জেনারেল রাইটিং || ছারপোকার অত্যাচারে জীবন অতিষ্ঠ(১ম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। ২০১৯ সালের শুরুতে জীবনে প্রথম বারের মতো এই ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলাম। ঘটনাটি একটু খুলে বলি। ২০১৯ সালে আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে ছিলাম। তখন আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করতাম। তো কোম্পানি ছিলো একটি বিল্ডিংয়ের দোতলায় এবং আমরা থাকতাম সেই বিল্ডিংয়ের তিনতলায়। মূলত আমি আর আমার এক ছোটবেলার বন্ধু রাসেল তিনতলার একটি রুমে থাকতাম। রাসেল বাংলাদেশে বেড়াতে যায় ১০/১২ দিনের জন্য। রাসেল আসার কয়েকদিন পর থেকেই খেয়াল করলাম, বিছানার চাদর বেশ কয়েক জায়গায় লাল হয়ে গিয়েছে।
ব্যাপারটাকে তেমন একটা গুরুত্ব দিলাম না। তো কয়েকদিন একই রকম ঘটনা ঘটে চলছে। এরইমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন বছর উপলক্ষে ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছিল ৫ দিনের জন্য। আমাদের কোম্পানি থেকেও যথারীতি ছুটি দেওয়া হলো আমাদেরকে। আমি আর আমার এক বন্ধু বিল্লাল প্ল্যান করলাম অনেক দূরে বেড়াতে যাবো। আমাদের পাশের মহল্লার এক বড় ভাই অনেক দূরে থাকতেন। ওনার নাম হচ্ছে শাহীন। মূলত আমরা ছিলাম দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের মোটামুটি কাছাকাছি। আমাদের এখান থেকে শাহীন ভাইয়ের রুমে যেতে হলে ৫/৬ ঘন্টা সময় লাগবে। মূলত শাহীন ভাই প্রায়ই আমাদেরকে বলতো ওনার ওখানে বেড়াতে যেতে।
আমি এবং শাহীন ভাই
অনেক দূর যেহেতু তাই যেতে ইচ্ছে করতো না। যাইহোক অবশেষে আমি এবং বিল্লাল যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম সেখানে। আমরা শাহীন ভাইয়ের বাসায় গিয়ে বেশ কয়েকদিন থাকলাম। দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম সেখানে। সেখান থেকে আসার পর আমার রুমে শুয়ে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। রুমের দেয়ালে জামা কাপড় ঝুলানো ছিলো। দেয়ালে সাদা রঙের ওয়াল পেপার লাগানো ছিলো। হঠাৎ খেয়াল করলাম ছোট ছোট পোকা জামা কাপড়ের নিচে থেকে নেমে দেয়ালে হাঁটাহাঁটি করছে। আমি জামাকাপড় উঠিয়ে দেখি ছোট ছোট বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন সাইজের পোকা। এই পোকাগুলো আমি আগে কখনো দেখিনি তাই চিনতাম না। আমি পোকাগুলোর ছবি তুলে শাহীন ভাইকে পাঠালাম।
শাহীন ভাই এবং বিল্লাল
শাহীন ভাই দেখার পর বললো এগুলো তো ছারপোকা। এগুলো নাকি রক্ত চুষে খায় এবং খুবই বাজে পোকা। মানুষের ঘুম নাকি একেবারে হারাম করে দেয়। আমি তো শুনে একেবারে ঘাবড়ে গেলাম। আমি সাথে সাথে কয়েকটি পোকা মারার চেষ্টা করলাম। পোকা মারার সময় খেয়াল করলাম খুব বাজে গন্ধ আসছে এবং ওয়াল পেপার গুলো ছারপোকার রক্তে সাদা থেকে লাল রঙে পরিণত হচ্ছে। ঠিক তখনই বুঝতে পারলাম বিছানার চাদর কেনো এভাবে লাল হয়ে যেত। তার মানে বেশ কয়েকদিন ছারপোকা ইচ্ছেমতো রক্ত খেয়েছে আমার শরীর থেকে। আর সেই দাগ বিছানার চাদরে লেগে থাকতো। তখন ইউটিউবে সার্চ দিয়ে জানতে পারলাম, এই পোকার কারণে মানুষ বাসা পর্যন্ত পরিবর্তন করে ফেলে। এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ২৯.৮.২০২৩ |
লোকেশন | দক্ষিণ কোরিয়া |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ছারপোকা খুবই বিরক্তিকর একটা পোকা। ঠিক বলেছেন ভাইয়া এটার জন্য অনেকেই বাসা চেঞ্জ করে ফেলে। আর এই পোকা একবার বাসায় ঢুকলে সহজে বাসা থেকে দূর হতে চায় না। পরবর্তীতে আপনার সাথে কি হয়েছিল সেটা জানার জন্য পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু এই পোকা বাসা থেকে সহজে দূর হতে চায় না। খুবই বিরক্তিকর একটি পোকা। পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই শেয়ার করবো আপু। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter Link
ভাই সব দোষ আপনার ঐ বন্ধুর, উনি বাংলাদেশ থেকে কোরিয়ায় এই পোকা নিয়ে গেছেন।এখন কোরিয়ান রা বুঝবে ছাড়পোকা কি জিনিস।আপনি এদের অত্যাচার সত্বেও কিভাবে ঘুমালেন আমি তো সেটাই ভেবে পাচ্ছিনা।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক বলেছেন, বন্ধু রাসেল ছারপোকা নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত অনেক কিছুই জানতে পারবেন। পোস্ট পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মনে হচ্ছে আপনার বন্ধু বাংলাদেশ থেকে ছারপোকা কোরিয়াতে নিয়ে চলে গেছে। ছারপোকায় কামড়ালে নাকি অনেক জ্বালা করে। আমি কোনদিন ছারপোকা দেখিনি। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সেটাও দেখে নিলাম। ছারপোকা মানুষের গায়ের রক্ত খায় এটা শুনেছি। আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আমিও এই ঘটনার আগে কখনো ছারপোকা দেখিনি। তাইতো চিনতাম না। যাইহোক পোস্ট পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনার পোষ্টের টাইটেলে ছারপোকার নাম শুনে ভাবতে শুরু করেছিলাম, বর্তমান সময়েতো কোথাও ছারপোকার অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর সেখানে আপনি ছারপোকা কোথা থেকে পেলেন। যাক পরে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম এটা ২০১৯ সালের কোরিয়াতে আপনার সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। পাঁচ দিনের বন্ধ পেয়ে বড় ভাই শাহিনের বাড়িতে বেড়ানোটা বোধ হয় ছারপোকার সহ্য হচ্ছিল না তাই আপনাদের সাথে মহব্বতের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েছিল হাহাহা। যাইহোক ভাই, ছারপোকার অত্যাচারে জীবন অতিষ্ঠ নিয়ে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভাই ছারপোকার অস্তিত্ব না পাওয়া গেলেই ভালো। ছারপোকা যে কি জিনিস সেটা হারে হারে টের পেয়েছি আমি। যাইহোক পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ছারপোকার নাম শুনেছি। এই ছারপোকা নাকি খুবই খারাপ এটার জন্য অনেকে বাসা চেঞ্জ করে। এটা আপনার বন্ধু বাংলাদেশ থেকে কুরিয়ায় নিয়ে গেছে আমার মনে হয়।এই পোকা বাসায় একবার হলে সহজে দূর করা যায় না। পরবর্তীতে আপনি কি করেছিলেন তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
ছারপোকা দূর করতে কতো পদক্ষেপ যে নিয়েছিলাম, সেটা ধীরে ধীরে জানতে পারবেন আপু। আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ছারপোকার অত্যাচার অনেক বড় ডেঞ্জারেস। এই পোকা গুলো যখন যেখানে হয় ওখানে অনেক বাচ্চা ফুটায় এবং মানুষের রক্ত খায়। দক্ষিণ কোরিয়া থাকা অবস্থায় আপনাদের বাসায় ছারপোকা হয়েছে। তবে শুনে অবাক হলাম আপনি এই পোকাগুলোর নাম জানেন না। যাদের বাসায় একবার এই পোকাগুলো হয় সহজে পোকা গুলো যায় না। যাই হোক পরের পর্বে কি হয়েছে জানতে পারবো। বাসাটি রেখেছেন নাকি চেঞ্জ করে ফেলেছেন। অপেক্ষা রইলাম ভাই পরের পর্বের জন্য।
এই ঘটনার আগে আমি কখনো ছারপোকা দেখিনি আপু। তাই চিনতে পারিনি। পরবর্তীতে কি কি হয়েছিল ধীরে ধীরে জানতে পারবেন আপু। যাইহোক পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ছারপোকা খুবই বিরক্তিকর একটি পোকা। আমি প্রথম দেখি এ পোকা চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটির ট্রেনে। চিনতাম না পোকাটি । আমার বন্ধুর কাছে জেনেছিলাম পোকাটি সম্পর্কে। বাসা থেকে এ পোকা তাড়ানো বেশ কস্টকর।কিভাবে এ পোকার আত্যাচার সহ্য করেছেন আপনারা!পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনিও দেখছি আমার মতোই ছারপোকা চিনতেন না আগে। পরবর্তীতে সবকিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন আপু। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।