জেনারেল রাইটিং।। প্রথমবার খুলনায় যাওয়ার অনুভূতি (পর্ব-০১)।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০১/০৬/২০২৪) রোজ: শনিবার।
💞 সুপ্রভাত 💞
অনেকদিন থেকেই ভাবতেছি খুলনায় যেতে হবে। কিন্তু একে একে সেই দিন পার হয়ে এসেছে। তাই গতকালকে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম খুলনার উদ্দেশ্যে। তাই একদম খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে গোসলও সেরে নিলাম। এরপরে নাস্তা শেষ করে আর রেডি হয়ে জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে একটি ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে চলে আসলাম। এসে রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার সময় উপরের ফটোগ্রাফিটি আমি ধারণ করি। আসলে কালকে শুক্রবার ছিল যে কারণে তেমন একটা গাড়ির চাপ ছিলনা। তারপরেও কিছুক্ষণ পরে দেখলাম একটা ভ্যান আসতেছে সেটাই উঠে করিমপুরে আসি। মানে হচ্ছে এটা আমাদের গ্রামের একটি মোর। ওইখান থেকে একটা অটো গাড়িতে উঠে হাটবোয়ালিয়াতে আসি। আমি আগে থেকেই খোঁজখবর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তিনটার সময় যে ট্রেনটা খুলনায় যাবে ওইটাই আমি ভ্রমণ করবো। তাই বাসা থেকে আগেভাগে বের হয়ে হাঁটবোয়ালিয়া আপুর বাসায় গিয়া উঠি। তারপর সেখানে রেস্ট করে এবং খাওয়া দাওয়া শেষ করে পুনরায় সেখান থেকে বের হয়ে আলমডাঙ্গার উদ্দেশ্যে। গতকালকে শুক্রবার জুম্মার দিন ছিল। যদিও গতকালকে নামাজ টা মিস হয়েছে শুধু এই ভ্রমনের জন্য। তাতে খুব খারাপ লেগেছিল। কিন্তু এদিকে রেল স্টেশনে আগে পৌঁছাতে হবে এটা মাথায় রেখে আর নামাজে যাওয়া হয়নি। কারণ আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকেই আমি খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হবো। হাঁট বোয়ালিয়া থেকে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে যেতে হলে একটা সময়ের প্রয়োজন মূলত বিভিন্ন কারণে কালকে নামাজটা আমার মিস হয়ে গেছে। তাই আপুর বাসা থেকে ১ঃ৩০ অব্দি বের হয়েছিলাম।
আপুর বাসা থেকে বের হয়ে বাজারে এসে খুব দ্রুত আলমডাঙ্গার একটি অটো গাড়ি পেয়ে যায়। তারপরে রওনা দিয়েছিলাম আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনে। আধা ঘন্টার মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যাই। এরপরে সেখান থেকে উপরের এই ফটোগ্রাফি গুলো আমি ধারণ করি। আমার হাতে যেহেতু এখনো এক ঘন্টা সময় ছিল। তাতেই আমি যখন গিয়েছিলাম তখন হচ্ছে লাঞ্চ করার সময়। সেখান থেকে অনেকের কাছ থেকে জানতে পারলাম এখন টিকিট দিবে না লাঞ্চ করা শেষ হলেই দিবে। তাই সেখানে যে বসার জায়গা ছিল সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করি।
বাসা থেকে আমার একটাই টেনশন ছিল যে গতকালকে শুক্রবার ছিল ছুটির দিন । মানে কোনো গাড়ি পাবো কিনা পাবো এমন একটা প্রশ্ন খালি বারবার আমার মনে হচ্ছিল। যাইহোক যখন পৌঁছে গেলাম তখন খুবই ভালো লাগছিল। আমি মনে করি কোথায় যেতে হলে আগে থেকেই বাসা থেকে বের হওয়া ভালো কারণ তাড়াহুড়া করে কোথাও যাওয়া আমার মতে ভালো নয়। কালকে তুলনামূলক গরমটা একটু বেশি ছিল। যে কারণে অনেক ক্লান্তি লেগেছিল যদিও সবকিছু ঠিকঠাক মানিয়ে নিয়েছিলাম এবং কিছুটা মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। পরবর্তীতে অনেক ঘেমে যাচ্ছিলাম তাই রেল স্টেশনের পাশের একটি দোকান বসুন্ধরা পকেট টিস্যু পেপার ক্রয় করি। সেটের মূল্য নিয়েছিল আমার কাছ থেকে ১০ টাকা। আমি যখন টিস্যু পেপার ক্রয় করি ঠিক তখনই উপরের এই ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করা হয়। আমি যেই দোকান থেকে টিস্যু ক্রয় করেছিলাম তার পাশে দেখতে ছিলাম তাল বিক্রি করছে। তালের শাঁস অনেকদিন ধরে খাওয়া হয়নি। খাবো খাবো মনে করা হচ্ছে না। কালকে স্টেশনে গিয়ে যেহেতু হাতে অনেক সময় ছিল তাই সেখানে তালের শাঁস দেখতে পেয়ে ওখান থেকে ৩ টা তালের শাঁস ক্রয় করেছিলাম। প্রতিটা পিস ছিল চার টাকা করে আমি যেহেতু তিনটা শাঁস নিয়েছিলাম তাই আমার কাছ থেকে নিয়েছিল ১২ টাকা নেওয়ার কথা ছিল কিন্তু তিনি আমার কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়েছিল। শাঁস খেতে খুবই স্বাদ ছিল। তাল যখন আমাকে কেটে দিয়েছিল ঠিক তখন আমি তালের ওই ফটোগ্রাফিটি সংগ্রহ করি।
টেবিল ১ | টেবিল ২ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
ডিভাইস | OPPO A15 |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি ঠিক বলেছেন কোথাও যেতে চাইলে আগে ভাগে যাওয়ায় ভালো। আসলে অনেক সময় ইচ্ছে থাকলেও দূরে জার্নির জন্য নামজটা মিস হয়ে যায়। তালের শাস গুলো ভালো ছিল জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমিও জীবনে প্রথম খুলনায় গিয়েছিলাম যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়তাম। আপনার প্রথম অনুভূতি তুলে ধরেছেন অনেক সুন্দর ভাবে। কালকে শুক্রবারের দিন আমাদের এখানে প্রচুর জ্যাম ছিল। খুলনার জায়গাটা বেশ সুন্দর সময় স্বল্পতার কারণে আমি খুব একটা ঘুরতে যেতে পারি নাই। আলমডাঙ্গা স্টেশনে আমিও গিয়েছিলাম জায়গাটা বেশ সুন্দর। আপনি নামাজটা পড়তে পারতেন ভাইয়া একটু অপেক্ষা করে। ফটোগ্রাফিগুলো বেশ দারুন ছিল পাশাপাশি ও তালছাঁসগুলি বেশ দারুন লাগলো আমার কাছে। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে আপনি রওনা দিয়েছেন, যাক বেশ ভালই লাগলো।
ভাইয়া পড়তে পারতাম তবে প্রথম জার্নি ছিল আবার ট্রেনে তাই মিস হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি ঠিক বলছেন কোথাও গেলে তাড়াহুড়ো করে না বের হওয়ায় ভালো।ট্রেনে ভ্রমণ করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।খুলনায় কোনদিন ভ্রমন করা হয়নি। তবে আপনি সুন্দরভাবে আপনার অনুভূতিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।তালের শ্বাস খেতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ নিজের অনুভূতিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আপনি খুলনায় যাচ্ছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। আপনার তো দেখি বেশ লং জার্নি। বিশেষ করে প্রথমে আপনাকে আলমডাঙ্গা স্টেশনে আসতে হলো। আসলে মাঝেমধ্যে ব্যস্ততার জন্য আমাদের নামাজ মিস হয়ে যায়। তবে আপনি ট্রেন ভ্রমণ করবেন শুনে ভালো লাগলো। কিন্তু আপনাদের এদিকে দেখছি তালের শাঁস এর দাম খুবই কম। আমাদের এদিকে তো অনেক বেশি দাম। যাই হোক আপনার সময়টা ভালো কাটুক।
জি আপু নামাজটা মিস হয়ে গিয়েছিল তাতে খুবই খারাপ লেগেছিল। হ্যাঁ আপু আমাদের এদিকে তালের শাঁস এর দামকম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি খুলনায় যাচ্ছেন শুনে খুবই ভালো লাগছে এবং এখানে আপনি প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন৷ পরবর্তী তারা অনেকগুলো পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷ এখানে খুলনা যেতে প্রথমে আপনাকে আলমডাঙ্গা স্টেশনে যেতে হয়েছিল এবং পরবর্তীতে আপনি ট্রেন জার্নি করেছিলেন৷ আসলে ট্রেন জার্নি করার মধ্যে একটি আলাদা মজা থাকে এবং এই মজার ঘটনা আমিও উপভোগ করেছি৷ আপনার কাছ থেকে এরকম একটি ঘটনা পড়ে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
স্বাগতম আপনাকে।