জোর যার মুল্লুক তার
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে জোর যার মুল্লুক তার সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
এই পৃথিবীতে যার যত বেশি অর্থ সম্পত্তি রয়েছে সে তত বেশি গরীব মানুষের উপর অত্যাচার করে। অর্থাৎ যার যত বেশি জোর রয়েছে সে তত বেশি মানুষের উপরে অন্যায় অত্যাচার করে। আসলে এই জিনিসটা আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে প্রাচীনকাল থেকে এই একই ধরনের জিনিস চলে আসছে। কেননা প্রাচীনকালে রাজা মহা রাজারা তারা তাদের প্রজাদের উপরে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করত। আসলে তখন প্রজারা যেহেতু দুর্বল ছিল তাই তারা কখনো এই রাজাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারত না। যদিও একসময় এইসব রাজাদের পতন হয়েছিল। আসলে এই পতন হওয়ার প্রধান কারণ হলো যেহেতু প্রজারা তাদের অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে তারা সবাই একত্রিত হয়ে এইসব রাজাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিল। আর এর ফলে এসব রাজাদের পতন হয়েছিল।
আসলে সেই প্রাচীনকালের মতো বর্তমান সময়েও এই একই ধরনের অত্যাচার আমরা লক্ষ্য করতে পারি। আসলে আমরা একটা জিনিস ধরে নিলাম যে প্রাচীনকালের মানুষেরা তেমন বেশি শিক্ষিত ছিল না। আর শিক্ষা যেহেতু মানুষের মানসিক বিকাশকে বাড়াতে সাহায্য করে। সেহেতু পূর্বের অপেক্ষা বর্তমান সময়ে মানুষ অনেক বেশি শিক্ষিত এবং তাদের মধ্যে এই ধরনের বর্বর আচরণ এখন আমরা কিন্তু সত্যিই লক্ষ্য করা উচিত নয়। আসলে এই বর্বর আচরণের জন্য কিন্তু এখন আমাদের দেশে যারা ধনী তারা ক্রমশ ধনীতে পরিণত হচ্ছে এবং যারা গরীব তারা আরো বেশি গরিবে পরিণত হচ্ছে। আসলে এখনকার সময় বেশিরভাগ যারা ধনী লোক তারা কিন্তু বিভিন্ন ধরনের অন্যায় পথ অবলম্বন করে এই এত উঁচু স্থানে পৌঁছে যেতে পারছে। কেননা এত সহজে ধনী হওয়া মোটেও সহজ নয়।
আসলে আমরা কিছুদিন আগেও দেখেছি যে কিছু কিছু মানুষ তারা রাস্তাঘাটে বিভিন্ন ধরনের ছোটখাট কাজ করে জীবন ধারণ করত তারা কিনা এই অল্প সময়ে ধনিতে পরিণত হয়েছে তা কিন্তু দেখলে আমাদের সত্যিই সন্দেহ হয়। কেননা এইসব মানুষেরা সাধারণ মানুষের উপরে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতে হয় এবং তাদের কাছ থেকে তাদের সর্বস্ব কেড়ে নিতো। আসলে একটা জিনিস আমাদের সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে আমরা যদি গরিবের উপরে কষ্ট দিয়ে তাদের অর্থ সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে যতই বড়লোক হওয়ার চেষ্টা করি না কেন সেই অর্থ সম্পত্তি কিন্তু আমাদের জীবনে তেমন একটা বেশি কখনো কাজে আসবে না। কেননা খারাপ উপায় অর্জিত সম্পত্তি কখনো জীবনে মানুষ ভোগ করতে পারে না। আর এজন্য আমরা যা করব না কেন সবকিছু সৎ উপায়ে করার চেষ্টা করব।
আসলে এভাবে যদি আমরা মানুষের উপর অত্যাচার না করে সবাইকে একসাথে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারি তাহলে আমাদের দেশে আর কোন অন্যায় অত্যাচার থাকবে না। আসলে মানুষ এই ধরনের চিন্তাভাবনা সব সময় আশা করে। কিন্তু বাস্তব জীবনে সব সময় আমরা এর উল্টোটা দেখতে পাই। আর এজন্য আমরা একটা জিনিস সব সময় মাথায় রাখবো যে আমরা যদি মানুষের সাথে অন্যায় অত্যাচার করি তাহলে একদিন আমাদেরও সময় আসবে যখন অন্যান্য লোকজন আমাদের ওপর অন্যায় অত্যাচার করবে। আর এজন্য আমরা সব সময় মানুষকে ভালবাসবো এবং কেউ যদি বিপদে পড়ে তাকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করে আমরা সবাই মিলে সামনের দিকে এগিয়ে চলার চেষ্টা করব। আর এর ফলে আমরা একটা নতুন দেশ গঠন করতে পারব।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আসলে আমার যতো ধন সম্পদ হয় আমাদের ততই চাই আর চাই।আমাদের মানুষের কখনো চাহিদার শেষ নাই আর সেজন্য গরিবের উপরে অন্যায় অত্যাচার করে হলেও বড়ো হতে চাই এটা মোটেই ঠিক না।গরিবের উপরে অন্যায় অত্যাচার করে টাকাপয়সা কামালেও সে ধন সম্পদ কখনো কাজে আসে না।আপনার লেখা গুলো খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সব সত্যি কথা তুলে ধরে আজকের পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
এই যে একটা কথা এই কথাটাকে আমি কি পরিমাণে ঘৃণা করি এটা কাউকে কখনো কোনোভাবেই বলে বোঝাতে পারবো না। আর এই জিনিসটা কে পুঁজি করে সমাজের কিছু লোক গরিব শ্রেণীর লোকদের নানাভাবে অত্যাচার করে যাচ্ছে এখন অব্দি। বিভিন্নভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অন্যের সম্পদ হরণ করে নিচ্ছে। আসলেই এগুলো বাদ দিয়ে আমরা যদি সকলে মিলেমিশে চলতে পারি তবেই আগামীর দেশ অত্যাচার মুক্ত সন্ত্রাসমুক্ত এবং খারাপ কাজ মুক্ত হবে। তবেই একটি নতুন আদর্শ দেশ গঠন হবে।