জেনারেল পোস্ট-অসুস্থতার জন্য আমরাই দায়ী || written by@maksudakar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভ সকাল ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবার। সকলের সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর জীবন কামনা করে আবার আজ চলে আসলাম নতুন আরও একটি ব্লগ নিয়ে। বেশ ব্যাস্ততা আর পেরেশানি মধ্য দিয়ে সময় যাচেছ। মানসিক ভাবে বেশ ভেঙ্গে পড়েছি। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। আসলে এই মূহূর্তে এতটুকুই বুঝতে পারছি যে সুস্থতা অনেক বড় নেয়ামত। আর অসুস্থতাই বড় কষ্ট দায়ক।
মানুষ বেশ অসহায়। যখন যে অসুস্থ হয়। যখন একমাত্র মহান আল্লাহ ছাড়া তাকে আর কেউ সুস্থ করে তুলতে পারে না। আর একজন অসুস্থ ব্যক্তিই কিন্তু বোঝে সুস্থতা কি? যখন সে অসুস্থতার কাছে অসহায় হয়ে পড়ে তখন শুধু সে সুস্থতার জন্য কাতরাতে থাকে। অসুস্থ মানুষটি যেন তখন পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় একজন মানুষ হয়ে পড়ে। কিছুই করার থাকে না তার। নিয়তির উপর তার সব ছেড়ে দিতে হয়।
একজন মানুষ যখন সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করে তখন কতই না সে সুখী জীবন যাপন করে। খেলাধুলা, দৌড়ঝাপ, কর্মব্যস্তময় সময় সব মিলিয়ে সে থাকে একটি সুখের রাজ্যে। পৃথিবীটা তার কাছে মনে হয় এক বিশাল বেহেস্ত। সে কখনই অনুভব করতে পারে না অসুস্থতার কি জ্বালা। অন্যের অসুস্থতায় সে আফসোস করলেও, নিজে যে কখন অসুস্থ হবে সেটাই কিন্তু বলা কঠিন। আর এজন্যই হয়তো মানুষ আগে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করে না।
সত্যি বলতে কি আমাদের অসুস্থতার জন্য আমরা নিজেরাই কিন্তু দায়ী। আমরা যদি সুস্থ থাকতে আমাদের লাইফ-স্টাইল কে সঠিক ভাবে পরিচালনা করি। আমাদের খাবার দাবার চলাফেরা সবকিছু যদি আমরা সঠিক ভাবে পরিচালনা করি। তাহলে কিন্তু আমরা সহজেই অসুস্থতা থেকে মুক্ত থাকতে পারি। কিন্তু আমরা কি আদৌ নিজেদের কে সুস্থ রাখতে আগে হতে সাবধানতা অবলম্বন করি? না আমরা কিন্তু সেটা করি না। আমরা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি অনিয়মিত জীবন যাপন।
আজকাল রাত করে ঘুমতো যাওয়া, বাহিরের খাবার দাবার, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খাওয়া সব যেন আমাদের জীবনের সাথে মিলে গেছে। তার উপর তো আছে এখন অনলাইন। সারারাত জেগে মোবাইল ঘাটা তো এখন আমাদের কাছে পান্তা ভাত। আমরা সারারাত জেগে থেকে দিনে যাই ঘুমাতে। আর এভাবেই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে থাকে দিনে দিনে। আর এর মধ্যে যখন আমাদের শরীরে কোন রোগ বাসা বাধেঁ তখন আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাগুলো আর ফাইটিং করে উঠতে পারে না।
আজকাল তো ছেলেমেয়েরা ফাস্ট ফুড, জাংক ফুড আর বাহিরের খাবার ছাড়া আর কিছই খেতে পছন্দ করে না। বাসার খাবার গুলো যেন আজকাল কারোই ভালো লাগে না। সবাই শুধু বাহিরের খাবার খেতে ব্যস্ত। ঘরের খাবারে বা পুষ্টিকর খাবারে যেন কারো মন বসে না। সবাই চায় মুখোরোচক খাবার। আর সেই সাথে তো আছে অযাচিত জীবন বিধান। যেখানে কোন নিয়ম কাননের বালাই নেই। আমরা যেন আজকাল ভুলেই গেছি যে ছেলেবেলার সেই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার নিয়ম কানন।ভুলে গেছি রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার নিয়মও।
আর এজন্যই আমাদের উচিত সুস্থ জীবন গড়ে তুলতে প্রতিদিন পরিমিত পানি পান করা, বাহিরের খাবার কে না বলা, সঠিক সময়ে ঘুমোতে যাওয়া, সঠিক খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলা। এছাড়াও আমাদের প্রতিদিনের লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন এনে সঠিক লাইফ স্টাইল গড়ে তুলা। কারন আমরাই কিন্তু আমাদের অসুস্থতার জন্য দায়ী। আর সঠিক জীবন বিধান গড়ে তুলেই কিন্তু আমরা একটি সুন্দর এবং সুস্থ্য জীবন লাভ করতে পারবো। মনে রাখতে হবে যে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মুল। ।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে নতুন ভাবে আপনাদের কাছে। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।
অসুস্থতার জন্য আমরা নিজেরাই দ্বায়ী। এটি আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন৷ আমরা যদি নিজের শরীরের যত্ন নিতে থাকি এবং ভালোভাবে নিয়ম অনুযায়ী খাবার-দাবার খেতে থাকি তাহলে আমাদের অসুস্থতার কোন কারণই থাকেনা। তবে আমরা যখন শরীরের যত্ন নেই না এবং আজেবাজে খাবার খেয়ে থাকি তখনই আমাদের শরীরে অসুস্থতা বাসা বাঁধে ৷ আপনার কাছ থেকে এরকম একটি জেনারেল রাইটিং পড়তে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷
ভাইয়া আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর একটা মন্তব্য পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু আপনার এই পোস্ট পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। বর্তমান সময়ের মানুষ যে অসুস্থ হচ্ছে এই অসুস্থতার পিছনে মূলত নিজেরাই দায়ী কারণ আমরা নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে কখনোই নিজের লাইফস্টাইল নিতে পারি না। বাহিরের খাবার আসলেই আমাদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর যেম আমরা বরাবরই বাহিরের খাবার গুলো খেতে অনেক বেশি স্বাস্থ্য বোধ করি। এরকম অনেক বিষয় আছে যা আমাদের নিজেদের জন্য অনেক বেশি খারাপ জেনেও আমরা সেটাই করে থাকি যার কারণে আমরা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সবকিছু মিলে আমার মনে হয় আমাদের একটি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা উচিত। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বড় ও ছোট সকালের পছন্দের খাবার হয়ে উঠেছে ফাস্টফুড।কিভাবে তারা তৈরি করছে সেগুলো যদি আমরা ভালো করে লক্ষ্য করি তাহলে হয়তো আমরা খেতাম না।স্বাস্থ্য মূলক কিছু তথ্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর এবং গঠনমূলক একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু, অসুস্থতার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। সুস্থতা মহান আল্লাহ তায়ালার অনেক বড় একটি নিয়ামত । যেটা আমাদের শরীরের জন্য খারাপ সেটা জেনে বুঝেও আমরা সে কাজটা বারবার করি। সেজন্যই তো আমরা এত অসুস্থ হই। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু আমরা তো জেনে বুঝে অনেক কিছু খেয়ে নেই। যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এককথায় দুর্দান্ত লিখেছেন আপু। একদম ঠিক বলেছেন আপনি, অসুস্থতার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। সুস্থভাবে বাঁচতে চাইলে পুষ্টিকর খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং পরিমিত বিশ্রাম ও ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। আর প্রতিদিন নূন্যতম ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু আমরা হাঁটাহাঁটি করে শরীর থেকে ঘাম ঝরাই ডায়াবেটিস ধরা পড়লে। বাহিরের খাবারের কথা আর বললাম না। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া দুর্দান্ত লেখেছি কিনা জানিনা। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কথা লেখার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু প্রতিটি মানুষ তার নিজের অসুস্থতার জন্য দায়। আসলে পোস্টটি আপনি বেশ চমৎকারভাবে লিখে আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। আসলে সুস্থতা মহান আল্লাহ তায়ালার অনেক বড় একটি নেয়ামত। তাই অসুস্থ না হলে বোঝা যায় না যে সুস্থ শরীর কতটা আমাদের প্রয়োজন। তাই প্রতিনিয়ত আমাদের সবকিছু ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং দূষণ থেকে প্রতিকার করা শিখতে হবে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমি তো সবসময় বলি সুস্থতা আল্লাহ পাকের একটি বড় নেয়ামত। তাই আমাদের প্রতিনিয়ত সুস্থ থাকার চেষ্টা করা উচিত। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু আমাদের অসুস্থতার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। আমরা যদি সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে আমাদের জীবন পরিচালনা করি তাহলে অসুস্থদের পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে। এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া আমিও তো তাই বলি, আমরা যদি সঠিক নিয়মে আমাদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারি । তাহলে আমাদের অসুস্থতা অনেকটাই কমে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।