জেনারেল রাইটিং // ভাইয়ের বিয়ের বাসর ঘর সাজানোর অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০২-০১-২০২৫)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি জেনারেল রাইটিং // ভাইয়ের বিয়ের বাসর ঘর সাজানোর অনুভূতি। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে বেশ কিছু সময় বাড়ির কাজে বাইরে বের হয়েছিলাম। বাড়িতে ফিরে হালকায় একটু নাস্তা খেয়ে মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার জন্য বের হয়ে গেলাম। মাছের পুকুরে খাবার দেওয়া শেষ করে এসে বাড়িতে বেশ কিছু সময় বসে ছিলাম। তারপরে আবারো বাইরে বেরিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য। দুপুরবেলায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রুমে এসে বসলাম। তখনই ভাবলাম আপনাদের মাঝে আজকে পোস্ট শেয়ার করা হয়নি তাই পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.........
আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে চমৎকার দুইটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছি। আমি বেশ কিছু পোস্ট শেয়ার করেছি আমার ভাইয়ের বিয়ে সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যেই দেখেছেন আমার শেয়ার করা পোস্টগুলো। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমি আজকে শেয়ার করতে চলে এসেছি আমার ভাইয়ের বাসর ঘর সাজানোর পোস্ট নিয়ে। আমি আমার ভাইয়ের বিয়ের দুই দিন আগে গিয়েছিলাম ভাইয়ের কাজে সহযোগিতা করার জন্য। বিয়ের একদিন আগে ভাইয়ের বন্ধুদের সাথে নিয়ে আমি বাসর ঘর সাজানোর জন্য ফুল কিনতে গিয়েছিলাম। আমরা সেখানে গিয়ে ফুল কেনার জন্য বেশ কিছু সময় দোকানদারের সাথে কথা বলেছিলাম। এবং আমরা দোকানদারকে অগ্রিম কিছু টাকা দিয়ে এসেছিলাম বাসর ঘরের ফুল নেওয়ার জন্য। দোকানদার আমাদের কে বলেছিল বিয়ের দিন বিকেল বেলায় ফুল নিয়ে আসতে তাহলে বাসর ঘর সাজানোর জন্য সতেজ ফুলগুলো দিলে বেশ দারুন লাগবে দেখতে। এভাবে বেশ কিছু সময় দোকানদারের সাথে আলোচনা শেষ করে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলাম।
আমরা যখন বিয়ের দিন বিয়ে খেতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম তখন আমি ফুলের দোকানদারের কাছে ফোন দিয়েছিলাম আমাদের বাসর ঘরের ফুল রেডি করার জন্য। দোকানদার তখন আমাকে বলেছিল তোমাদের ফুলগুলো আমি রেডি করে রেখেছি তোমরা বিকেল বেলায় এসে ফুলগুলো নিয়ে যাবে। আমি এবং আমার ভাইয়ের দুই বন্ধু আমরা তিনজন বাইক নিয়ে গিয়েছিলাম ভাইয়ের বিয়েতে। ভাইয়ের বিয়েতে যাওয়ার পরে বিয়ের দিন প্রচুর পানি হয়েছিল সত্যি এরকম পানি আমি অল্প দিনে দেখিনি বললেই চলে। তারপরে আমরা সকলে বিয়ে খাওয়া শেষ করে ভাইয়ের সাথে নিয়ে রাস্তায় একটু হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। আসলে তখন আমাদের মাথায় ছিল না যে এখন পর্যন্ত আমাদের বাসর ঘর সাজানো হয়নি। তারপরে আমরা সেখানে আমার ভাইকে রেখে আমরা তিনজন বাজারে চলে এসেছিলাম বাসর ঘর সাজানোর জন্য ফুল নিবো এই কারণে। তারপরে আমরা ফুলের দোকানে গিয়ে ফুলগুলো নিয়েছিলাম এবং বেশ কিছু সময় বাজারে অপেক্ষা করেছিলাম তারপরে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলাম। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমরা বাড়িতে গিয়ে নিজের হাতে বাসর ঘর সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। যখন বাসর ঘর সাজানোর কাজ শুরু করেছিলাম তখনই আমি বেশ কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আমার মোবাইলে।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো চমৎকার ভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছি। বাসর ঘর সাজানো যখন একদম শেষ তখন আমি বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। এবং আমাদের মধ্য থেকে আমার ভাইয়ের বন্ধু আমার ভাইয়ের বর টুপি মাথায় দিয়ে বাসর ঘরের বিছানায় বসে বেশ দারুণভাবে ছবি তুলেছিল। সত্যিই আমরা তখন রুমের মধ্যে সন্ধ্যাবেলায় বাসর ঘর সাজাতে ছিলাম এবং বসে বসে আড্ডা দিতেছিলাম। আসলে ভাইয়ের বিয়ের বাসর ঘর সাজানোর জন্য সত্যিই আমাদের সকলের বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছিল। আসলে এর আগে কখনো আমরা বাসর ঘর সাজাইনি শুধুমাত্র ইউটিউবে বাসর ঘরের একটি ছবি দেখেই বাসর ঘর সাজানোর কাজ শুরু করেছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা খুবই সুন্দর ভাবে বাসর ঘর সাজাতে পেরেছিলাম এটাই হচ্ছে আমাদের কাছে সবথেকে বড় পাওয়া। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/kibreay001/status/1874626083687137560?t=HnXZw1RTNkibbDfxquVaoA&s=19
আপনি আপনার ভাইয়ের বিয়ের বাসর ঘর বেশ সুন্দর করেই সাজিয়েছেন দেখছি।বিয়েতে আসলে এইগুলোই বেশি মজা হয়। এই অনুভূতিগুলো আসলেই সত্যিই অন্যরকম হয়!আপনি তাহলে বেশ ভালো মজা করেছেন বুঝা যাচ্ছে। যাই হোক এই অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে ব্যাক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বি আপু য়েতে সত্যি বেশ দারুন মজা করেছিলাম।
অনেক সুন্দর ভাবে ঘরটা পরিপাটি করে সাজানো হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আসলে বিয়ের আনন্দটা অন্যরকম। শুধু যে বর কনে আনন্দিত তা কিন্তু নয় পাশাপাশি অনেকের মনে আনন্দ বিরাজমান থাকে এই সমস্ত কাজের মধ্য দিয়ে। আমরা আমাদের ভাইয়ার বিয়েতে কেনাকাটার মধ্য দিয়ে অনেক আনন্দ করেছিলাম।
ঠিক বলেছেন এই আনন্দটা সত্যি ছিল অন্যরকম।
বিয়ের বাসর ঘর সাজানোর আলাই মজা রয়েছে। আপনার ভাইয়ের বন্ধুর ছবিটি বেশ উপভোগ্য। হা হা হা। আমরাও এমন করতাম৷ ফুলের দোকানদার কিন্তু আপনাদের সঠিক কথাই বলেছিলেন। টাটকা ফুল দিয়ে সাজালে তার সৌন্দর্য একদমই আলাদা লাগে দেখতে। এতদিন আমি ভাবতাম গাঁদা ফুল দিয়ে বোধহয় ভালো ডেকোরেশন করা যায় না । কিন্তু আপনারা নানান ধরনের পাতা এবং অন্যান্য ফুল সমেত গাঁদা ফুল নিয়ে যে ডেকোরেশন করেছেন সত্যিই চমৎকার লাগছে দেখতে ।
আপনার কাছে দেখতে ভালো লেগেছিল যেন বেশ খুশি হলাম আপু।
আপনার ভাইয়ের বন্ধু মাথায় টুপি দিয়ে মনে হচ্ছে ওনার বিয়ে। তবে আপনারা অনেক সুন্দর ভাবে বাসর ঘর সাজিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো দেখে। তবে বিয়ের দিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে বিয়ের মজাটা একদম অন্যরকম হয়ে গেছে। যদিও আমি যাইনি কিন্তু সবার কাছ থেকে শুনলাম। সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন বিয়ের দিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে মজাটা ছিল আর অন্যরকম।
বাসর সাজানোর সময় অনেক আনন্দ করা হয়। যাইহোক আপনারা খুব সুন্দর ভাবে পুরো রুমটা সাজিয়েছেন। ফটোগ্রাফি তে দেখেই ভালো লাগছে। সামনাসামনি নিশ্চয়ই আরো সুন্দর লাগছিল দেখতে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছিলাম আমরা আমাদের জায়গা থেকে রুমটা সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য।
আসলেই তাজা ফুল দিয়ে বাসর ঘর সাজালে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। আপনি এবং আপনার ভাইয়ের বন্ধুরা মিলে দারুণভাবে বাসর ঘর সাজিয়েছেন ভাই। বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাই তাজা ফুল এবং পাতা দিয়ে বাসর ঘর সাজালে সৌন্দর্যটা অন্যরকম।