মূর্খতার পরিচয়।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ মূর্খতার পরিচয় সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
মানুষের আচরণে বোঝা যায় সে জ্ঞানী না মূর্খ মানুষ। এই পৃথিবীতে মানুষ সবসময় নিজেদেরকে জ্ঞানী মনে করার চেষ্টা করে। কেননা কিছু কিছু মানুষ আছে যারা সব সময় অনেক জ্ঞানী মনে করে নিজেদেরকে বিভিন্ন সমাজে উঁচু দেখাতে চায়। কিন্তু একটা জিনিস আমরা সব সময় দেখতে পাই যে এই পৃথিবীতে যারা প্রকৃত জ্ঞানী মানুষ তারা কিন্তু নিজেদেরকে সব সময় জ্ঞানী প্রমাণ করার জন্য কোন রকম কাজ করে না। কেননা জ্ঞান মানুষকে মহানুভব এবং উদার হতে শেখায়। আসলে যার কাছে জ্ঞান আছে সে কিন্তু পৃথিবীর সবথেকে ধনী মানুষ। কেননা মানুষের মর্যাদা কিন্তু অর্থের উপর কখনো নির্ভর করে না। মানুষের সম্মান নির্ভর করে তার জ্ঞানের উপর। কেননা যে ব্যক্তি যত জ্ঞানী আমার মনে হয় যে সে তত এই পৃথিবীতে সবচেয়ে ধনী মানুষ।
কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষ এখন আর জ্ঞান অর্জনের জন্য তেমন একটা বেশি চেষ্টা করে না। আসলে তারা জীবনে জ্ঞানকে মূল্যহীন বলে মনে করে। এই ভাবার প্রধান কারণ হলো তাদের পরিবারের লোকগুলো কিন্তু মূর্খ। আর একটা মূর্খ পরিবারের লোকজন কিন্তু কখনো চায়না যে তাদের সন্তানেরা জীবনে জ্ঞানী হয়ে তাদের মুখ উজ্জ্বল করুক। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই যে যারা গরীব পরিবারের জন্মগ্রহণ করে এবং পরিবারের সবাই মূর্খ হলেও তাদের মাতা পিতা সব সময় চেষ্টা করে যে তাদের সন্তানেরা যাতে জীবনে জ্ঞান অর্জন করে একটা ভালো জায়গা পৌঁছাতে পারে। আসলে সন্তান যদি জ্ঞানী হয় তাহলে মা-বাবাকে লোকজন সম্মান করে তার সন্তানকে জ্ঞানী করে তোলার জন্য। কেননা এই পৃথিবীতে সবাই তাদের সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারেনা।
একজন জ্ঞানী মানুষ কিন্তু দেশের সম্পদ। আর যেসব মূর্খ লোকেরা আমাদের চারিপাশে ঘুরে বেড়ায় তারা দেখবেন যে তারা এই পৃথিবীর কোন ধরনের কোনো ভালো কাজ কখনোই করে না। এছাড়াও তারা সবসময় অলসের মতো চারিদিকে ঘুরে বেড়ায় এবং নিজেরা যে জ্ঞানী নয় তা কখনো অন্যের কাছে প্রকাশ করার চেষ্টা করেনা। বরং সব সময় চেষ্টা করে যে তারা জ্ঞানী এবং সমাজের সবাই তাদের সম্মান করুক। আপনি কোন জায়গায় যখন যাবেন তখন দেখবেন যে মূর্খ ব্যক্তিরা সব সময় বেশি কথা বলে এবং জ্ঞানী ব্যক্তিরা সব সময় সেই কথা শুনে চুপচাপ থাকে। কেননা জ্ঞান মানুষকে কখনো তর্ক করতে শেখে না বরং যারা জ্ঞানী লোক অন্য কোন জ্ঞানীর সাথে কথাবার্তা বললে সেখানে কিন্তু তারা তাদের জানার ইচ্ছা গুলো প্রকাশ করে। কেননা একজন মানুষের পক্ষে সবকিছু জানা কিন্তু সম্ভব নয়।
আর এজন্য আমাদের বাঙ্গালীদের অবশ্যই জ্ঞানী হতে হবে। কেননা মূর্খের মতো যদি আমরা সমাজে চলাফেরা করি তাহলে অন্য জাতি আমাদের দেখে ব্যঙ্গ করবে এবং আমাদেরকে সবসময় নিচু করার চেষ্টা করবে। আর আমরা কখনো চাই না যে কোন বাইরের মানুষ এসে আমাদেরকে নিচু করবে। কারণ এর ফলে কিন্তু সমস্ত বাঙালি জাতিদের অপমান করা হয়। আর আমরা যদি জ্ঞান অর্জন করে নিজেদের জাতি তথা সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এবং নিজেদেরকে একটা উঁচু স্থানে বসাতে পারে তাহলে কিন্তু আমরা তাদেরকে নিয়ে সবসময় গর্ববোধ করব। কেননা এই পৃথিবীতে অনেক বাঙালিরা ছিলেন যারা কিনা সঠিক শিক্ষা অর্জন করে জীবনে বড় হয়েছেন এবং সারা পৃথিবীর মানুষ তাদেরকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করে। তাইতো জীবনে অবশ্যই জ্ঞানের প্রয়োজন রয়েছে।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে জ্ঞান অর্জনের কোনো চর্চাই নেই। মনে হয় যেন যত দিন যাচ্ছে তত মানুষ বেহায়া মূর্খর পরিচয় দিয়ে চলেছে। আগে জানতাম মানুষ যত বেশি শিক্ষা গ্রহণ করে তত মানুষ সভ্য হয়। এখন মানুষ অসভ্য হয় বেশি শিক্ষা অর্জন করে।