খাবারের অপচয় করতে নেই
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে খাবারের অপচয় সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
এই পৃথিবীতে প্রাচীনকাল থেকে মানুষের খাদ্য অভ্যাস আলাদা ছিল। কেননা তারা সেই সময়ে বিভিন্ন পশু পাখি শিকার করে খেত। আর বর্তমান সময়ের মতো তারা কিন্তু সেই সময় এতটা সুস্বাদু খাবার কখনোই খেত না। আর প্রাচীনকাল থেকে মানুষ খাবারের এই স্বাদ বাড়ানোর জন্য আস্তে আস্তে বিভিন্ন জিনিস আবিষ্কার করতে শুরু করে এবং এইসব জিনিস খাদ্যে ব্যবহার করার ফলে কিন্তু খাবারের গুণগত মান যেমন ঠিক থাকে তেমনি স্বাদ অনেক বেশি বেড়ে যায়। কিন্তু মানুষ যে খাবারের জন্য দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে সেই খাবার যখন মানুষ অপচয় করে তখন মানুষের কষ্টের আর শেষ থাকে না। আসলে এই পৃথিবীতে যদি খাবারের কোন প্রয়োজন না হতো তাহলে মানুষ কখনো এত বেশি কঠোর পরিশ্রম করার কোন দরকার ছিল না।
আর আপনারাই পৃথিবীতে যত কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না কেন সবকিছু কিন্তু এই খাবারের জন্য। আমাদের এই পৃথিবীতে আমরা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে একদল শ্রেণীর লোক যারা কিনা একটু ভালোভাবে থাকার জন্য এবং ভালো খাওয়ার জন্য তারা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে। আবার এক শ্রেণীর লোক রয়েছে যারা কিনা প্রচুর পরিমাণে খাবার নষ্ট করে। আসলে এই দুই শ্রেণীর লোকেদের মধ্যে আমরা কখনো কোন ধরনের মিল খুঁজে পাই না। যারা এই পৃথিবীতে খাবার নষ্ট করে তাকে একদিন না একদিন সেই খাবারের কষ্ট অবশ্যই পেতে হবে। কেননা আমরা আমাদের ধর্মে খাবারকে লক্ষী বলে আখ্যায়িত করি। আর যারা খাবারের অপচয় করে তাদের এক সময় এই খাবারের জন্য চারিদিকে ঘুরে বেড়াতে অবশ্যই হবে।
আসলে আমরা একটা জিনিস সবসময় খেয়াল করে দেখেছি যে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়। আর এই খাবারের বন্দোবস্ত করার পর প্রচুর পরিমাণে খাবার বেঁচে যায়। আর এই বেঁচে যাওয়া খাবারগুলো তারা নোংরা ডাস্টবিনে ফেলে দেয়। এই জিনিসগুলো যখন আমরা দেখি তখন আমাদের মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলি। কেননা একদল শ্রেণীর লোক রয়েছে তারা এক বেলা খাবারের জন্য কিভাবে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে আর এই উঁচু শ্রেণীর লোকেরা কিভাবে খাবার দাবার নষ্ট করে এটি সত্যি দেখলে আমাদের খুব খারাপ লাগে। আসলে এইভাবে যদি মানুষেরা খাবার নষ্ট করে তাহলে কিন্তু আমাদের একদিন না একদিন এই পৃথিবীতে খাদ্য সংকট অবশ্যই দেখা যাবে।
আর সেই সব অনুষ্ঠানের অতিরিক্ত বেঁচে যাওয়া খাবার যদি গরিব মানুষদের মধ্যে দান করা হয় তাহলে সে কিন্তু অবশ্যই পুণ্যের কাজ করবে। কেননা মানুষের মুখে যারা দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে পারে তারা কখনো খারাপ মানুষ হতে পারে না। আসলে এই পৃথিবীর মানুষের প্রতি যদি আমরা সহানুভূতি না দেখাতে পারি তাহলে আমরা নিজেদেরকে কি করে একজন ভালো মানুষ বলে মনে করব। এজন্য আমাদের সবাইকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে আমাদের যতই ধনসম্পত্তি থাকুক না কেন আমরা কিন্তু আমাদের সেই ধন সম্পত্তির অপচয় একদিকে যেমন করবো না ঠিক তেমনি খাদ্যের অপচয় কখনো করবো না। আর যারা গরীব শ্রেণীর লোক রয়েছে তাদেরকে এই বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য দান করে তাদের সামান্য একটু সুখ দেয়ার চেষ্টা করব।
লিংক
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।