু সময় শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। সত্যি শৈশবের স্মৃতি অনেক মধুর। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা তিন ভাই বোন আসলে আমরা দুই ভাই বোন আর আমার চাচাতো বোন। আমরা ছোট বেলা থেকে সব সময় এক সাথে ছিলাম। ধরতে গেলে আমাদের এক সাথে গোসল খাওয়া, দাওয়া,লেখাপড়া সব করতাম।মাঝে মাঝে আমার চাচাতো বোন আমাদের সাথে ঘুমাতো। বিশেষ করে আমের দিনে আমরা তিনজন এক সাথে ঘুমায়। আমার ভাই ছিল আমাদের দুজনের থেকে অনেক ছোট। তাই ও মাঝে মাঝে আমাদের সাথে যেত না।যাইহোক আমাদের পাশে বড় একটা আম বাগান ছিল আমার এক প্রতিবেশি চাচার। চাচার বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে বেশ দূরে কিন্তু আম বাগান আমাদের বাড়ির পাশেই। একদিন বিকেল থেকে বেশ ঝড় বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বিকেল বেলা থেকে রাত প্রায় বারোটা পর্যন্ত চাচা আম কুড়াচ্ছিল।তারপর চাচা চলে গিয়েছিল।
এদিকে রাত বারোটার পরে আবার প্রচন্ড ঝড় শুরু হলো।এদিকে আমি আর আমার চাচাতো বোন জেগে আছি কখন ভোর হবে। আমাদের ইচ্ছে ছিল সবার আগে আমরা দুজন চাচার বাগান থেকে আম কুড়াতে যাব। তবে আমাদের বয়স তেমন ছিল না মনে হয় দশ এগারো বছর হবে হয়তো। আমরা ক্লাস ফাইভে পড়ি। এদিকে আযান না দেওয়া পর্যন্ত আমরা যেতে পারছি না।যাইহোক আযান যখন দিল তখন আমি ও আমার চাচতো বোন চলে গিয়েছিলাম আম কুড়ানোর জন্য। আমরা গিয়ে দেখি বাগানে কোন আম নেই। কে যেন আম গুলো টুকিয়ে জায়গায় জায়গায় জড় করে রেখেছে।
তখন আমরা দুজন যে ব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলাম সেই ব্যাগ দুজনে দুটি ভরে নিয়ে অন্য জায়গায় রেখে এসেছি।তারপর অন্য বাগানে গিয়ে আম কুড়াতে লাগলাম। এদিকে ভোর হয়ে গেল। তবে আমরা আম গুলো বাড়িতে নিতে পারিনি।এদিকে আমরা আম কুড়াতে থাকলাম অন্য বাগানে অন্য দিকে চাচা গিয়ে আমাদের বাড়িতে ঝড়গা লাগিয়ে দিয়েছে। চাচা গিয়ে বলছে আপনাদের ছেলে মেয়েরা আমার গুছিয়ে রাখা আম নিয়ে এসেছে। তারপর আমরা বাড়ির এলাম দুজনে দুটি আম নিয়ে। তখন চাচাকে বললাম দেখুন এভাবে কাউকে না দেখে চোর বলা ঠিক নয়। আমরা তো আপনার বাগানে যায়নি আর আম কিভাবে নেব।তখন চাচা আমাদের দেখে বলল আসলে তোমরা সব সময় আম কুড়াও তাই ভাবছিলাম আজও নিয়েছো।আসলে চাচা অনেক কৃপাণ লোক ছিল। তারপর চাচা চলে যাবার পরে আমরা দুজনে আম গুলো নিয়ে বাড়িতে এসেছি। সত্যি ছোট বেলার এমন স্মৃতি মনে পড়লে অনেক ভালো লাগে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার শৈশবের আম কুড়ানোর কথা শুনে তো আমার ও শৈশবের আম কুড়ানোর কথা মনে পড়ল আপু। আমি মূলত আমের এলাকার মানুষ বলতে পারেন হাঁড়িভাঙ্গা আমের উৎপত্তি হয়েছে আমাদের গ্ৰামে। আমি ও এ রকম ছোট বেলায় অনেক আম কুড়াতাম। আপনার শৈশবের আম কুড়ানোর কথা গুলো অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলে আপনার শৈশবের আম কুড়ানোর স্মৃতি পড়তে পড়তে আমারও শৈশবকালের আম কুড়ানোর স্মৃতি মনে পড়ে গেল। কেননা বাইরে যখন ঝড় হতো তখন আমরা সবাই মিলে আম কুড়াতে বের হতাম। আপনার এত সুন্দর শৈশব স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার শৈশবকালের আম কুড়ানোর স্মৃতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। সত্যি এটা যে শৈশব কালের কথা গুলো মনে পড়লে অনেক ভালো লাগে।সেম আপনার মত আমিও ভোর বেলা সবার আগে আম কুড়াতে যেতাম।যাইহোক আপনার স্মৃতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
শৈশবে আমাদের সকলের অনেক ধরনের স্মৃতি রয়েছে। আর আম কুড়ানো স্মৃতির কথা বললে তা একেবারে অসাধারণ কিছু কথা ভেসে আসে৷ আমরা যেভাবে সবাই মিলে ভোরবেলা বন্ধুবান্ধবরা একসাথে আম কুড়াতে যেতাম সেটি একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি অনুভূতি ছিল৷ তখনকার সময়ে আমরা সবাই যেরকম আম কুড়াতাম তেমনি সবাই মিলে একসাথে খাবার মধ্যে যেন একটি আলাদা ভালোলাগা খুঁজে পেতাম৷ তবে এখনকার সময়ে সে মুহূর্তগুলো মিস করি৷ আর আজকে আপনার এই পোষ্টের মধ্যেও যেভাবে আপনি এখানে খুব সুন্দর কিছু কথা ফাটিয়ে তুলেছেন তা দেখে খুব ভালোই লাগছে৷
পুরো পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।