ধৈর্যশীল ব্যক্তিরা জীবনের উন্নতি লাভ করতে পারে
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে ধৈর্যশীল সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
এই পৃথিবীতে যে যত বেশি ধৈর্যশীল সে তত বেশি উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে। কেননা আমরা এই পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের মানুষ এক জায়গায় বসবাস করি। আর এসব মানুষের মধ্যে কেউ বেশি ধৈর্যশীল আবার কেউ মোটেও ধৈর্যশীল নয়। আসলে কোন একটা কাজ যদি এই দুই প্রকার শ্রেণীর লোকেদের মধ্যে দেয়া হয় তাহলে দেখা যাবে যে ধৈর্যশীল লোকেরা সেই কাজটি ধৈর্য সহকারে আস্তে আস্তে সেই কাজটি করবে এবং যারা ধৈর্যশীল নয় তারা সেই কাজটি দ্রুত করার চেষ্টা করবে। আর আমরা একটা বিষয় সবসময় জানতে পারি যে যদি কোন কাজ দ্রুত করা হয় তাহলে সেই কাজটি সঠিকভাবে সম্পূর্ণ কখনোই হতে পারে না। আর এজন্য আমরা সব সময় আস্তে আস্তে কাজ করার চেষ্টা করব এবং জীবনে যতই কঠিন কাজ আসুক না কেন তা ধৈর্য সহকারে করার চেষ্টা করব।
আসলে এখন বাচ্চাকাচ্চাদের মধ্যে মোটেও ধৈর্য দেখা যায় না। কেননা তারা অনেকটা দুরন্ত টাইপের হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা যদি আমাদের বাচ্চাকাচ্চাদের ধৈর্যশীল হতে না শেখায় তাহলে কিন্তু তাদের ভবিষ্যতে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আসলে এই পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে সেই হারে কিন্তু কাজের সংখ্যা মোটেও বাড়েনি। আর অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য দরকার হচ্ছে অতিরিক্ত কাজের। আর এজন্য মানুষ যদি কোন কাজ একবার পেয়ে থাকে এবং সেই কাজটি যদি সে সঠিকভাবে করতে না পারে তাহলে হাজারো লোক সেই কাজটি পাওয়ার জন্য বসে থাকে। আর আপনি যদি সেই কাছ থেকে একবার দূরে সরে যান তাহলে কিন্তু অন্য একজন এসে সেই কাজটি করতে শুরু করবে এবং তার কাজটি হয়তোবা আপনার কাছ থেকে বহুগুণ ভালো হবে।
যোগ্য লোকের সংখ্যা যেমন রয়েছে তেমনি অযোগ্য লোকের সংখ্যা রয়েছে। আসলে কোন অযোগ্য লোক যদি কোন কাজ করতে থাকে এবং সেই কাজ থেকে সে একবার যদি বাইরে বেরিয়ে যায় তাহলে এসব যোগ্য লোকেরা সেই কাজটি পেয়ে যাবে এবং সারা জীবন সেই কাজটি করতে পারবেন। আসলে জীবনে সবথেকে বেশি ধৈর্যশীল হতে হবে বর্তমান সময়ের ছাত্রদেরকে। কেননা ছাত্র জীবন হলো এমন একটা সময় যে সময়টাকে মানুষ জীবনের স্তম্ভ তৈরি করার জন্য এখনো চেষ্টা করে। আর এই সময় যদি মানুষ ধৈর্যশীল হতে পারে তাহলে সে কিন্তু পড়াশোনায় যেমন ভালো করতে পারবে তেমনি সে তার ভবিষ্যৎ জীবনে অনেক ভালো কিছু করার সম্ভাবনা থাকবে। আসলে পড়াশোনাও কিন্তু একটা ধৈর্যের ব্যাপার। আর যে ধৈর্য সহকারে পড়াশোনা করতে পারে সে কিন্তু সব থেকে জীবনের উন্নতি লাভ করতে পারে।
কেননা ছাত্র জীবনে যদি তারা পড়াশোনার কোন ক্ষেত্রে আটকে যায় এবং সেই জিনিসটাকে তারা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে তাহলে কিন্তু তারা সেই জিনিসটা আর কখনো শিখতে পারবে। আর এজন্য তাদের সব সময় ধৈর্য নিয়ে প্রতিটা জিনিস করতে হবে যাতে করে তারা সবকিছু জীবনে করতে পারবে। আসলে ধৈর্যশীল হওয়ার গুণাগুণ সম্পর্কে প্রতিটা ছাত্রছাত্রীকে ধারণা দিতে হবে যাতে করে তারা এই গুণাগুণ গুলো নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা। আর এর মাধ্যমে কিন্তু তারা ভবিষ্যত জীবনে অনেক বড় হতে পারবে এবং সকল ধরনের কাজ তারা ধৈর্য নিয়ে করতে পারবে। আর এজন্য আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করবো যাতে করে এইসব বাচ্চাদের ধৈর্যশীল হতে শেখাতে পারি এবং নিজেরাও ধৈর্য ধরে সকল ধরনের কর্মকাণ্ড করতে পারি।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
জীবনে সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে ধৈর্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করে বিশেষ করে ছাত্র জীবনে এই ভূমিকা অনেক। ঠিক বলেছেন ধৈর্যের গুনাগুন সম্পর্কে প্রতিটা ছাত্র-ছাত্রীদের ধারণা দেওয়া উচিত সে ক্ষেত্রে তারা সহজে সফলতা অর্জন করতে পারবে।
এটা সত্যি বলেছেন জীবনে ধৈর্য্য ধারণ না করলে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয় না। এখনকার বাচ্চারা ধৈর্য ধারণ করতে পারে না আসলে এটা তাদেরকে শেখানো হয় না ছোট থেকে। সকল বাচ্চাদের ছোট থেকে সঠিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।