মানুষ সৃষ্টি সেরা জীব, আমাদের এই সমাজে মানুষেরাই বসবাস করে। আসলে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ তার প্রধান কারণ হলো, মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং মানুষ জ্ঞান সম্পন্ন। যার কারণে মানুষ শ্রেষ্ঠ এবং সেরা জীব। অন্যান্য প্রাণীদের জ্ঞান নেই, তারা শুধু পশু, তাদেরকে আমরা পশু হিসেবে চিনি, কারণ তাদের নিজস্ব কোন জ্ঞান বা বুদ্ধি নেই। মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি রয়েছে এবং মানুষত্ব বোধ রয়েছে। যার কারণে মানুষ শ্রেষ্ঠ প্রাণী এবং মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ জীব। কিন্তু এই সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে, যারা শ্রেষ্ঠ জীব হওয়া সত্ত্বেও এমন কিছু কাজ করে, যে কাজের কারণে তাদেরকে মানুষ বলা যায় না। তারা যেন পশুর মত আচরণ করে। এমনকি পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট আচরণ তারা করে। তাদের এই ব্যবহারের কারণে তারা আর মানুষ থাকে না, তাই তো সমাজে মানুষ রুপি কিছু জানোয়ার রয়েছে। যাদের কারণে এই সমাজটা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আমাদের এই সমাজে কিছু ভালো মানুষ রয়েছে। আবার কিছু খারাপ মানুষের রয়েছে। তবে ভালো মানুষের পরিমাণ যতটুকু রয়েছে তার চাইতে খারাপ মানুষের পরিমাণই বেশি রয়েছে। কারণ ভালো মানুষ সবসময়ই নিজের এবং অন্যের কথা ভাবে, অন্যের বিপদে এগিয়ে আসে এবং অন্যের মঙ্গলের কামনা করে। কিন্তু যারা খারাপ তারা সব সময় নিজের স্বার্থ দেখে। আর এই নিজের স্বার্থের কারণে অন্য মানুষকে মেরে ফেলতে বা অন্য মানুষ এর প্রতি জঘন্যতম আচরণ করতেও তারা দ্বিধা বোধ করেনা। সেই সকল মানুষ সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ, আর এই সকল মানুষের নামে জানোয়ার গুলোই সমাজে অন্য অন্য মানুষদের এক বিন্দু পরিমান মূল্য দেয় না। তাদের কাছে মানুষের কোন মূল্য নেই, তাদের স্বার্থের মূল্য সবচাইতে বেশি।
আমাদের এই সমাজে মানুষ স্বার্থকে খুবই প্রাধান্য দিচ্ছে। নিজের স্বার্থের কারণে অন্য মানুষকে অপমান অন্য মানুষকে খুন করতেও তারা দ্বিধাবোধ করে না। আসলে সমাজে এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে পার করছে, যে সমাজে মানুষ আর নেই। মানুষের মধ্যে মানুষত্ব বোধ নেই। কিভাবে নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অন্য মানুষের ক্ষতি করা যায়, অন্য মানুষের যদি অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়, তারপরেও নিজের স্বার্থকে আমরা প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তাই তো এই স্বার্থপর সমাজে একে অপরের প্রতি কোনো দয়া মায়া এবং ভালোবাসা থাকে না। যার কারণে সমাজটা যেন আরো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কারণ মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা নেই, শ্রদ্ধা নেই, যার কারণে এই সমাজ আর আগের মত শান্তিতে বসবাস করা যাচ্ছে না।
মানুষের বিবেক এতটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে দেশের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন জায়গায় রাতে এবং দিনে ছিনতাই হচ্ছে। আর এই ছিনতাই করার সময় মানুষ একজনকে আর একজন ছুরি দিয়ে আঘাত করছে, মানুষ হয়ে মানুষকে এভাবে রাস্তায় ফেলে আঘাত করা হচ্ছে, এগুলো যেন মানুষের কাছে কোন ব্যাপারই না। ঠিক গতকাল রাত দশটার সময় আমাদের স্কুলের রতন স্যার প্রাইভেট পড়ে রাতের বেলায় বাড়ি যাচ্ছিল। রাস্তার মধ্যে দুইজন মোটরসাইকেল চালিয়ে তার সামনে দাঁড়ালো এবং স্যারের গলা চেপে ধরল, ছুরি দিয়ে স্যারের গলায় আঘাত করার চেষ্টা করলো।স্যার বাধ্য হয়ে তার সকল টাকা পয়সা এবং মোবাইল ওদেরকে দিয়ে দিল এবং দিয়ে দেওয়ার সময় ওদের মধ্যে কথা হচ্ছিল, স্যার শুনতে পেয়ে মনে মনে ভাবল তারই স্কুলের কোন এক ছাত্রের কন্ঠ হবে।
স্যার পুরোপুরি সিওর ছিল না, যে ওটা তারই কোন এক ছাত্র হবে। তবে সে তো কোন এক, হাইস্কুল বা প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ছাত্র ছিল। সে কি মন-মানসিকতা নিয়ে বড় হচ্ছে, যে স্যারদের রাস্তায় ধরে, ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করছে। আসলে এভাবে কোন মানুষের পরিচয় দেয় যায় না, সে মানুষ হয়েও যেন পশুর মত আচরণ করছে। সে যেন মানুষরূপী পশু হয়ে যাচ্ছে, আর আমাদের সমাজে এই মানুষরূপী পশুগুলোই ভয়ংকার। তারা নিজের স্বার্থের জন্য ও অর্থের কারণে অন্য মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। তাই মানুষরূপী এই পশু গুলোর কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত বলে আমি মনে করি।✨।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মানবতার অভাব ও স্বার্থপরতা সত্যিই উদ্বেগজনক। মানুষ হয়ে পশুর মতো আচরণ কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। অপরাধ দমন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কঠোর শাস্তির প্রয়োজন। সচেতনতা বৃদ্ধি ও নৈতিক শিক্ষার প্রচারেই সমাজের পরিবর্তন সম্ভব। ভালো লিখেছেন।
একদকম কঠিন সত্য আজকে উপস্থাপন করেছেন।আপনার প্রতিটি কথা ছিল বাস্তবধর্মী। বর্তমানে দেশের আনাচে-কানাচে অহরহ এরকম ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। আপনার কথার মাধ্যমে অনেকের অনেক কিছু শেখার বিষয় আছে।এখনকার সময়ে এই ধরনের মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রতিটি জায়গায়। আসলেই একটা মানুষ হয়ে আরেকটা মানুষকে কিভাবে ক্ষতি করতে পারে। আসলেই এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা করা উচিত।
আজকে আপনি বাস্তবতাকে অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। আপনার এই পোস্টটা আমার অনেক ভালো লেগেছে পড়ে। আসলে মানুষ হয়েও পশুর মত আচরণ করে থাকে কিছু কিছু মানুষ। সবাই শুধুমাত্র নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে এটা একদম ঠিক। স্বার্থ ছাড়া কেউ এখন এক পাও আগায় না। দিন দিন মানুষের আচরণ অনেক জঘন্য হচ্ছে।
বর্তমানে চারপাশ একদম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কোথাও কোন সিকিউরিটি নেই। সবাই নিজের জীবন বাজি রেখে বাইরে বের হচ্ছে। আপনার স্যারের বিষয়টা শুনে খুবই খারাপ লাগছে। আসলে বর্তমানে সবদিকে এত এত ছিনতাই, রাহাজানি শুরু হয়েছে যে সবাই একদম আতঙ্কে আছে। বাইরে বের হতেও যেন ভয় করে। তবে শহরাঞ্চলের দিকে এই ঘটনাগুলো বেশি হচ্ছে।