জেনারেল রাইটিংঃ-শীতের সকালের অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
শীতের সকালের অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে শীত মানে পিঠা খাওয়ার সময়। শীতে আসলে আমরা নানা রকমের পিঠা খেয়ে থাকি। শীতের রাত থাকে কুয়াশাচ্ছন্ন। ভোর রাতে বৃষ্টির মত শিশির বিন্দু পরে। আসলে গাছের পাতার ওপর টপটপ শব্দ যখন টিনের চালের উপর পড়ে তখন বেশ ভালো লাগে। শীতে সকাল থাকে কুয়াশায় আচ্ছন্ন। আকাশ ফর্সা হলে সূর্যলোক দৃষ্টি গোচর হয় না অনেকক্ষণ। আসলে আজ কয়েক দিন ধরে বেশ ভালোই শীত পড়েছে। তাই শীতের তীব্রতায় মানুষ পশুপাখি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে।লেপ, কাঁথা,কম্বল এর মোহ থেকে কেউ বাইরে বের হতে চায় না।আসলে শীতের সকালের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো নির্জনতা।কুয়াশাচ্ছন্ন ভরে শীতের শিশির বিন্দু যখন পড়ে , ঠিক সেই সময় শেফালি আর বকুল ফুল নীরবে ঝরে পড়ে।
আরো দুদিন আগে সকালবেলা বের হয়েছিলাম একটা কাজের জন্য। আসলে এখন তো বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ তাই সকালে সবাই একটু ঘুমিয়ে থাকে। তবে অভ্যাস কখনো চেঞ্জ হয় না আমি আবার সকালে ঘুমিয়ে থাকতে পারিনা। প্রতিদিনই সকালে উঠে পোস্ট লেখার চেষ্টা করি। কিন্তু গত দুদিন আগে কারেন্ট না থাকার জন্য একটু বাইরে বের হয়েছিলাম। আসলে কারেন্ট গিয়ে ভালোই করেছিল তাহলে শীতের সকালের এই অনুভূতিগুলো অনুভব করতে পারতাম না। আসলে আমাদের বাড়ির পাশেই নদী রয়েছে আর নদীর পাশ ঘিরে রয়েছে ফসলের মাঠ। তাই আমরা দুজা মিলে বেশ সকাল সকাল বের হলাম । ঘর থেকে বের হতে না হতেই মোরগের ডাক শুরু হলো।তারপর পাখ পাখালী গাছে গাছে কিচিরমিচির শুরু করে।আবার গবাদিপশু ডাক শোনতে পারলাম। আসলে অনেক দিন পরে এভাবে বের হলাম তাই অনেক ভালো লেগেছে।
তারপর আমরা নদীর পাড়ে দিয়ে বেশ কিছু সময় হাঁটতে লাগলাম। আসলে এমন কুয়াশা ছিল যেন আমাদের মতো দুই একজন ছাড়া আর লোক নেই বলেই চলে। আসলে এখন তো গ্রাম আর গ্রাম নেই। আগের শীতের হাঁটতে গেলে চোখে পড়ত আগুন পোহানোর দৃশ্য। আবার লোকজন মটরশুঁটি পুড়িয়ে খেতে। কৃষাণীরা ধান মাড়াই, ধান সেদ্ধ অথবা সবজি বাগানে পানি ছিটাতে ব্যস্ত থাকত। গ্রামের পরিবারের জন্য শীতের সকাল অনাবিল সুখ নিয়ে আসত। এ সময় চিড়া, মুড়ি, পিঠা পায়েস এবং নতুন গুড়ের পায়েস মিষ্টি রোদে বসে সবাই খেতে।গাছ থেকে রসের হাড়ি নামাতেই খাওয়ার জন্য ছোট বড় সবার মধ্যে তাড়াহুড়া পড়ে যেত।কিন্তু এখন এমন দেখা যায় না বলেই চলে।অন্য দিকে শীতের সকাল- দরিদ্র লোকের জন্য অভিশাপ বয়ে আনে।আসলে তাদের শীতবস্ত্রের অভাব ভাঙা ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে কনকনে শীত প্রবেশ করে। বিছানা বালিশ, লেপ, কাঁথার অভাবে তারা ঘুমাতে পারে না।সত্যি দরিদ্র লোকের জন্য শীতের সকাল অভিশাপ।আসলে আমি যখন আমার জায়ের সাথে কুয়াশার মধ্যে হাঁটতে লাগলাম আর ছোট বেলা শীতের সকালের কথা গুলো মনে পড়তে লাগলো। সত্যি শীতের সকালে না বের হতে পারলে হয়তো এমন অনুভূতি অনুভব করতে পারতাম না।
তারপর আমরা মাঠের পাশ দিয়ে বেশ কিছু সময় ঘুরে ছিলাম। সত্যি আমার কাছে শীতের সকালে হাঁটতে গিয়ে অনেক ভালো লেগেছিল।আসলে জনমানবহীন সকালে ঘুরতে বেশ ভালই লাগে। সত্যি এমন কুয়াশামাখা সকালে কেউ না বের হলে হয়তো অনুভব করতে পারবে না।যাইহোক আমার কাছে শীতের সকাল অনেক ভালো লাগে তবে সকালে উঠে নাস্তা বানাতে গেলে ভালো লাগে না। যাইহোক মাঝে মাঝে এভাবে শীতের সকালে বের হলে অনেক ভালো লাগে। সেই দিন আমরা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি সকালে। আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।আমার কাছে নতুন নতুন ডাই ও ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। ।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।
এবার যেন শীতের সকালে আমার আর বাইরে যাওয়াই হয়ে উঠছে না আপনি তো দেখছি বেশ সুন্দরভাবে কুয়াশাচ্ছন্ন খোলা মাঠের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। আসলে বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর তিন রকম অনুভূতি ইনজয় করতে খুবই ভালো লাগে।
জি ভাইয়া অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
যেটা অভ্যাস সেটা চেঞ্জ হতে অনেকটাই সময় লাগে খুব সকালবেলা ঘুম থেকে আপনার ওঠা যেমন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে যার কারণে বিছানায় শুয়ে থাকতে পারেন না। এরপরেও বিদ্যুৎ না থাকার কারণে হাটতে বের হয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো, আর সকালবেলা হাটাহাটি করা আমাদের সকলেরই উচিত। সকালবেলা হাঁটতে বের হয়ে শীতের সকালের অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে আপনাদের ওদিকে প্রচন্ড রকমের শীত পরছে কুয়াশাচ্ছন্ন এরকম পরিবেশে হাঁটাহাঁটি করতে খুব একটা খারাপ লাগে না। ধন্যবাদ শীতের সকালের অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
সত্যি বলেছেন ভাই অভ্যাস চেঞ্জ করা অনেক সময়ের প্রয়োজন। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার শীতের দিনের অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু।এটা ঠিকই বলেছেন বাচ্চাদের এক্সাম শেষ হলেও সকালে উঠার অভ্যাসটা রয়েই গেছে।সকালে কারেন্ট না থাকায় আপনি আর আপনার জা দুজন মিলে খুব সুন্দর ভাবে শীতের সকালটাকে অনুভব করলেন।আর কুয়াশা মাখা সকালের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। অনেক বেশি কুয়াশা পরেছে দেখছি।আসলে গ্রামেই এমন কুয়াশা পরে।ঢাকায় এতোটা পরে না।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
জি আপু ইচ্ছে না থাকলেও সকালে উঠতে হয়, ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কুয়াশায় আচ্ছন্ন ঘেরা পরিবেশ দেখতে দারুন লাগছে। শীতের সকালের অনুভূতি অন্যরকম হয়ে থাকে। শীতের সকালে ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটার মজাই অন্যরকম। শীতের সকালের অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘুম থেকে উঠে সকাল সকাল হাঁটতে আমারও খুব ভালো লাগে।
স্বাস্থ্যের জন্য ও অনেক উপকার।
তবে এমন ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন এবং প্রচুর ঠান্ডা থাকলে কখনোই বের হয় না।
আসলে হালকা কুয়াশায় ভিজিয়ে সকালে হাঁটতে আমার খুবই ভালো লাগে।
বিশেষ করে নদীর পাড়ে গেলে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে।
আপনার ফটোগ্রাফি এবং পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো খুব সুন্দর সময় পার করেছেন।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
শীতের সকালের অনুভূতি নিয়ে আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আসলে ঠান্ডা শীতের সকালে সব থেকে বেশি কষ্ট পায় আমাদের দেশের হত দরিদ্র মানুষেরা। যাহোক শীতের সকালে একটু হাটাহাটি করলে অথবা একটু শারীরিক ব্যায়াম করলে বেশ ভালো লাগে। শীতের সকাল নিয়ে লেখা অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
শীতের সকালের অনুভূতি নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন আপু। সত্যি বলতে শীতকালটা আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে কুয়াশাচ্ছন্ন পুরো পরিবেশ এবং হিম হিম শীতলতা একটা ভিন্ন অনুভূতি নিয়ে আসে।
আর শীতের সময় বিভিন্ন পিঠাপুলি এবং অন্যান্য খাবারের আয়োজনগুলো আমার কাছে সবসময়ই ভালো লাগে। আপনারা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই নদীর পাড় সহ বিভিন্ন জায়গায় হাঁটতে বের হয়েছেন এবং চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফিও আমাদের উপহার দিয়েছেন। সবমিলিয়ে আপনার শীতের অনুভূতি মেশানো পোস্টটি আমার কাছে ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
শীতের সকালটা সবসময় কুয়াশা দিয়ে ঘেরা থাকে। চারিদিকে কুয়াশা ঘেরা এই দৃশ্য যেন শীতের প্রকৃত সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। যেটা আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে উপভোগ করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেটা আমরা উপভোগ করলাম। এই অনুভূতিটি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নেওয়ার মজাই অন্যরকম ভালো লাগে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সাবলীল মন্তব্যের জন্য
সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা থাকলে তো বেশ ভালই হয় তাছাড়া এখন বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ বলে সকালে এরকম শীতের সৌন্দর্য গুলো তুলে ধরতে আরো সুবিধা হয়েছে। কুয়াশা ভেজা সকালের সৌন্দর্যটা আসলে যে কারো কাছে ভালো লাগার কথা।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে আপুর শীতের সকালের মজাটাই অন্যরকম। সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন চারিদিক এবং রাতে যখন টিনের চালের উপর শিশির বিন্দু পরে টপ টপ শব্দ করে এই শব্দটা বেশ ভালো লাগে। আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ