কথা কম বলা মানুষ।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
কিছু কিছু ক্ষেত্রে চুপ থাকা বা কথা কম বলা আমাদের জীবনে অনেক প্রয়োজন হয়ে ওঠে। এই কথা কম বলার অনেক উপকার আছে। অনেক সময় এমন পরিস্থিতি আমাদের সামনে এসে পড়ে যে কথা বললে আমাদের বিপদে পড়তে হতে পারে সেক্ষেত্রে আমাদের কথা কম বলা বা চুপ থাকাই বুদ্ধি মানের কাজ হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যদি বেশি কথা বলেন তাহলে আপনাকে সবাই বাচাল মনে করতে পারে এবং আপনার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়। এবং বেশি কথা বলা মানুষদের কেউ মূল্যায়ন করতে চায় না। কারণ যারা বেশি কথা বলে তারা নিজে কথা বলতেই ব্যস্ত থাকে আর অন্যের কথা শোনার প্রতি তাদের আগ্রহ অনেকটাই কম থাকে। সেই জন্য এসব মানুষের সাথে বন্ধুত্ব বেশিরভাগ মানুষই করতে চায় না। আর দেখা যায় বেশি কথা বলা মানুষের বন্ধুর সংখ্যার থেকে কম কথা বলা মানুষের বন্ধুর সংখ্যা অনেক বেশি হয়। আর কম কথা বলা মানুষের সাথে যারা বন্ধুত্ব করে তাদের বন্ধুত্ব অনেক ভালো হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
যারা কম কথা বলে তারা অনেক ভেবেচিন্তে সঠিক কথা সব সময় বলার চেষ্টা করে কিন্তু যারা বেশি কথা বলে তারা কথা বলতে বলতে অনেক সময় অপ্রাসঙ্গিক এবং অপ্রয়োজনীয় কথা বলা শুরু করে, তাই বেশি কথা বলা মানুষের সঙ্গে কেউ কথা বলতে পছন্দ করে না এবং এইসব মানুষের থেকে সবাই দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে। কম কথা বলা মানুষ যেহেতু সব সময় প্রাসঙ্গিক এবং যুক্তিপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করে তাই তাদের কথা সবাই মন দিয়ে শোনে। কোন জ্ঞানী ব্যক্তি কখনো অপ্রয়োজনীয় বেশি কথা বলা পছন্দ করে না। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যারা কোন বিষয়ে কম বোঝে বা কম জ্ঞান থাকে তারাই সেসব বিষয় নিয়ে বেশি কথা বলে। যারা কম কথা বলে তারা অযথা বেশি কথা বলে সময় নষ্ট করতে চায় না, তারা সব সময় আসল যেটুকু কথা বলার প্রয়োজন সেটুকু বলে এবং বাকি সময় তারা কোন ক্রিয়েটিভ কাজে সময় ব্যয় করে। কম কথা বললে মানুষের ভাবনা-চিন্তা প্রখর হয় এবং তাদের নেওয়া সিদ্ধান্ত সব সময় সঠিক হয়ে থাকে।যারা কম কথা বলে তারা কথা বলার থেকে বেশি ভাবনা চিন্তা করার জন্য তাদের করা প্রতিটা কাজ সব সময় ভালো হয়ে থাকে।
যারা কম কথা বলে তাদের যেকোনো বিষয়ে সুন্দর করে যুক্তি দিয়ে বোঝানোর ক্ষমতা থাকে, তাই তারা যে কোন বিষয় কম কথাতেই সুন্দরভাবে মানুষকে বুঝিয়ে দিতে পারে। বেশি কথা বলা মানুষেরা খুবই অধৈর্য হয়ে থাকেন তারা সবসময় তাড়াতাড়ি সব জিনিস পেতে চায়। কিন্তু যারা কম কথা বলে তারা খুবই ধৈর্যশীল হয় এবং তারা জানে যে ভালো কিছু পেতে গেলে অর্থাৎ জীবনে সাফল্য পেতে হলে ভালোভাবে কর্ম করতে হবে এবং ধৈর্য ধরে থাকতে হবে তাহলে জীবনের সফলতা অবশ্যই আসবে। যারা কম কথা বলে তারা অযথা মানুষের সাথে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে না যার ফলে তারা বিভিন্ন রকম ঝামেলার হাত থেকেও দূরে থাকে। কারণ আজকাল দেখা যায় মানুষের সাথে বেশি কথা বললে সেই কথা পাঁচ কান হয়ে সেই কথার আরও বিভিন্ন দিক তৈরি হয়ে যায় অর্থাৎ যে যার মত কথা আরো বানিয়ে বানিয়ে বলা শুরু করে, যে কারণে মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়ে যায় এবং সম্পর্কের মধ্যে ভীষণভাবে তিক্ততা সৃষ্টি হয়। সেই জন্য কম কথা বলা মানুষ এই তিক্ততা থেকে অনেক দূরে থাকতে পারে কম কথা বলার কারণে। এইজন্য যারা কম কথা বলে তাদের শত্রু কম তৈরি হয় এবং তারা মানসিকভাবেও শান্তিতে থাকতে পারে। কম কথা বলা মানুষেরা খুবই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে থাকে।
কারণ এরা যেহেতু কম কথা বলে সেই কারণে অন্য কারো মনের কথা বা যেকোনো ধরনের কথা জানতে পারলে সেটা অন্যদের বলে বেড়ায় না। কারণ এরা নিজের মনের কথা সবাইকে বলতে পছন্দ করে না যে কারণে অন্য কারোর কথাও আর দশ জনকে বলা পছন্দ করে না। কম কথা বলা মানুষের জীবনে প্রাইভেসি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়। তাই কম কথা বলা মানুষেরা কখনোই বেশি মানুষের সাথে মেলামেশা পছন্দ করে না। তারা বেশি সময় একা থাকতেই পছন্দ করে এবং নিজেকে বেশি গুরুত্ব দেয়। বেশি কথা বলা মানুষেরা যেখানে পরনিন্দা পরচর্চা করতে ব্যস্ত থাকে সেখানে কম কথা বলা মানুষেরা সব সময় পজিটিভ চিন্তাভাবনার মধ্যে থাকে এবং সব সময় ভালো কিছু করার চেষ্টা করতে থাকে। এছাড়া কম কথা বলা মানুষেরা সব সময় অন্য মানুষের সমস্যার কথা শুনে তাদের সুবুদ্ধি দেওয়ার চেষ্টা করে যেন তারা সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে এবং ভালোভাবে নিজের জীবন কাটাতে পারে। আমাদের উচিত কম কথা বলা আর নিজের চিন্তাভাবনাকে উন্নত করা এবং পজেটিভ দিকে নিয়ে যাওয়া। তাহলে আমাদের জীবন অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
কথা কম বলা মানুষগুলোর সত্যিই খুব প্রয়োজন পড়ে মাঝে মাঝে। অত্যধিক কথা বলা মানুষজন মাঝে মাঝে খুব বিপদের মধ্যে ফেলে দেয়। সেক্ষেত্রে তাদের বাচালতা অন্যের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই কথা কম বলা সেক্ষেত্রে অনেক ভালো।
হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন। এই জন্যই যারা বেশি কথা বলে তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার।