জেনারেল রাইটিং পোস্ট || বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক অটুট থাকুক, মনেপ্রাণে সেটাই চাই
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে,বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক অটুট থাকুক, মনেপ্রাণে সেটাই চাই। যাইহোক ভারত ও বাংলাদেশ হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ এবং উভয় দেশের সম্পর্ক একসময় বেশ ভালো ছিলো। কিন্তু বর্তমানে সেই সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বিভিন্ন কারণে। এটা আমাদের মোটেই কাম্য নয়। কারণ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ ভারত থেকে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র আমদানি করতে হয় এবং ভারতও আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র আমদানি করে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন কারণে আমরা ভারতে যাই এবং ভারতীয়রাও বিভিন্ন কারণে আমাদের দেশে আসে। এতে করে কিন্তু উভয় দেশ এবং দেশের মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এককথায় বলতে গেলে উভয় দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। তাছাড়া উভয় দেশের সম্পর্ক ভালো থাকলে উন্নতির শীর্ষে পৌঁছানো সম্ভব বলে আমি মনে করি। এছাড়া ভারত কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সাহায্য সহযোগিতা করেছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করছি, কিছু কুচক্রী মহল বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। যা একেবারেই উচিত নয়। উভয় দেশের এমন প্রতিহিংসামূলক আচরণ দেখে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে।
যাইহোক আমি রাজনৈতিক কোনো আলোচনা করতে চাচ্ছি না। তবে ইদানীং যে ব্যাপারটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে,সেটা হচ্ছে পতাকার অবমাননা করা। এটা খুবই জঘন্যতম একটি কাজ। কারণ পতাকা শুধুমাত্র কাপড়ের টুকরা না। বরং পতাকা হচ্ছে একটা দেশের সম্মান। নিজের দেশের পতাকার এমন অবমাননা কোনো দেশের মানুষ মেনে নিতে পারবে না। কিছুদিন আগে বড় দাদা একটি কবিতা শেয়ার করেছিলেন, সেই কবিতার নাম হচ্ছে হোক প্রতিবাদ- "পতাকা"। কবিতাটি পড়ে নিজের কাছে খুব লজ্জা লেগেছিল, কারণ আমি বাংলাদেশী। আমাদের দেশের মূর্খ মানুষজন যদি এমন নিকৃষ্ট কাজটা করতো, তবুও মনটাকে বুঝাতে পারতাম।
কিন্তু বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেভাবে ভারতীয় পতাকার উপর দিয়ে হেঁটে গিয়েছে, সেটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি বাংলাদেশী হয়ে যেটা মেনে নিতে পারছি না,সেটা ভারতীয়রা কিভাবে মেনে নিবে। এই ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আসলে একটি দেশের পতাকা,সেই দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেই কামনা করছি। তাছাড়া উভয় দেশের সম্পর্ক আগের মতো সুন্দর হোক,সেটাই মনেপ্রাণে চাই। এতে করে উভয় দেশের-ই মঙ্গল হবে। আসলে যেকোনো বিষয়ে মনমালিন্য হতেই পারে, সেজন্য পতাকার অবমাননা করার মতো জঘন্য কাজ থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত। তাছাড়া হিংসা বিদ্বেষ মন থেকে দূর করা উচিত সবারই। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ৩.১২.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমরা বাংলাদেশী হয়েই পতাকা অবমাননার বিষয়টা মেনে নিতে পারছি না তাহলে ভারতীয়রা কিভাবে মানবে। যারা এই কাজ গুলো করেছে তাদের ধিক্কার জানাই। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। আমাদের উচিত ছিল পাশাপাশি দু'টো দেশ সবসময় মিলেমিশে থাকা। এতে দু'দেশের জন্যই মঙ্গল। হিংসা বিদ্বেষ করে কোনো লাভ হবে না বরং অশান্তি সৃষ্টি হবে। ঠিক বলেছেন পতাকা শুধু কাপড়ের টুকরা নয়,এটা প্রতিটা দেশের জাতীয় প্রতীক। আমরা নিজের দেশের পতাকা কে যেমন সম্মান করি তেমনি পার্শ্ববর্তী দেশের পতাকাকে ও সম্মান জানাই।
এটা আসলে মেনে নেওয়ার মতো না। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্যি বলেছেন ভাই জাতীয় পতাকা অবমাননা জঘন্যতম একটা কাজ। আর এই কাজ আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ করে দিচ্ছে। সবার উচিত সবার জায়গা থেকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক পতাকাকে সম্মান করা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই,আমাদের সবার উচিত পতাকাকে সম্মান করা। পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছাত্রছাত্রী বলেই করেছে দাদা৷ আসলে ছাত্রছাত্রীরা অনেক বেশি ইমম্যাচিওর, বয়স কম থাকার ফলে বিবেক বুদ্ধি দিয়ে কাজ কম করে ওদের আবেগ বেশি চলে৷ তাই ওদের কে ব্যবহার সহজেই করা যায়। আর সেটাই হয়েছে বলে আমার ধারণা।
হ্যাঁ আপু তারা ম্যাচিউরড না বলেই তো কুচক্রী মহল তাদেরকে অপব্যবহার করতে পারছে। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিকস পড়ে। আপনি ভালোই লিখেছেন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক সব সময় ভালো থাকো সেটাই আমরা কামনা করি। দুইটি পার্শ্ববর্তী দেশের সম্পর্ক সব সময় সুন্দর থাকুক। সেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভালোবাসা সম্পর্ক সব সময় অটুট থাকুক সবাই যেন এমনটা প্রত্যাশা করি।
উভয় দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুব সুন্দর করে পুরো বিষয়টিকে তুলে ধরলেন। আসলে দুই দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মানের উপর নির্ভর করে। কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ যখন সবকিছু ভুলে আবেগের উপর পরিচালিত হয় তখন এমনই হয়। দেশের পতাকা সেই দেশের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন সারা পৃথিবীর কাছে তা সম্মানীয়। কোন পতাকাকেই পায়ের নিচে রাখাকে সমর্থন করি না।
ঠিক বলেছেন ভাই,কোনো দেশের পতাকার অসম্মান করাটাকে আমরা কখনোই সমর্থন করি না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।