জেনারেল রাইটিং || মুখোশের আড়ালে।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
জীবন কতটুকু স্থায়ী এই মিথ্যে ভাবনা ভেবে লাভ নেই। আমি আপনি যে কেউ আগামী ২ সেকেন্ড থাকবো এটার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাহলে অহংকার, হিংসা, লোভ লালসা কেন আমাদের মাঝে চিরস্থায়ী হয়।আমরা কেউই মৃত্যুর ঊর্ধ্বে নই।মৃত্যুকে আমরা আলিঙ্গন করতেই হবে। কিন্তু সত্যকে কেন আমরা দূরে ঠেলে দেই। বাস্তব সুন্দর জীবনটাকে আমরা কেন বিষক্রিয়ায় ভরিয়ে তুলি। জানা নেই, জানতে ইচ্ছেও করে না।কারণ মানুষের স্বরূপ মুহূর্তেই বদলায়।মুখোশের আড়ালে মানুষের একেকটা রূপ বিদ্যমান।
মুখোশটা এমন হয় যেন দুনিয়ায় তার চেয়ে সত্য, নির্মম, বিনম্র কিছু নেই। আদতে এর পেছনে লুকিয়ে থাকে গভীর স্বার্থপরতা, আত্মকেন্দ্রিকতা আর লোভ হিংসা।এটাই মূলত আপনাকে আমাকে শেষ করে।আমরা নিজেদের অবস্থান বুঝে সবসময় কাজ করি।কিন্তু সব অবস্থানে সুযোগ খোঁজা ব্যক্তির জন্য কখনো মন থেকে ভালোবাসা জাগে না।আর্থিক আর মানসিক অবস্থার উন্নতি মানেই কিছু মানুষের বিবেক আর মানবিক অবস্থার অবনতি ঘটে।তখন তার মাঝে দেখা যায় পরহিংসা যেটা হতে পারে তার উন্নতির শিকড়কে ঘিরে। এটাই হলো মানুষের মানবিক পতন।
ব্যক্তিগত তরফ থেকে বহু মানুষ দেখেছি যারা ভালো থাকাকে অহংকার মনে করে। কিন্তু একটা সময় এই ভালো থাকার মূল উৎসকেই নিকৃষ্ট মনে হয় তাদের কাছে।কারণ তারা তখন ভুলে যায় কে ছিল এর মূল।কারো জন্য কোনো কিছু স্যাক্রিফাইস করে পরবর্তীতে তাদের কাছেই শুনতে হয় কি করেছেন আপনি?কারো জন্য জীবনে ত্যাগ করার মানসিকতা কতটা মহান সেটা শুধু সেই ব্যক্তিই বুঝতে পারে যার মাঝে মানবিকতা বিদ্যমান থাকে।
আমাদের মাঝে এমন মানুষ আছে যারা শুধুমাত্র নিজেকেই পুড়তে দিতে জানে। আর এমনও মানুষ আছে যে স্বার্থকে সবসময় আগে দেখে। আর যে ব্যক্তি নিজেকে পুড়তে জানে সে সবদিক থেকেই নিজেকে পুড়ে ফেলে।বিষয়টা এমন যে নিজে স্যাক্রিফাইস করছে আবার সেই স্যাক্রিফাইসটাকেই মানুষ দূর্বলতা ভেবে আরও চেপে বসে।হ্যা এটাই হচ্ছে আর এটাই হবে।তবে আমি চাই এই বিবেক যেন কারো না হয়।কেউ যেন অন্যের দায়িত্বকে দূর্বলতা না ভাবে।একটা সময় এই চাপ মানুষকে নিঃশেষ করে দেয়।
জীবনে চলার পথে বহু মানুষের সাথে আমাদের পরিচয় ঘটে। তবে কেউ কেউ আমাদের জীবনের অংশ হয় কেউ বা আবার দূর থেকেই পাশে থাকে। আর কেউ জীবনে থেকেই পিঠে ছুরি বসায়। এভাবেই জীবন চলছে।কিন্তু আমাদের বিশ্বাস, আস্থা নষ্ট হচ্ছে।যার প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান, স্নেহ থাকা প্রয়োজন সেগুলো কমে যায়।তাই কারো দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত নয়।এতে নিজেরই ক্ষতি।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সুন্দর একটি বিষয়ে লিখলেন এই ব্লগটি। আমরা দু সেকেন্ড বাঁচবো কিনা নিজেরা জানিনা, তবু কত কিছু চিন্তা করি আর কত স্বার্থের কথা ভাবি। মানব জীবন হয়তো এমন ভাবেই এগিয়ে চলে। আজকাল মানুষের সঙ্গে থাকে একটি মুখোশ। তার সেই মুখোশ ভেদ করে ভেতরটা দেখাই যায় না। মানুষ চেনা তো খুব কঠিন কাজ।
জি ভাইয়া।এই মুখোশের আড়ালে থাকে ভিন্ন রূপ।
আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন আপু আমার তো ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যি বলতে গেলে বর্তমান সময়ে বাস্তবতার হয়ে গেছে নিজের স্বার্থ। এখন সমাজে নিজের জন্য কিছু স্যাক্রিফাইস করলে অন্যরা সেটাকে অহংকার মনে করে। এমনকি এখনো সমাজে অনেক লোক আছে যারা অন্যের জন্য নিজেকে দিন দিন শেষ করে দিচ্ছে। তবে সবশেষে মানুষ এটাই বুঝতে পারে না যে তাদের ভালো হওয়ার পিছনে কোন মানুষটা দায়ী।
জি আপু, এমন মানুষগুলো আসলেই ভয়ংকর।
সকলেই জানি আমাদের জীবন ক্ষণস্থায়ী কিন্তু তারপরও একে অপরের প্রতি কত হিংসা। অন্যের ভালো যেন আমাদের কিছুতেই সহ্য হয় না। দিনশেষে আসলেই কি এগুলো আমাদের করা উচিত। এটা যদি ভাবতাম তাহলে কখনো এই অন্যায়গুলো আমাদের দ্বারা হতো না। অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। আর দিন শেষে আমাদের মনুষত্ববোধ থাকা খুব দরকার।
জি আপু ঠিক বলেছেন কথাগুলো।মনুষত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে।
আসলে বর্তমানে মুখ এবং মুখোশ চেনা খুব বড় দায়। স্বার্থের জন্য মানুষ নানা রকম মুখোশ পড়ে । আর এই মুখোশ চেনা যায় না। অনেকে খুবই বিশ্বাস করে মুখোশের কারণে ঠকে যায়। মানুষ চেনা তো খুব কঠিন কাজ। স্বার্থ জন্য মানুষ রূপ পরিবর্তন করে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
মুখোশের আড়ালে থাকা মুখের রূপ একেক সময় একেক রকম।